অপরিকল্পিত নগরায়ন।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বিশ্বের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো তুরস্ক এবং সিরিয়ায় হওয়া ভূমিকম্প। গতকাল পযর্ন্ত তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মোট ১৯ হাজারের মতো মানুষ মারা গেছে। এবং ধ্বংস হয়েছে ঐতিহাসিক কিছু স্থাপত্য। ভূমিকম্প টা বেশ শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও ঐ ভূমিকম্পের পরে আরও বেশ কয়েকবার কেঁপে উঠেছে ঐ অঞ্চল। ২০১৬ সালে নেপালে হওয়া ভূমিকম্পের পর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প এটা। তবে আজ আমি তুরস্ক বা সিরিয়ার ভূমিকম্প নিয়ে কথা বলব না। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনবহুল শহর ঢাকা। বাংলাদেশের মানুষকে যেকোন প্রয়োজনে চাকরি,শিক্ষা, চিকিৎসা, বাহ অন্য কিছুর জন্য ছুটে যেতে হয় ঢাকায়। কিছুদিন আগে আমাদের সুমন ভাই তার পোস্টে বলছিল। যে অপরিকল্পিতভাবে সবকিছু ঢাকা কেন্দ্রিক করার জন্য ঢাকা ক্রমেই মানুষের বাস অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। এখনই নাকী ঢাকাতে বেশ ভালো গরম পড়া হয়েছে। অথচ গ্রামের দিকে এখনো মোটামুটি ভালো ঠান্ডা।
শুধু যে মানুষের বাস অযোগ্য হচ্ছে ব্যাপার টা সেটা না। ঢাকা এখন বিপদজনক শহরের মধ্যে অন্যতম। কয়েকদিন ধরেই নজরে আসছে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছে ঢাকার অবস্থান এমন জায়গাই যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কোনো শক্তিশালী ভূমিকম্প হলেই ঢাকার নিয়মহীনভাবে বানানো ভবন গুলো ভেঙে পড়বে। এবং এতটাই জনবহুল যে প্রায় কোটি মানুষের প্রাণহানীও হতে পারে। এমনটা হওয়া খুব একটা কঠিন বা অসম্ভব না। এবং সবচাইতে বড় সমস্যা এর কোনো সমাধান নেই। এখন চাইলেও এই সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। অন্য ব্যবস্থা নেওয়াও সম্ভব না। বিগত সালে বাংলাদেশে ভূমিকম্পে সেরকম কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে প্রায়ই শোনা যায় বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনা। এবং ভবনগুলো এত কাছাকাছি অবস্থিত যে একটা ভবন থেকে অন্য ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ধরে নেওয়া যাক আপনার বাড়িটা সঠিকভাবে নিয়মকানুন মেনে তৈরি করা। সবকিছু ভালো ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা। শক্তিশালী ভূমিকম্পে টিকে থাকবে এমন। কিন্তু আপনার ভবনের পাশে যে ভবনগুলো আছে সেগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে বানানো না। এবং এইরকম কোনো একটা ভূমিকম্পে বা দূর্যোগে ঐ ভবনা আপনার ভবনের উপর হেলে পড়ল বা ভেঙে পড়ল তখন আপনার বা আমার গতি হবে কী?? এইরকম কোনো দূর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা অনেক ছাড়িয়ে যাবে। এবং যে অবস্থা দাঁড়াবে সেইরকম পরিস্থিতি বা দূর্যোগ মোকাবেলা করার ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। আমি শুধু একটা অবস্থার কথা বলছি যে এইরকম টা হতে পারে। এইরকম পরিস্থিতি হলে আপনার আমার অবস্থা কী হবে। এইরকম টা আগে থেকে ভেবে রাখা কী উচিত না??
