শেষ মূহুর্ত্তের ঘুরাঘুরি। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সময়টা যতই এগিয়ে আসছে এর ততই যেন বুকের মধ্যে হু হু করছে। এর যথেষ্ট কারণও আছে। গতবার সেমিষ্টারের রেজাল্ট টা খুব একটা ভাল হয়নি।এবারের প্রস্তুতিটা খুব একটা ভালো না। সেজন্যই টেনশন টা আরো বেশি। ৯ তারিখ থেকে পরীক্ষা এদিকে আজ ৬ তারিখ আর মাত্র কিছুদিন। এদিকে পড়ায় আর মন বসতেও চাইছে না।এইজন্য আমি এবং আমার বন্ধু লিখন ঠিক করি আজ শেষ বারের জন্য বাইরে যাব। এটা গত কালকের কথা।যেই কথা সেই কাজ আমি এবং লিখন বেরিয়ে পড়ি বিকেলে।কোথায় যাবো কোথায় যাবো সেটা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে পড়ল যায় আসাদ মামার চা খেয়ে আসি।সেই গড়াই নদীর তীরে এম এন স্কুলের কাছে। বেশি দুর যাওয়ার সাহস হয়নি কারণ পরীক্ষার সামনে একটা দুর্ঘটনা ঘটে।অন্য বিপদ বেড়ে যাবে তাই আরকি সেখানে গেলাম চলে।
আজ বিকেল বিকেল গেলেও অন্যদিনের চেয়ে আজকে এখানে অনেক কম ভিড় ছিল। অন্য দিন যেখানে এই জায়গা পা দেওয়া যায়না।আজ লোকজন ছিল না বললেই চলে। সুন্দর করে গিয়ে আমি এবং লিখন বট গাছের নিচে বসি। কিছুক্ষণ বসে থাকি। এরপর যথারীতি নদী এবং সূর্য সেই অপরূপ মেলবন্ধন দেখতে থাকি। গত সপ্তাহে এই জায়গায় আমি এসেছিলাম।দৃশ্যপট ঠিক একই রকম ছিল কিন্তু দুদিনের মধ্যে কিছুটা তফাৎ ছিল।যাই হোক এরপর লিখন গিয়ে আসাদ মামার কাছে চায়ের অর্ডার দিয়ে আসে। আগেরদিন পোস্টে আসাদ মামার চা সম্পর্কে আপনাদেরকে বলেছিলাম।আজ আমি দুধ চা খেয়েছি। আজকে লেবু চা খাইনি। কারণ আজকে লেবু চা খেতে ইচ্ছা করছিল না। তারপর কিছুক্ষণ বসে থাকে এরপর আসাদ মামা চা দিয়ে যায়।
এবার ওই যে শুরু হয়ে যায় খাওয়ার আগের কাজ। অর্থাৎ ফটোগ্রাফি। কিছুক্ষণ বিভিন্ন জায়গা থেকে চায়ের ফটোগ্রাফি করতে থাকি। এরপর চা খাওয়া শুরু করি।আসাদ মামার সব চা দারুণ হয়। দুধ চা তে উনি খাঁটি গরুর দুধ ব্যবহার করে থাকেন। এবং উপরে দুধের সর দিয়ে দেন। চা টা একেবারে অসাধারণ ছিল।আমি এবং লিখন কিছুটা সময় ধরে চা টা খাই।এখানে অন্যান্য খাওয়ার জিনিস থাকলেও এখানে আসলে চা ভিন্ন অন্য কিছু খায় না আমরা। চা খাওয়া করি। এরপর আমি এবং লিখন গড়াই নদীর পাড়ে ওই জায়গায় বসেছিলাম। এমন সময়ে আসাদ মামা এসে চায়ের কাপটা নিয়ে যায়।
এ জায়গার সাথে আমি আট বছর ধরে পরিচিত।এইখানে পাশে কুমারখালী এম এন হাইস্কুলে আমি লেখাপড়া করেছি। এখানে আশপাশে আমার অনেক বন্ধু আছে। তাদের সাথে দেখা হওয়া স্বাভাবিক এখানে আসলেই। এবার আমাদের ক্লাস ফ্রেন্ড শান্ত আসে। যদিও ওর সাথে আমাদের অনেকদিন যোগাযোগ নেই। তারপর আমি শান্ত এবং লিখন কথা বলি।এই অনেকদিন পর বন্ধুদের দেখা হলে যেসব কথা হয়ে সেসব কথাই আর কী। শান্তর কাকা অত্র এলাকার কমিশনার।এবং বলা যায় পরবর্তী মেয়র। ও এখন রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত থাকে বেশি। সেই রকম
ক্ষমতা আছে এলাকায় বলতে হয়।যদিও কাকার প্রভাব শান্ত অতোটা দেখায় না। কথাবার্তা বলে শান্ত চলে যায়। এবং আমি এবং লিখন ওখানে বসে থাকি।লিখনের মধ্যে যদিও আমি পরীক্ষার টেনশনে দেখছিলাম না। লিখনের পরীক্ষা নিয়ে কিন্তু অতটা টেনশন নেই। ও আবার কি ধাতু দিয়ে তৈরি ওই ভাল জানে।
এগুলো শেষ মুহূর্তের ছবি। সন্ধ্যা নেমে এলো প্রায়।এখন আর সময় নেই বিদায় নিতে হবে।জানিনা আবার কবে আসব। যদিও সেটা এই মাসে আর হবেনা। কারণ এখন শুধু টেনশন আর টেনশন জানিনা এবার পরীক্ষা নিয়ে কেন এত টেনশন এ আছি। যথাসময়ে আমি এবং লিখন মাগরিবের আজানের ঠিক পূর্বে এখান থেকে চলে যায়। তার পূর্বে আসাদ মামার চায়ের দাম দিয়ে যায়। আসাদ মামা বলে উঠল মামা আবার এসো। আমি হেসে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে মামা!দেখি কবে আসা যায়। এখান থেকে আমার বাসা প্রায় 4 থেকে 5 কিলোমিটার দুরে। লিখনের বাইকে গিয়েছিলাম বাইকে ফিরলাম। বেশী সময় লাগেনি। লিখন কালকে ফরিদপুর চলে যাবে। ও ফরিদপুর লেখাপড়া করে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে আসতে পারবে না। দুজন দুজনাকে শেষ বিদায় দিয়ে চলে আসি।
