😍ল্যাপটপের জন্য কিছু কেনাকাটা😍। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গত কয়েকদিন আগে নিজের চেষ্টায় একটা ল্যাপটপ কিনেছি। এটা অবশ্য পুরাতন ২ মাস ব্যবহার করা। এবং বাইরে থেকে নিয়ে এসেছি বলে কিছুটা কম পড়েছে। গতকাল আমি ল্যাপটপ টা হাতে পেয়েছি। এরপরেই খবর পেলাম স্কুল কলেজ আবার ১৫ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। তাই কুষ্টিয়া যাওয়ার আর কারণ নেই। কিন্তু ল্যাপটপের কিছু সরঞ্জামের বিশেষ দরকার এই যেমন কিবোর্ড, মাউসপ্যাড এইসব। তাই আমি এবং আমার বন্ধু নাভিদ ঠিক করি কাল কলেজ নেই তাতে কী আমরা কুষ্টিয়া শহরে যাব। নাভিদ আবার এইসব বিষয়ে ভালো জানে তাই ওকে নিয়ে আসা। কুষ্টিয়া যাওয়ার কথা ভেবে একটু খারাপ লাগছিল যে গতকাল গিয়েছিলাম ক্লাস করতে আর আজ যাচ্ছি অন্য কাজে। অর্থাৎ আবার কলেজ বন্ধ বিষয়টি চিন্তা করলে আর ভালো লাগছে না।
লোকাল ট্রেনের সময় ছিল ৯:৩০ টা। আমরা কিছুক্ষণ আগেই কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যায়। আজ সকালে আমাদের দিকে বেশ ভালো ঠান্ডা ছিল। সারাদিন রোদ উঠে নাই। যাইহোক আমাদের সবাইকে চমকে দিয়ে ১০ মিনিট আগেই লোকাল ট্রেন স্টেশে চলে আসে। যাইহোক আমি এবং নাভিদ উঠে পড়লাম ট্রেনের প্রথম বগিতে। কারণ ঐ বগিতে আমাদের পরিচিত একজন টিটি থাকে। কলেজে যাতায়াত করতে করতে পরিচিত আর কী। আমরা টাকা না দিলে উনিও চাই না। আমরা মামা বলি। কিন্তু আজ দিয়েছিলাম ভাড়াটা। যাইহোক ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরে ঢুকে পড়ি।
এদিকে আবার ঝামেলা বাঁধছে অন্যদিকে। কুষ্টিয়া শহরে গিয়ে শুনতে পারি আজ নাকী বিকেল ৪ টা পযর্ন্ত বিদ্যুৎ থাকবে না। এজন্য এই কম্পিউটার সামগ্রীর দোকানগুলো কিছুটা দেরিতে খুলছে। কী আর করার। পাশেই ছিল কুষ্টিয়া শহরের সবচেয়ে আধুনিক এবং সবচেয়ে বড় লাভলী টাওয়ার। আমি এবং নাভিদ ভাবলাম যায় ওখান থেকে কিছুক্ষণ ঘুরে আসা যাক। তো চলে গেলাম লাভলী টাওয়ারে। করোনার কারণে সেই আগের জাকজমক আর নেই। আজকের পরিবেশ টাও আবার ঐ রকম। একেবারে গম্ভীর মনে হচ্ছে ঐ সকাল ৬ টা বাজে।
যাইহোক এরপর চলে গেলাম নাভিদের এক পরিচিত দোকানে। দোকানটা কুষ্টিয়া থানামোড়ে। সকালে চা খাওয়া হয়নি। আগে গিয়ে বসলাম। ঐ ভাই চা খাওয়ালো। চা টা বেশ সুন্দর ছিল। যাইহোক এরপর আমাদের চাহিদা অনুযায়ী কয়েক প্রকার কিবোর্ড দেখালো। সবকিছু দেখে শুনে উপরের ছবি দেওয়া ওই কিবোর্ড টা আমি নেয়। এটা বেশ ছোট এবং খুবই স্মুথ আছে। কিবোর্ডটাতে ১ বছরের ওয়ারেন্টি আছে। যাইহোক আমার পছন্দ হয়েছে। এরপর একটি ডাইভার প্যাক এর ফাইল নেয়। এটা পরে বাড়িতে এসে অবশ্য সব ঠিক করেছি। এরপর নাভিদ ওর নিজের ল্যাপটপের জন্য একটা এয়ার কুলার নেয়। এটার কাজ নাকী ল্যাপটপকে ঠান্ডা রাখা। আমি যেহেতু আগে এগুলো কিনি নাই সুতরাং এগুলোর দাম সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা ছল না। যাইহোক আমার ল্যাপটপের বেশ ভালো একটা মার্কেট হয়ে গেল😂। আমাদের কেনাকাটা শেষ হলে আমরা আমাদের পরিচিত এক দোকানে যায়। সেখান থেকে সামান্য কিছু নাস্তা করি।
এরপর নাভিদ বলে ওর একুরিয়ামের মাছের জন্য খাবার কেনা লাগবে। সেইমতো আমরা কুষ্টিয়ার এক একুরিয়াম সামগ্রীর দোকানে যায়। বেশ অনেক রকম ভিন্ন রঙ ভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল। যাইহোক নাভিদ ওর মাছের জন্য কাঙ্ক্ষিত খাবার ক্রয় করে। এরপর আমরা যথারীতি ট্রেনের জন্য কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে চলে যায়। গিয়ে শুনি ইতিমধ্যে ঘন্টা দিয়ে দিয়েছে। এরপর হঠাৎ মনে আসে আবার কবে কুষ্টিয়া আসব আর ঠিক নাই। এর কারণ স্কুল কলেজ আবার বন্ধ। শেষবারের মতো বিদায় বলে নেয়। জানি না আবার কবে আসতে পারব।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
আপনি একটি ল্যাপটপ কিনেছেন শুনে ভালো লাগলো। আর দুই মাসের পুরাতন হলেও বাইরের ল্যাপটপগুলো ভালই হয়। ল্যাপটপ এর অন্যান্য সরঞ্জাম গুলো কিনতে গেছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। আর করোনার কারণে স্কুল কলেজ গুলো আবারো বন্ধ দিয়ে দিল। আপনি ল্যাপটপ সম্পর্কে অনেকগুলো কথা বলেছেন। আপনার পুরো পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
নতুন ল্যাপ্টপ উপলক্ষে এখনো কিন্তু মিষ্টি পেলাম না ইমন।😁😁😁কেনা কাটা তো ভালোই করছও।এবং অনেক সুন্দর সময় পার করেছো।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। মিষ্টি পাবা।।
কিবোর্ডটি নিউমেরিক প্যাড সহ কিনলে ভালো করতেন। দারুন হয়েছে। প্রয়োজন যখন কিনতেই হবে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই। উপদেশটা মনে থাকবে💖