ভোল্টেজ ৪২০ সম্পূর্ণ মুভি রিভিউ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মুভি সম্পর্কে কিছু তথ্য
------- | ------ |
---|---|
পরিচালক | আর.চান্দু |
গল্প | আর.চান্দু |
মিউজিক | হরি |
মুক্তি | ১৯ জুন ২০১৫ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তেলেগু/হিন্দি |
অভিনয়ে | সুধির বাবু, নন্দিতা রাজ, কৃষ্ণা মুরালী, এম এস নারায়ন, নাগা সাইতানিয়া আরো অনেকে। |
মুভির কাহিনী সংক্ষেপ
ভারতের ছোট একটি শহর। এই শহরের স্কুলে লেখাপড়া করা সবাই এখন প্রায় গ্রামে থাকে। ছোট খাট কাজ করে জীবন চালিয়ে নিচ্ছে। কয়েকজন বেশ পর্যায়ে গিয়েছে। তারা ঠিক করে সবাই মিলে একদিন একসঙ্গে হব। আমাদের ভাষায় পূর্ণমিলনী আর কী। তো গ্রামের ঐ কজন বন্ধু মিলে ঐ স্কুলের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে উনারা রাজি হয়ে যান। এরপর তারা সবার নাম্বার যোগাড় করে ফোন দিয়ে বলে দেয় এবং যাদের বাসা আশেপাশের গ্রামে তাদের বাড়িতে গিয়ে বলে আসে। এদের মধ্যে একজন ছিল নাম কৃষ্ণা। তার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই গ্রামে। যাইহোক এখন আমেরিকা থাকে। অনেক বড় একজন ইঞ্জিনিয়ার। ও শুনে বলে ঠিক আছে আমি আসব। এরপর কৃষ্ণা যাএা শুরু করে। আসতে আসতে কৃষ্ণা তার অতীতে চলে যায়। কিছু স্মৃতি কৃষ্ণাকে এখনও তাড়া করে বেড়াই। সে কল্পনায় তার স্কুল এবং কলেজ জীবনের ঘটনাগুলো বর্ণনা করে।
কৃষ্ণা, চান্দু, বিনু, জিলানী সবাই একসঙ্গে পড়ত। কৃষ্ণা লেখাপড়াই খুবই ফাঁকিবাজ ছিল। যাইহোক সে ক্লাস সেভেন ফেল করে কিন্তু শিক্ষার্থী কম থাকায় স্যাররা কৃষ্ণাকে অষ্ঠম শ্রেণিতে তুলে দেয়। ঠিক ঐ সময়ে ঐ স্কুলে নতুন একটি মেয়ে আসে। মেয়েটার নাম রাধা। মেয়েটা কে দেখেই কৃষ্ণার ভালো লেগে যায়। সে মেয়েটাকে পছন্দ করতে শুরু করে। স্যার কৃষ্ণাকে পড়া ধরে ভারতের রাজধানীর নাম কী? কৃষ্ণা এটাও জানত না। কিন্তু রাধা ছিল ভালো ছাএী সে ঐ প্রশ্নটার উওর দেয়। এরপর কৃষ্ণা ঠিক করে সেও ভালোমতো লেখাপড়া করবে। পরবর্তী দিন সে শুধু ভারত না ভারতের প্রতিটা রাজ্যের রাজধানীর নাম পড়ে আসে শুধুমাত্র রাধার জন্য। পরের দিন স্যার তো অবাক হয়ে যায়। যাইহোক এভাবেই দুজনের বন্ধুত্ত্ব হয়ে যায়। তারা স্কুল শেষ করে। মাধ্যমিকে রাধা প্রথম এবং কৃষ্ণা দ্বিতীয় হয়। এরপর দুজন কলেজে ভর্তি হয়। তাদের বন্ধুত্বটা অনেক গভীর হয়। কিন্তু এতদিনেও রাধাকে ভালোবাসার কথা বলতে পারে না কৃষ্ণা।
অন্যদিকে রাধাকে নিয়ে একটি ছেলের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে যায় কৃষ্ণা। ঝামেলা শেষ হলে কৃষ্ণা ঠিক করে সে রাধাকে সব বলবে। এজন্য সে একটি চিঠি লেখে রাধার কাছে। কিন্তু সেটা রাধা দেখে না এবং সেটা রাধার মায়ের হাতে পড়ে যায়। আসলে রাধার বাবা মারা গেছে। তাই রাধার মা চাইনা এইসব দিকে গিয়ে রাধার লেখাপড়া নষ্ট হক। তাই তিনি কৃষ্ণাকে অনুরোধ করে রাধার পেছনে না ঘুরতে। এরপর কৃষ্ণার কলেজের শিক্ষক কৌশলে রাধার মুখ থেকে বলায় যে রাধা কাউকে ভালোবাসে না। আসলে রাধা কৃষ্ণাকে কখনও সেভাবে দেখেনি। এতে করে কৃষ্ণা খুবই ভেঙ্গে পড়ে। এবং ক্রমেই কৃষ্ণা রাধার থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। এরপর উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল দিলে কৃষ্ণা খুবই ভালো ফলাফল করে। এরপর সে ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য হায়দ্রাবাদে চলে যায়। এবং সেখানকার একটা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়। রাধার সাথে এখন কৃষ্ণার সেরকম যোগাযোগ নেই। এভাবেই অনেক দিন কেটে যায়।
