এক হয়েও আমরা আলাদা।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমার আজকের পোস্টের শিরোনাম এবং বিষয় একটু আলাদা। আমাদের ভাষা এক, আমাদের সংস্কৃতি, জীবনযাপন, খাদ্যঅভ্যাস, চলাফেরা, উৎসব প্রায় সবকিছুই এক।তারপরও আমাদের মাঝে রয়েছে কাঁটা তারের বাঁধা। মানুষের সবচেয়ে বড় যোগাযোগের মাধ্যম হলো ভাষা। আর সেই ভাষা যদি রক্ত দিয়ে অর্জিত হয় তাহলে তার গুরুত্ব ঠিক কতটা বেড়ে যায়। বাংলা ভাষাটা আমাদের কাছে ঠিক এইরকম। পৃথিবীর মাএ ৩ শতাংশ মানুষ বাংলাই কথা বলে। এরমধ্যে বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সর্বাধিক। মাতৃভাষার দিক থেকে আমরা একটু পেছনে আছি তবে আমাদের সাহিত্য ইতিহাস অন্য যেকোন জাতির চেয়ে বেশি এবং সমৃদ্ধ । ইংরেজরা যখন ভারত শাসন করত তখন প্রথম অবস্থায় কলকাতা ছিল রাজধানী। পরে অনেক আন্দোলন প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়ে ইংরেজরা তাদের রাজধানী দিল্লিতে স্থানান্তরিত করে। তবে আন্দোলন প্রতিবাদ এগুলো শুরু হয় কিন্তু ফুটবল মাঠ থেকে।। যাইহোক ঐ ইতিহাস থাক আজ।
আমার বাংলা ব্লগ একটা সেতুবন্ধন বলা যায়। যেটা ভাষার জন্য আবার দুটো দেশের কিছু মানুষকে একএিত করতে পেরেছে। বাংলাদেশের এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ লোক কথা বলে বাংলাই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আমাদের সঙ্গে তাদের সংস্কৃতি জীবনধারা সবকিছুই মিলে যায়। কিন্তু আমাদের দেশ আলাদা। এই আলাদার শুরু করে দিয়ে গেছে অবশ্য ইংরেজ। ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন সর্বপ্রথম বঙ্গভঙ্গ করেন। এরপর কয়েকবছর ধরে চলে তীব্র আন্দোলন চলে। তারপর ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়। এরপর ১৯৪৭ সালে ইংরেজরা যাওয়ার সময় দেশভাগ করে দিয়ে যান। তখন পূর্ব বাংলা বর্তমান বাংলাদেশ পরে পাকিস্তানের অংশে যাদের সঙ্গে আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি কিছুরই মিল নেই। শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে এটা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তার ভয়াবহ পরিণতি আমরা দেখেছি এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। অন্যদিকে অন্য একটা বাংলা ভাষাভাষির অঞ্চল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা এগুলো পড়ে ভারতের মধ্যে। ব্যাস এটা যেন অঘোষিতভাবে দ্বিতীয় বঙ্গভঙ্গ।
সেই থেকে আমরা আলাদা। আজ কিছুদিন এই বিষয়টি আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলছে। সেজন্যই আপনাদের সঙ্গে কথাগুলো ভাগ করে নেওয়া। অন্যান্য অনেক ভাষা আছে যেসব ভাষায় বেশ কম লোক কথা বলে কিন্তু তবু সেগুলো বিশ্ব স্বীকৃত। কিন্তু বাংলা ভাষার ক্ষেএে অন্যটাই দেখা যায়। বলা যায় একসময় পৃথিবীতে বাংলা ভাষার কোনো মূল্যায়ন ছিল না। কিন্তু ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরষ্কার পান। একজন বাঙালি লেখক, সাহিত্যিকের নোবেল জয়।তখন থেকে বাংলা ভাষা মাথা উঁচু করে উঠে পৃথিবীতে। আমাদের দুই বাংলার অসংখ্য লেখক কবি বাংলাই সাহিত্যচর্চা করে গেছেন। বাঙালি থেকে বের হয়েছে জগত বিখ্যাত কিছু ব্যক্তিত্ব যার মধ্যে স্যার জগদীশ চন্দ্রবসু, নেতাজী সুবাস চন্দ্র বোস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ড. মোহাম্মদ ইউনুস যারা তাদের কাজ দ্বারা বাঙালি হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত। এরা সবাই অতীত বর্তমান সবসময় বাংলা বাঙালিকে তুলে ধরেছে বিশ্বের কাছে নিজেদের মাধ্যমে।
স্টিমিট একটি ব্লকচেইন প্লাটফর্ম। এখানে সবাই তার মাতৃভাষা অধিকাংশ মানুষ ইংরেজিতে ব্লগ তৈরি করে। কিন্তু অন্য ভাষা গুলো গুরুত্ব পেলেও বাংলা টা গুরুত্ব পায় না। বাংলা ভাষায় লেখা পোস্টগুলো ইগনোর করা হতো। কিন্তু এর ধারার পরিবর্তন করে এক নতুন সূচনার সৃষ্টি করেছে আমাদের ফ্যান্টম দাদা। স্টিমিট প্লাটফর্মের অনেকেই এখন বাংলা ভাষাভাষি মানুষের কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগকে রোল মডেল হিসেবে দেখছে। হয়তো তারা জীবনে প্রথম বারের মতো আফসোস করছে ইস কেন বাংলা জানলাম না হা হা এটা একটু মজা করে বললাম।। দাদার এই অসাধারণ উদ্যোগ যেন আমাদের আবার এক করেছেন। সত্যি বলতে বাংলা ভাষায় লেখার প্রতি অতোটা গুরুত্ব হয়তো কেউ দিতাম না যদি না দাদা এইরকম সময় উপযোগী উদ্যোগটা না নিতেন। নিজের মাতৃভাষায় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার অনূভুতি আলাদা। হয়তো আমাদের দেশ আলাদা, কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি এক আমাদের ভাষা এক। বাঁধা শুধু দুই দেশের মাঝের ঐ কাঁটাতারের বেড়া। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ আবার যেন একএিত করেছে দুই বাংলার মানুষকে। ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগ ধন্যবাদ ফ্যান্টম দাদা।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আপনি ঠিকই বলেছেন @rme দাদা না থাকলে এই ইংরেজি ব্লগের জগতে নিজের মাতৃভাষায় ব্লগিং করা সম্ভব হতো না। গল্পের পুরো বিষয়টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে । এমন ভাবে কথাগুলো সাজিয়েছেন যা আসলেই প্রশংসার দাবিদার।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালোলাগলো ভাইয়া।আপনার ভাবা মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।।
আসলে আপনার প্রত্যেকটা কথার মাঝে অনেক কিছুই যুক্তি আছে। সত্যি আমরা এখন বাংলা
ভাষায় ব্লগিং করতে পেরে এখন ভীষণ ভালো লাগছে। আর এটা এখন আমাদের জন্য অনেক বেশি গর্বের বিষয়। আপনার লেখার ধরন এমনকি প্রতিটা লেখা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।