১০% @shy-fox এর জন্য।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
প্লেস টা দারু ছিলো, সাথে আবার চা, কোনো কথায় নেই। বোঝায় যাচ্ছে খুব দারুন সময় কাটিয়েছেন কিন্ত সামনে পরীক্ষা আপনার, ভালো ভাবে প্রিপারেশন নেন। আশা করি ভালো কিছু করবেন। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।💖💖
ভাইয়া আপনার ঘুরার মুহুর্ত গুলো দারুণ ছিল। প্রতিটি ছবি খুব সুন্দর হয়েছে, সূর্যঅস্ত যাবার ছবি গুলো আমার কাছে বেশ লেগেছে। তবে ৯ তারিক থেকে পরিক্ষা যেহেতু, সেখানে মন দিতে হবে এখন ভাইয়া আপনার। দুয়া রইলো আপনার জন্য অনেক।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
আসলে বিকালে লোকজন কম থাকায় আপনারা দুজন খুব সুন্দরভাবে মুহূর্তটি কাটিয়েছেন এবং পিকচার গুলো খুব সুন্দর ভাবে আপনি তুলেছেন। আমার দেখে খুবই ভালো লাগলো আর এক্সামের টেনশন হলে ভাইয়া। কিছু ভালো লাগে না। মাথার ভেতর টেনশন কাজ করে।
😞😞 ঠিক বলেছ তুমি ভাই। ধন্যবাদ।
আশা করছি আপনি আপনার পরীক্ষার ভালো প্রস্তুতি নিতে সক্ষম হবেন শীঘ্রই এবং পরীক্ষায় বেশ ভালো করবেন। খুব সুন্দর একটি বিকাল পার করেছেন নদীর পাড়ে। আর সাথে একজন বন্ধু আর এক কাপ চা হলে তো কথাই নেই পুরো জমে গেল। জন্য অনেক শুভকামনা রইল আগামী দিনগুলো আপনার যাতে ভাল যায়।
ধন্যবাদ ভাই💖💖
আমার আর ৭ দিন🙂বুকের ভেতর ধরাস ধরাস করে মাঝে মাঝেই🙃গতকাল বিদায় অনুষ্ঠানে ধরাস ধরাসকে সাইড করে একটু ফিল নিয়েছিলাম বটে কিন্তু আবার যে কে তাই😴
সময় ভালো কাটিয়েছেন।আশা করি প্রিপারেশন ভালো করে নিয়ে এক্সামে ভালো ফলাফল করতে পারবেন 🥰
😞😞😞।
ধন্যবাদ ভাই তোমার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার পরীক্ষা টাও ভালো হবে সেই কামনা করি।
আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতি যাতে খুব ভালো নিতে পারেন এই দোয়া করি আমি প্রথমে। আর এতটা সুন্দর একটা দিন আমাদের সাথে আপনি শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।আর বন্ধু দের সাথে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। সাথে আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য 💖💖
ভাই টেনশন কইরেন না আপনার পরীক্ষা ভালই যাবে ইনশাআল্লাহ। আপনার পুরনো দিনের বন্ধু দের সঙ্গে দেখা হয়ে ভালোই লাগছে মনে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেউ ধন্যবাদ ভাই।💖💖
আসলেই শেষ বিকেলে নদীর তীরে বসে এক কাপ চায়ের সাথে বিকেলটা পার করতে পারলে মন যেন স্বস্তি পায়। যারা নদীর তীরে সূর্য ডোবার দৃশ্য দেখে বিকালটা পার করেছে তারাই এই মজাটা বুঝতে পারে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। ব্যাপারটা আপনি বুঝতে পেরেছেন।
চায়ের কাপের সাথে সূর্যের ছবিগুলো খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। আপনার বন্ধুর সাথে কাটানো মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার পরীক্ষা ভালো হোক এই কামনা করি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ঘোরাঘুরি বর্ণনা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে আপনার ক্যামেরাবন্দি করা দৃশ্যগুলি অতুলনীয়। দক্ষ ক্যামেরাম্যান ছাড়া এত সুন্দর ছবি উঠানো সম্ভব না।
😊😊। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।।