!! প্রথমবার রাজধানী ঢাকা ভ্রমণ(তৃতীয় পর্ব)!! ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

আসর নামাজ পড়ে আমি আর সোহেল ভাইয়া বের হলাম। যাএাবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচ থেকে রিক্সায় উঠলাম।ঢাকা শহরে রিক্সায় ঘুরাঘুরি করার মজাটা একটু বেশি। এবং আমার প্রথম দিন বেশ ভালো লাগছিল। এরপর গেলাম মতিঝিল সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। এরপর মাগরিবের সময় হয়ে আসছিল। ভাইয়া বলল চল বায়তুল মোকারম মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে আসি। বায়তুল মোকারম মসজিদের পাশেই বঙ্গবন্ধু ফুটবল স্টেডিয়াম। বায়তুল মোকারাম বাংলাদেশের প্রধান জামে মসজিদ। মসজিদ টা অনেক বড় এবং সুন্দর। বেশ ভালো লাগছিল। মাগরিব নামাজ শেষ করে আমি এবং ভাইয়া গেলাম টিকিট কিনতে। সন্ধ‍্যা ৭ টা থেকে ম‍্যাচ শুরু। বাংলাদেশ বনাম ভুটানের মধ‍্যকার ফুটবল ম‍্যাচ। টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকলাম। বেশ ভালো একটা জায়গাই সিট পেয়েছিলাম। এটা আমার জীবনে প্রথম স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা।

---

---

---

---

source

---

---

রেফারির বাশি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলা শুরু হয়ে গেল। মাঠের মধ্যে জামাল ভুইয়া, তপু বর্মন, রহমত মিয়া বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াদের দেখা যাচ্ছে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রথমার্ধেই বাংলাদেশ ভুটানকে দুই গোল দেয়। হাফ টাইমে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে। এরপর দ্বিতীয় হাফে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলে। সবমিলিয়ে ম‍্যাচ শেষ হয় বাংলাদেশ ৪-১ ভুটান। ম‍্যাচটা আমি অনেক উপভোগ করেছিলাম। ম‍্যাচ শেষ করে বাসায় আসলাম রাত দশ টাই। এরপর খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। তখন সুমন ভাইয়া বলল আগামীকাল সকালে তাড়াতাড়ি উঠিস। আমি তোর সঙ্গে যাব। কাল সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আমাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। রাতে রোহান ভাইয়া ফোন দিল। বলল কাল কাজ করে আয়। তারপর আমার ক‍্যাম্পাসে নিয়ে আসব। পরেরদিন শনিবার চলে গেলাম বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। এ দেখি এলাহী ব‍্যাপার। আমার সঙ্গে ছিল সুমন ভাইয়া। আমার মতো আরও ২০০০ জন্য ছাএছাএী।তিনটা চেকিং পার হয়ে ভেতরে যাওয়া লাগে। আমার অনুষ্ঠান চলবে প্রায় ১২ টা ১ টা পযর্ন্ত। সুমন ভাইয়া বলল তুই থাক আমি অফিসে গেলাম। যাওয়ার সময় আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে গেল কীভাবে বাসায় যাব। ভেতরে গিয়ে আমি কর্মকর্তাদের থেকে আমার বৃওিপএ সংগ্রহ করলাম। এরপর ভেতরে গিয়ে বসলাম। জায়গাটা দারুণ। প্রধান অতিথি আসলে অনুষ্ঠান শুরু হবে। প্রধান অতিথি ছিল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং বাংলাদেশ ব‍্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। উনারা আসলেন ১১ টাই। তারপর শুরু হলো অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে আমি আমার দুই বন্ধুর সাথে দেখা করলাম। ওদের সিরিয়াল আমার পরে থাকায় ওরা নিচে বসেছিল এবং আমি উপরে। যাইহোক ওদের সঙ্গে দেখা করলাম। এরপর সুমন ভাইয়ার বলে দেওয়া বাসে উঠলাম। রাস্তায় তখন মোটামুটি জ‍্যাম ছিল তবে সেটা বেশি না।

---

---

যাএাবাড়ি এসে নামলাম। এখন যাব ভাইয়ার বাসায়। কিন্তু এখানে ঝামেলা হয়ে গেল। ঢাকা শহরে আজ আমার দ্বিতীয় দিন। সব গলি দেখতে প্রায় একইরকম ফেললাম গুলিয়ে। টানা ৩০ মিনিট ধরে খুজলাম ভাইয়ার বাসায় যাওয়ার রাস্তা তারপর পেলাম। এরপর ঠিক ২ টার পর বাসায় গিয়ে কলিং বেল দিলাম। সুমন ভাইয়ার বউ দরজা খুলে বলল এতো দেরী হলো কেন তোমার। আমি বললাম রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তখন আমাকে বলল তো ফোন করতে আমি গিয়ে নিয়ে আসতাম। আমি বললাম ব‍্যাপার না চলে তো আসছি। এরপর গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। সুমন ভাইয়ের বউ আমাকে ডেকে খেতে দিল। খাওয়ার আইটেম ছিল ভাত খাসির মাংস আর ডাউল। খাওয়া শেষ করে ঘুমালাম। বেশ পরিশ্রম গেছে আর কী। উঠলাম আসরের পর। তখন গেলাম একটু ছাদে। উপর থেকে ঢাকা শহরটা দেখতে আহ কী চমৎকার। এক প্রশান্তির হাওয়া এসে শরীরে শিহরণ জাগিয়ে দিয়ে গেল।

---

---

চলবে.....

---

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---