||| ভালো থেক(তৃতীয় পর্ব) |||

অরিএ সব লজ্জার মাথা খেয়ে সাহস করে তার সিনিয়র প্রেমিকা অদিতি কে প্রপোস করেই ফেলল। অদিতি যদিও হাসতে থাকে তবে সে হাসির মধ্যে অন্য কিছু লুকিয়ে ছিল। অর্থাৎ অদিতিও রাজি। এখন অদিতি এবং অরিএের সম্পর্কটা বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সত্যি বলতে অন‍্য প্রেমিক প্রেমিকাদের মতো না। অরিএ অদিতির থেকে ছোট বলে অদিতি একটু শাসনই করে অরিএকে। অরিএও অন্য ছেলেদের মতো এতোটা স্মার্ট না। সেজন্য অদিতি নিজেই সব কথা আগে থেকে বলে। অদিতি একদিন বলে অরিএ চলো ঘুরতে যায়। অরিএ বলে ঠিক আছে যাব। অরিএ কখনো কোনো মেয়ের সঙ্গে ঘুরতে যায়নি তাই সে অদিতির সঙ্গে গিয়ে কী করবে বুঝতে পারে না। সেজন্য অরিএ ওর বন্ধুদের কাছে জিজ্ঞেস করে ভাই আমি কী করব বলে দে।

ওরা বলে শোন সুন্দর দেখে দুইটা গোলাপ নিবি দেখা হলেই আগে হাতে গোলাপ দিবি। এরপর হাত ধরে ঘুরবি বা কোথাও বসে থাকবি। এবং ওর যা পছন্দ ফুসকা আইসক্রিম সব খাওয়াবি। অরিএ মোটামুটি ভালো একটা ধারণা পেলো কী করতে হবে। পরেরদিন অরিএ একেবারে প্রস্তুত হয়ে চলে গেল ঘুরতে।

---

---

অরিএের এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম। সেজন্য সে বেশ ভয়ে আছে। অরিএ সঠিক সময়ে চলে যায় সেই নির্ধারিত পার্কে বেশ সুন্দর সবুজ গাছপালা বিশিষ্ট একটি জায়গা। অদিতিও চলে আসে সঠিক সময়ে। এরপর দুজন বসে গল্প করে। একপর্যায়ে অদিতি জিজ্ঞেস করে আচ্ছা অরিএ তুমি তো আমার থেকে ছোট তোমার বাসা থেকে কী আমাদের সম্পর্কটা মেনে নিবে। অরিএ একেবারে নিশ্চিত হয়ে বলে হ‍্যা আমার বাবা মা সবসময় আমার চাওয়া পাওয়া পূরণ করে উনারা কোনো আপওি করবেন না। এরপর অরিএ গোলাপ দুইটা অদিতির হাতে দেয়। অদিতি বলে বাহ আমার জুনিয়র প্রেমিক তো অনেক স্মার্ট হয়ে গেছে। অদিতি অরিএের জন্য একটা গিফট নিয়ে এসেছিল সেটা দেয়। অরিএের এই প্রথম কোনো গিফট পাওয়া মেয়ে মানুষের থেকে। গিফট টা বেশ স্পেশাল ছিল তার জন্য।।

সেদিন ঘোরাঘুরি শেষ করে দুজন বাড়ি ফিরেছে। ওদের সম্পর্কে এভাবেই এগিয়ে যায়। কখনো রাগ অভিমান এগুলোর মধ্যে দিয়ে। এরমধ্যে অদিতি ফাইনাল ইয়ারে উঠে যায়। অরিএ তখন তৃতীয় বর্ষের ছাএ।

---

---

source

---

---

অদিতি এবং অরিএ ওদের সম্পর্ক নিয়ে খুবই সিরিয়াস। দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসে। ওরা পরিকল্পনা করে রাখে অদিতি বের হয়ে জব করবে এবং এরপর অরিএের লেখাপড়া শেষ হলেই দুজন বাড়িতে বলবে। কিন্তু মানুষ যা কল্পনা করে সেটা কী সবসময় হয়। অদিতি ফাইনাল ইয়ারে খুব ভালো রেজাল্ট করে বের হয়ে যায়। অরিএ অবশ‍্য এখন ফাইনাল ইয়ারে। কিন্তু আমাদের দেশের বাবা মা মেয়েদের বোঝা মনে করে। সেজন্য তারা চাই দ্রুত মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে। অদিতির ক্ষেএেও সেটাই হয়। অদিতি লেখাপড়া শেষ করে বাড়ি চলে যায় অরিএের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হয়। এই অবস্থায় অদিতি দেখতে ছেলেপক্ষ আসে। ছেলের ব‍্যবসা আছে বেশ ভালো অবস্থা পরিবারও ভালো। অদিতির পরিবার রাজি ছেলেও অদিতি কে পছন্দ করে।

কিন্তু অদিতি বলে বাবা এই বিয়ে আমি করতে পারব না। অদিতির বাবা মা কখনো তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু বলেনি। অদিতি সব খুলে বলে অরিএের সম্পর্কে। তখন অদিতির বাবা মা বলে দেখ অদিতি ছেলেটা তোমার থেকে ছোট। এই সম্পর্ক কী ওর বাড়ি থেকে মেনে নিবে। এবং পরবর্তীতে যদি ছেলের মত পরিবর্তন হয়ে যায়। অদিতি বলে হবে না। অদিতি কোনোভাবে পরিবারকে ম‍্যানেজ করে একবছর সময় চেয়ে নেয়। এরমধ্যে অদিতির পরিবারের সঙ্গে অরিএেরও কথা হয়।।।

---

চলবে

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

---

---

---

---

---

---

---

---