অন্যের বোঝা।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
নিজের ব্যবহারের জিনিস কিনতে গিয়ে দ্বিধায় পড়েন না এমন লোক খুবই কম আছে। অধিকাংশই পছন্দের একটা দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকে। এরপর যদি আপনাকে অন্য একজনের কিছু কেনার দায়িত্ব দেওয়া হয় আপনার কেমন লাগবে। হ্যা এইরকম একটা পরিস্থিতির সম্মূখিন হয়েছিলাম আমি গত কয়েকদিন। মোটামুটি বেশ ঝামেলায় ছিলাম এবং এখনো আছি কিছুটা। এখন সেটাই আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব। আমার খুবই কাছের একজন বন্ধু বা বান্ধবী যা বলেন তাই। তবে আমার গার্লফ্রেন্ড না। তবে গার্লফ্রেন্ড হয়ে যেতেও পারে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেব না। যাইহোক কয়েকদিন আগে আমার ঐ পেনডিং গার্লফ্রেন্ড আমাকে একটা ঘড়ির ছবি দেয়। ও হ্যা বলে নেয় আমরা একসঙ্গেই লেখাপড়া করি। ও ঘড়িটার ছবি দিয়ে বলে সুন্দর না। আমি বললাম হ্যা তো কী করবা। ও বলল ঘড়িটা দেখে পছন্দ হয়েছে ও কিনতে চাই। কিছুদিন পর ওর চাচাতো ভাইয়ের জন্মদিন ও তাকে ঘড়িটা গিফট করবে। কিন্তু ও কখনো অনলাইন থেকে কেনাকাটা করেনি। তাই কী করবে বুঝতে পারছিল না। এক পর্যায়ে আমাকে বলে তুমি তোমার ঠিকানায় অর্ডার দাও আমি কলেজ গিয়ে তোমার থেকে নিয়ে নেব।।
আমি বললাম ঠিক আছে সমস্যা নাই। পেইজটার লিংক দাও। এরপর ও লিংক দিলে আমি ওদের সঙ্গে চ্যাট এ কথা বলে ঘড়িটা অর্ডার করে দেয় গত রবিবার।। কিন্তু আমার একটু ভয় করছিল অন্যের জিনিস তারপর আবার অনলাইন থেকে কিনে দিচ্ছি যদি কোনো সমস্যা হয়। ওকে বললাম দেখ অর্ডার তো দিলাম যদি যেমনটা দেখলে ঐরকমটা না হয় তখন কী করবা। ও শুনে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বলল এইরকম আবার হয় নাকী। আমি টাকা দিচ্ছি ওরা অন্য প্রোডাক্ট কেন দেবে। আমি তখনই বুঝে গেছিলাম অনলাইন সম্বন্ধে এই মেয়ের ধারণা কতটুকু। ওরা বলেছিল ৪৮ ঘন্টা পর ডেলিভারি দেবে। যেহেতু ঢাকার বাইরে সেজন্য সময় বেশ বেশি লাগে।। এদিকে ও বলছে ঘড়িটা কবে পাব আমার একটু জরুরি দরকার। কিন্তু কিছুই তো আর আমার হাতে না বলুন।।
বুধবার দুপুরের পর আমি খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে আছি। এমন সময় একটা ফোন স্যার আপনার একটা পার্সেল ছিল। আমি বললাম হ্যা। উনি বললেন আমি ৫ মিনিটের মধ্যে লোকেশনে পৌছাব আপনি আসেন। ডেলিভারির জায়গাটা দেওয়া ছিল আমাদের এলাকার মোড়ের উপর। জায়গাটাকে সি এন্ড বি রেলগেট বলা হয়। যাইহোক আমি যাওয়ার আগেই দেখি উনি এসে গেছেন। গিয়ে কথা বললাম। এরপর উনি আমার হাতে প্রোডাক্টটা দিয়ে টাকা নিয়ে চলে গেলেন। ঘড়ির পার্সেল টা বাড়ি নিয়ে এসে রেখে দিলাম পরেরদিন কলেজ গেলে ওকে দিয়ে দেব। তখন অনলাইনে ছিল না। অনলাইন আসার পর বললাম তোমার প্রোডাক্ট এসে গেছে পরেরদিন নিও। ও বলছে খুলে দেখছ সবকিছু ঠিকঠাক আছে কীনা। আমি বললাম তোমার জিনিস আমি খুলে দেখব কেমন দেখাই না বিষয়টি। ও বলছে কেমন দেখাবে খুলে দেখ এবং বলো সবকিছু ঠিকঠাক আছে নাকী।।