এরপর কৃষ্ণার দেখা হয় তার বন্ধু চান্দুর সাথে। সে এখন খুব অভাবে। যাইহোক কিছুদিন কৃষ্ণার কাছে থাকে সেই সময়ই চান্দু বলে রাধাও এখন হায়দ্রাবাদে আছে। ঠিকানা নিয়ে একদিন রাধার সাথে দেখা করে কৃষ্ণা। কিন্তু সে দেখতে পাই রাধা সে আগের মতোই আছে। রাধার এখনও কৃষ্ণার প্রতি কোনো ভালোবাসা আবেগ কিছুই নেই। যাইহোক এরপর তাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কৃষ্ণা তার ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে বেশ ভালো একটা চাকরি পেয়ে যায়। সে খুব ভালো কাজ করাই সে খুব দ্রুত প্রমোশন পেয়ে বাবা মাকে নিয়ে আমেরিকা চলে যায়। রাধার সাথে আর কোনো যোগাযোগ নেই কৃষ্ণার। এরপর এই পূর্ণমিলনী এসে ভাবে এবার হয়তো রাধার সাথে তার দেখা হবে। এই আশা নিয়েই সে ভারতে আসে।
যাইহোক ঠিক দিন ঠিক সময়ে ঐ স্কুলে চলে আসে কৃষ্ণা। কিন্তু সবাই আসলেও সে রাধাকে দেখতে পাইনা। এতে করে সে অনেক বিচলিত হয়ে যায়। এরপর সেই অনুষ্ঠান শেষ করে কৃষ্ণা তার বন্ধুদের বলে রাধা আসেনি। সবাই বলে না। এরপর রাধার ঠিকানা নিয়ে কৃষ্ণা তার বাড়িতে যায়। আসলে পুরানো ভালোবাসা তো ভূলবে কীভাবে। রাধার বাড়িতে গিয়ে দেখে রাধা বসে আছে পাশে একটা বাচ্চা। কৃষ্ণা ভাবে এতদিনের কথা রাধার হয়তো বিয়ে হয়ে গেছে এটা হয়ত তারই বাচ্চা। এতে করে সে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে না। এরপর পাশের বাড়ি থেকে এসে একজন মহিলা বাচ্চাটা নিয়ে যায়। তখন সে বুঝে এটা রাধার বাচ্চা না। এবং সে জিজ্ঞেস করে তুমি এখনও বিয়ে করনাই। জাববে রাধা বলে না। সাথে সাথে প্রথমবার রাধাকে সরাসরি তার ভালোবাসার কথা জানাই কৃষ্ণা। এবং সে তখন জানতে পাই একটা এক্সিডেন্টে রাধার এক পা কেটে ফেলা হয়। এবং সে এখন স্ট্রেচার নিয়ে চলাফেরা করে। যাইহোক কিন্তু কৃষ্ণার ভালোবাসা তো মিথ্যা না। এরপর কৃষ্ণা রাধাকে নিয়ে চলে যায়। তাদের ভালোবাসা পরিণতি পাই। এবং এখানেই শেষ মুভিটা।
ব্যক্তিগত মতামত
মূলত এটা একটা প্রেম কাহিনীর উপর নির্মিত ছবি ছিল। আসলে প্রেমের যে কখনো মৃত্যু হয় না। এবং ভালোবাসা ঠিক থাকলে কোনো প্রতিবন্ধকতা পারে না একে অন্যকে দূরে নিয়ে যেতে। এই মুভিতে এটা খুব ভালো করে দেখানো হয়েছে। এবং বর্তমান সময়ের প্রেম ভালোবাসা এগুলো অনেকটা স্বার্থ রক্ষার ভালোবাসা। যেখানে এই মুভিতে ব্যতিক্রম একটি ভালোবাসার গল্প দেখতে পাই আমরা। এবং মুভিটা খুবই শিক্ষনীয় এবং রোমান্টিক ছিল। আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে মুভিটা। এবং মুভির পরিণতি টাও বেশ প্রশংসনীয় ছিল।
টুইটার
ভাই এই মুভিটা আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে।আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি।বেশ রোমান্টিক ছিল মুভিটা।ছোটবেলার ভালোবাসা পরে গিয়ে সারাজীবনের সঙ্গীতে রূপ নেয়।মুভির নায়ক অনেক বড় পর্যায়ে গিয়েও নায়িকাকে ভুলে যাননি।বরং সৃতিগুলোকে আকড়ে ধরে রেখেছেন।এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকেউ ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এই মুভির কাহিনি পরে বেশ ভালো লাগছে। মুভির কাহিনি পরে বুঝলাম পুরাই রোমান্টিক। আমি পুরো মুভিটা দেখবো।সত্যি কারের ভালো বাসা গুলো বেচে থাক আজীবন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া।
❤️❤️❤️❤️
ভালো ছিল মন্তব্য টা। ধন্যবাদ।।