!!! ঘটনা টার একবছর আজ!!! ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

মানুষের জীবন দীর্ঘস্থায়ী নয়। তবুও এই পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকে নিজের স্মৃতিটাকে আকড়ে ধরে। অতীত মাঝে মাঝে আমাদের আনন্দের কারণ হয় আবার কখনো দুঃখের।অতীত কে ছাড়া বেঁচে থাকা একপ্রকার কষ্টকর। তো চলুন আসল ঘটনায় যাওয়া যাক।

---

---

গতবার রমজান মাসে করোনার কারণে বাংলাদেশে লকডাউন ছিল। সেজন্য বাইরে খুব একটা যাওয়া হতো না। সবসময় বাড়িতে থাকতে হতো। তো বসে থেকে আর ভালো লাগত তো না। তো একপর্যায়ে আমি এবং আমার এলাকার বন্ধু কয়েকজন বড় ভাই মিলে সিদ্ধান্ত নেই বিকেলে ভলিবল খেলব। কী রোজা রেখে ভলিবল ভাবতেই কেমন লাগছে তাই না। কিন্তু আমাদের সবার মধ্যে আলাদা একটা উওেজনা ছিল। তো যথারীতি ভলিবল নেট সব কিনে নিয়ে আসা হলো। আমাদের এলাকার ঈদগাহ ময়দান টা বেশ দারুণ। সিদ্ধান্ত হলো সেখানেই খেলব। সম্ভবত সেটা ছিল ১২ রমজান বৃহস্পতিবার। সেদিন শুরু করি খেলা। আমি আগে কখনো ভলিবল খেলি না সেজন্য এই খেলার টেকনিক সম্পর্কে আমার ধারণা কম। তবে খেলা অনেক দেখেছি খেলার নিয়মকানুন সব আমার অবগত। জীবনে প্রথমবার ভলিবল খেলার পরে দেখলাম হাতে রক্ত জমে গেছে জায়গাই জায়গাই। এবং আমি একটু ফর্সা সেজন্য সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। প্রথমদিন খেলে বেশ মজা পেয়েছি। তাই সেদিন রাতে ইউটিউবে গিয়ে মোটামুটি ভলিবল খেলার টেকনিক সম্পর্কে বেশ অনেকগুলো ভিডিও দেখলাম ভালো ধারণা হলো।

---

---

পরেরদিন শুক্রবার রোজা রেখেছি।আসর নামাজের পর নেট টানিয়ে দুই দলে বিভক্ত হয়ে খেলা শুরু করে দিয়েছি। বেশ কিছুক্ষণ খেলেছি। একটি পর্যায়ে বিপক্ষ দলের খেলোয়ার রা সার্ভিস করল। আমাদের খেলোয়ার একজন বলটা ডিফেন্স করল। অন‍্যজন বলটা হাত দিয়ে তুলল আমি পেসার শর্ট বা চাপ মারার জন্য লাফ দিয়ে উঠেছি এমন সময় আমার পাশে আমার বন্ধু তোহাও লাফ দিয়ে উঠেছে। তোহা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে হুড়মুড় করে শূণ্যে আমাকে ধাক্কা দিল। আমি তখন প্রায় ভূমি হতে দুই ফুট উপরে। বলটা চাপ মেরে আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেলাম। ডান হাতটা সবার আগে পড়লো নিচে। মূহুর্ত্তের মধ্যে যেন আমার মাথা ঘুরে গেল। চারিদিকে অন্ধকার দেখছি। বাম হাত দিয়ে ডান হাতটা ধরে মাটিতে লুটিয়ে রয়েছি। বন্ধুরা এসে আমাকে ধরে তুলল। ওরা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাতে পানি ঢালছে। ক্রমেই যেন আমার হাত ফুলে যাচ্ছে। তখন মোটামুটি আর কিছু বুঝি নাই।।

---

---

যতই রাত হয়ে যাচ্ছে ততই যেন আমার হাত ফুলে যাচ্ছে এবং হাত ব‍্যাথায় টন টন করছে। আমার মা বিষয়টি খেয়াল করে হাতে পেইন কিলার মুভ ব‍্যাম দিয়ে দিল। কিন্তু তাতে কী আর কাজ হয়। আমি সেদিন সারারাত ঘুমাতে পারেনি ব‍্যাথায় ছটফট করেছি। পরেরদিন শনিবার সকাল সকাল আমার মা আমাকে নিয়ে যায় কুমারখালী হাসপাতালে। একজন হাড়ের ডাক্তার কে দেখালাম। উনি আমাকে একটি এক্স রে করতে বললেন। সেটা করার পর ডাক্তার কে রিপোর্ট দেখালাম। যাইহোক উনি বললেন না হাতে ভাঙেনি তবে ভালোরকম চোট লেগেছে। ডাক্তার ঔষধ দিল এবং হাতে একটা ব‍্যান্ডেজ দিল বলল সপ্তাহ খানেক রাখবেন। যাইহোক সাতদিন যাওয়ার পর মোটামুটি হাতটা ভালো হলো। কিন্তু ঐ যে সেদিন আমার শিক্ষা হয় গেছে এখন পযর্ন্ত আর ভলিবল খেলতে নামি নাই। আমি না থাকাই বিকিলে ভলিবল খেলা টাও বাদ হয়ে যায়।

---

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---