যেহেতু আমি অর্ডার দিয়েছি আমার একটা দায়িত্ব থাকে সেজন্য সিদ্ধান্ত নিলাম পার্সেলটা খুলে দেখব। যথারীতি সন্ধ্যার পর এসে পার্সেল টা একে এক খুললাম। দেখলাম না ছবিতে যেমনটা দেখেছিলাম সেইম একই প্রোডাক্ট এবং ঘড়িটার কোয়ালিটি টাও বেশ ভালো। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি ছবি তুলে ওকে দিলাম বললাম সবকিছু ঠিকই আছে। তখন ও বলছে কিন্তু ছবিতে বড় ছিল ঘড়িটা এখানে ছোট লাগছে কেন এবার বুঝেন কেমন লাগে।। পরবর্তীতে আমি ওদের পেইজ এর ঘড়িটা দেখলাম না সবকিছু ঠিকঠাক আছে। তবে ওরা ছবিটা একটু কাছে থেকে তুলেছিল এই যা তাছাড়া সব ঠিকঠাক। এই কথাটা ওকে বলতে ও বুঝে গেল। অনলাইন থেকে আমি খুব একটা কেনাকাটা করি না। তবে বিগত কিছু প্রোডাক্ট আমি বেশ ভালো পেয়েছি। সেজন্য অনলাইনের উপর ক্রমেই আমার ভরসা বাড়ছে। তবে অন্যের জিনিস কিনতে গিয়ে প্রেসার নেওয়াটা একেবারেই বোকামি। কিন্তু ও বলল সেজন্য আর না করতে পারিনি।।
------- | ------- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | সেপ্টেম্বর,২০২২ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আসলে ঠিক বলেছেন নিজের কাজ করতেই তো এখন হিমশিম খেতে হয়। অন্যের কোন কাজের দায়িত্ব নেওয়াটা কিন্তু বিশাল ব্যাপার। তার ওপরে আবার অনলাইনে প্রোডাক্ট অর্ডার করা। এটাতে বিশ্বাস করা খুবই কঠিন ব্যাপার। কারণ কখনো কখনো সঠিক প্রোডাক্ট আসলেও মাঝে মধ্যে সঠিক প্রোডাক্ট আসে না। আমিও কিছুই অর্ডার করতাম। দু একবার একটু এলোমেলো হয়েছিল। কিন্তু আপনাদের প্রোডাক্ট সঠিক এসেছে এটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আর মেয়েটি আপনার গার্লফ্রেন্ড না হলেও মনে হচ্ছে হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি।
হি হি ধন্যবাদ আপু। আপনার মন্তব্য টা দেখে ভালো লাগল।।
ভাইয়া ঠিক বলেছেন এভাবে অন্যের কোন জিনিস কেনার দায়িত্ব নেওয়া আসলেই বোকামি। কারণ নিজে কিনলে খারাপ হলে তো হলই, কিন্তু অন্যের জিনিস খারাপ হলে তার দায় কিন্তু আপনাকে দিতে হতে পারে। তবে আমিও আপনার মত অনলাইন থেকে খুব বেশি একটা কেনাকাটা করিনা। মাঝে মাঝে ভালো পড়লেও একেক সময় যেটা চাই সেটা হয় না।
আপনার কথাটা একেবারেই ঠিক আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।।
ঘড়িটা বেশ ভালই লাগলো। গার্লফ্রেন্ড হোক আর না হোক বন্ধু তো। এতোটুকু তো করতেই হবে। আপনার উনি কে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দোয়া করি ভবিষ্যতে যেন গার্লফ্রেন্ড হয়ে যায়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আমাদেরকে শুধু দাওয়াত দিয়েন।
হি হি গার্লফ্রেন্ড হলে মন্দ হবে না। ধন্যবাদ
আপনাকে।।
আমি অনলাইনে কেনাকাটায় এখনো তেমন সন্তুষ্ট হতে পারিনি কারণ দুবার অর্ডার করে মনমতো জিনিস পাইনি। যাক আপনার ভাগ্য বেশ ভালো বলতে হয়। তবে বিষয়টি হচ্ছে অন্যের জন্য কোন জিনিস কেনা সত্যিই বেশ কঠিন কাজ। যাক আপনার ভাগ্য ভালো সঠিক জিনিসটা হাতে পেয়েছেন। ভালো লাগলো বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন 👌
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
ভাই অন্যের জন্য এ কাজ করা ঠিক নয়। যদিও সাকসেস হয়েছেন তারপরে বলবো এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন। কারণ অনলাইনে কেনাকাটা বড়ই রিক্স, নিজের ক্ষতি হলে কিছু মনে হবে না কিন্তু অন্যের জন্য হলে তার মাশুল দেওয়া বড়ই কঠিন।
ঠিকই বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।