বাংলাদেশের অধিকাংশ পরিকল্পনাই দীর্ঘমেয়াদি না। একই কাজ বার বার করতে হয়। একই রাস্তা বার বার খুঁড়তে হয় কারণ একবার টেলিফোন লাইন একবার পানির একবার গ্যাসের লাইন ঠিক করতে হবে। এটা আপানারা একটু খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন চার পাশে। হয়তো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমাদের এখন থেকেই উচিত ঢাকার বিকল্প কিছু ভাবা। এবং এখনো চেষ্টা করলে হয়তো এটা সম্ভব। তাহলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিশেষ করে ঢাকা শহর বড় কোনো দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাবে। বেঁচে যাবে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। আমরা অতিরিক্ত সুবিধার জন্য প্রকৃতিকে যেভাবে শাসন শুরু করেছি এতে করে প্রকৃতি যে তার ভয়ংকর রুপ দেখাবে এটাই স্বাভাবিক। প্রকৃতির কাছে মানুষ বড়ই অসহায়। যেটা ভূমিকম্প, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো দূর্যোগ আসলেই বোঝা যায়। আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
তুরস্ক ও সিরিয়াতে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে যেন পুরো বিশ্ব কেঁপে উঠছে। সত্যি অনেক ভয়াবহ অবস্থা এই দুই দেশে। এমন ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কা আছে আমাদের দেশেও। আল্লাহ আমাদের এই প্রাকৃতিক দূর্যোগের হাত থেকে সবাইকে হেফাজতে রাখুন।
তুরস্ক এবং সিরিয়ায় হওয়া ভূমিকম্প ব্যপারটা বেশ খারাপ লাগে নিউজফিড দেখলেই।আল্লাহ তাদের কে হেফাজত করুক।যাই হোক ঢাকা তো আগ থেকেই ঝুকিপূর্ণ। তারপর ও যে কোন কিছুতেই ঢাকা তে আসা লাগে।আসলেই ঢাকাতে এখনই গরম পরছে।কথা গুলো বেশ ভালো লিখেছেন। আদৌ কি আমরা সচেতন হবো,মনে হয় না।
ভাই খবরে এখন প্রধান শিরোনাম তুরস্ক এবং সিরিয়ায় হওয়া ভূমিকম্প৷ হাজার মানুষের প্রান হানী সত্যি বলতে অনেক দু়ঃখের মধ্যে দিয়ে সেই দেশের মানুষের উপর দিয়ে ৷
তবে কয়েকদিন ধরে খবর দেখছি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার কথা যার চট্রগ্রাম ঢাকা খুবই ভয়ানক অবস্থায় ৷ তবে এটা ঠিক ঢাকা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ৷ সর্বোপরি সবার সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷
অপরিকল্পিত নগরায়নের দিক থেকে ঢাকা শহর কত নাম্বারে আমি জানিনা, তবে ঢাকার শহরের বিল্ডিংয়ের যে অবস্থা তাতে করে আমাদের ঢাকা শহরে যদি সিরিয়া বা তুরস্কের মতো কোন ভুমিকম্প হয় তাহলে কি অবস্থা হবে সেটা একমাত্র আল্লাহ ই জানেন। আমি ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ ঢাকা থেকে এসেছি তখনই ঢাকায় মোটামুটি ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে হতো। আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম যে ভুমিকম্পে দুই দেশে এ পর্যন্ত ১৯০০০ লোক মারা গেছেন।
খুবই খারাপ লেগেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়ায় হওয়া ভূমিকম্পের ব্যাপারটা শুনে। এই নিউজটি যখন আমি পাই তখন আমার গাঁ একেবারে চমকে গিয়েছিল। দুই দেশে মিলে এই পর্যন্ত ১৯ হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে প্রত্যেকটি স্থান এবং দেশ অসহায় সে সাথে মানুষও। আমরা চাইলেও কিছু করতে পারবো না। আমাদের দেশ যেন সবসময় এরকম মনোরম পরিবেশ নিয়েই থাকে সেই কামনা করি। দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ভূমিকম্পটির কথা মনে করিয়ে দিলেন আজকে আবার আপনার এ পোষ্টের মাধ্যমে।
ভূমিকম্পটির কথা শুনলে আমার এখনো অন্যরকম লাগে। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পটি সবাইকে অন্যরকম করে ফেলেছে। যে মানুষগুলো এই ভূমিকম্প টির কারণে মৃত্যুবরণ করেছিল তাদের জন্য সত্যি খুবই খারাপ লাগছে। এরকম ভূমিকম্প যেন আর কোথাও না হয় সেই কামনা করি। ১৯ হাজার মানুষ এই ভূমিকম্পটির কারণে মারা গিয়েছিল। এমনিতে আপনার আজকের লেখার টপিক ভালো ছিল। এরকম একটি বিষয় শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।