প্রশান্তির খোঁজে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি আপনারা ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। তবে গরম টা আর ভালো থাকতে দিচ্ছে না। জানি এটা গরমের সময় গরম লাগবেই কিন্তু সেটা সহনশীল পর্যায়ে থাকলে ঠিক আছে। আজ আমাদের এলাকায় তাপমাত্রা প্রায় ৪০°। ভাবা যায় কী গরম। রোজার মাসে আমার সেরকম কোন কাজ নেই। সেজন্য প্রতিদিন আমি সেহেরি করে একবারে ঘুমাই। প্রথম কিছু রোজা কেটেছে ঠান্ডার মধ্যে সেজন্য কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু সত্যি বলতে এখন যখন ঘুমিয়ে থাকি দুপুর এগারো টার পর এতোটা অস্বস্তি লাগে বলে বোঝাতে পারব না। মাঝে মাঝে তো আমার পুরো শরীর ভিজে যায় ঘামে। যেটা আমার কাছে একেবারে অসহ্য লাগে। মোটামুটি যতক্ষণ রোদ থাকে এইরকম গরম চলতে থাকে। কিছু করার নেই সহ্য করতেই হবে।
এটা গত শুক্রবারের কথা। রোজার মধ্যে সারাদিন বাড়িতেই ছিলাম। দুপুরের কিছুটা সময় কমিউনিটিতে দিয়েছিলাম। এবং তারপর বিকেলে হাঁটতে বের হয়েছিলাম কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। ইফতার টা শেষ করে দ্রুত পোস্ট টা করে ফেললাম। তখনই আমার এলাকার এক বড় ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলল ইমন চল বাইরে যায় ঘুরে আসি। এই গরমে বাইরে গেলে খারাপ হয় না। বাইকে ঘুরলে বেশ বাতাস লাগবে ভালো লাগবে। যেই ভাবনা সেই কাজ। আমি এবং ঐ ভাই এবং আরেকজন তিনজন বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। বাইকে ঘুরলে বেশ ভালো বাতাস লাগে। এবং রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন বাইরে টা ঠান্ডা হয়ে গেছে এমন অবস্থা। বেশ কিছুক্ষণ বাইকে ঘুরলাম। তারপর হঠাৎ আমার মাথায় একটা আইডিয়া আসলো।
হ্যা এই সময় সবচাইতে ভালো এবং প্রশান্তির জায়গা হচ্ছে আমাদের কুমারখালী শহরের পাশে গড়াই নদীর উপর নির্মিত হওয়া ব্রীজ। তো ব্রীজে যাওয়ার সময় বাজারে মানুষ দেখে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। মনে হচ্ছিল ভাইরে এরা এই গরমে কেনাকাটা করতে আসছে এদের কী অস্বস্তি হয় না। তাদের দিকে নজর না দিয়ে আমরা ব্রীজে চলে গেলাম। গিয়ে দাঁড়ালাম একেবারে মাঝখানে। এই ব্রীজটা উদ্বোধন হয়েছে গতবছর। ওখানে গিয়ে বাইক থেকে যখন নেমে দাঁড়ালাম প্রশান্তির একটা বাতাস এসে যেন প্রাণ ছুয়ে গেল। সত্যি কী অসাধারণ জায়গাটা। নদীর উপর হওয়াই ওখানে বেশ দারুণ শীতল বাতাস। যেটা একেবারে প্রাণ ঠান্ডা করে দেয়। ব্রীজের উপরের স্ট্রিট লাইটগুলো জ্বলছে। বেশ দারুণ লাগছে। সুন্দর একটা আলো ছায়া পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে।
তখন আমি ফোন বের করে কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। কয়েকটা বেশ ভালো ক্যাপচার হলো। দেখে বেশ ভালো লাগছিল। আমরা তিনজন গল্প করতে করতে ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। একসময় আমার এক বড় ভাই বলেই ফেলে কাঁথা বালিশ নিয়ে এসে এখানেই ঘুমাতে হবে। আমি কোন কথা না বলে তাদের কথার সাথে সহমত পোষণ করি। খুব একটা খারাপ কথা বলেনি। সারাটা দিন গরম যতটা কষ্ট দিয়েছে তখন যেন সবকিছু নিঃশ্বেষ হয়ে গেছে। বাতাসে আমার শরীরে একটা শিহরণ সৃষ্টি হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আমার মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি কাজ করতে শুরু করে। মূহূর্তের মধ্যে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। একটা কথা আপনাদের মানতেই হবে গরম দূর করার জন্য আপনি ফ্যান ব্যবহার করেন আর এসি প্রাকৃতিক বাতাসের কাছে সবকিছু তুচ্ছ্য। তখন কথাটা আমি বেশ ভালভাবেই উপলব্দি করতে পারছিলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
রাতে যেমন প্রচন্ড গরম পরছে তেমনি লোডশেডিং। সেজন্য আমরাও রাতের বেলা বেরিয়ে পড়ি খোলামেলা পরিবেশে। শুক্রবারে আমরা কয়েকজন গিয়েছিলাম এই ব্রিজের উপর। নিম নিম করে বাতাস বইছে বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করছিল না। সেখানে এক ঘন্টা যাবত আড্ডা দিয়েছিলাম। সত্যিই ভালো লাগলো এরকম জায়গা গিয়ে গরমের সময় আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। অনেক প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।
হ্যা আমি আরকটু পরে গেলে হয়তো আপনাদের সাথে দেখা হয়ে যেত।
প্রশান্তির খোঁজে প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে ঘোরাঘুরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। ঠিক তেমনি আপনার সুন্দর একটা অনুভূতি দেখতে পারলাম এই পোস্টের মাঝে। প্রচন্ড গরমের দিনে বাইকে ঘুরতে ভালো লাগে একটাই কারণ, ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগে আর সেটা যদি হয় দিনশেষে রাত্রে কালীন মুহূর্তে জনশূন্য কোন পরিবেশে। যাইহোক তেমনই একটা অনুভূতি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। গড়াই নদীর উপরের ব্রিজটায় কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে বুঝতে পারলাম অনেক ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
প্রশান্তির খোঁজে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা৷ প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে যে ভালো লাগা কাজ করে অন্য কোথাও সে ভালোলাগা কাজ করে না৷ প্রকৃতির যে পরিবেশ এবং প্রকৃতির যে ঘ্রাণ রয়েছে সেটি কোথায় পাওয়া যায় না৷ প্রকৃতিতেই এই ঘ্রাণ পাওয়া যায়৷ আপনারা সকলেই প্রাকৃতিক পরিবেশের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য গড়াই নদীর উপর ব্রিজে চলে গেলেন। সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুব ভালো লেগেছে৷
এখন আসলেই প্রচন্ড গরম পড়েছে ভাই। তবে আপনি যে আপনার বড় ভাইয়ের কথাতে এত সুন্দর একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন, এটা কিন্তু অনেক ভাল ব্যাপার। কারণ সন্ধ্যার পরেই ব্রিজের উপর গিয়ে দাঁড়ালে অনেক সুন্দর ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায়। তাছাড়া কাঁথা বালিশ নিয়ে এখানে ঘুমানোর আইডিয়াটাও কিন্তু খারাপ ছিল না। হা হা হা....🤭🤭
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।