🛣চিরচেনা সেই ১৫ কিলোমিটার 🛣🛶। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। পৃথিবী বৈচিত্র্যময় একটি গ্রহ। এই গ্রহে আপনি যত ঘুরবেন দেখবেন তত বেশি জানবেন। আমার বাড়ি থেকে আমার কলেজের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। আমি ২০১৯ সালে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়। ভর্তির পর থেকেই আমি বাড়ি থেকে যাতায়াত করি। মূলত মেস বা কলেজ ছাএ হলে আমার থাকতে ইচ্ছে করে না। এবং বাড়ি থেকে যাতায়াত করা যায় সেজন্য আমি আর মেসে উঠি নাই। এই ১৫ কিলোমিটার পথ যেন আমার রক্তে মিশে গেছে। আজ এই বিষয়ে আপনাদের সাথে কথা বলব।এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ার @shy-fox এর জন্য।
২০১৯ সালের আখ পযর্ন্ত আমি কুষ্টিয়া শহর ভালোমতো চিনতাম না। সেরকম পথে চলার অভিজ্ঞতাও আমার ছিল না। কিন্তু কুষ্টিয়া পলিটেকনিকে ভর্তি হওয়ার পর যখন আমি নিয়মিত কুষ্টিয়া যাতায়াত শুরু করি। তখন আমি আপনা আপনি অনেক কিছু চিনে যায়। পথে চলার একটি অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। যা এর আগে আমার ছিল না। আমি যদি নিয়মিত কুষ্টিয়া না যাতায়াত করতাম তাহলে এই ভয়টা আমার মাঝে থেকেই যেত। আমি সাধারণত প্রতিদিন সকালে কলেজের উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু সকালে বাস খুব একটা পাওয়া যায় না। সেজন্য বেশির ভাগ দিন আমাকে সিএনজি বা অটোতে যেতে হয় কলেজে। বাসে গেলে মোটামুটি ২০-২৫ মিনিট এবং অটো বা সিএনজিতে গেলে ৩০-৩৫ মিনিট সময় লাগে এই ১৫ কিলোমিটার পথ যেতে। আমি প্রতিদিন এই যাএা টা খুবই উপভোগ করি।
আমার সাথে আমার বন্ধু তুহিন নিয়মিত যাতায়াত করে। ও আমার সাথেই পড়ে। এই যাএা পথে রয়েছে একটি সেতু। সেতু টার নাম মীর মোশারফ হোসেন সেতু। মীর মোশারফ হোসেন একজন বিখ্যাত লেখক। উনার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী জেলায়। উনার নামেই সেতুটার নামকরণ করা হয়েছে। এই সেতুটা গড়াই নদীর উপরে নির্মিত। এর পাশাপাশি একটি রেল সেতু রয়েছে। এই সেতু পার হলে টোল দেওয়া লাগে। এই সেতু নির্মাণের দশগুণ টাকা উঠলেও কতৃপক্ষ এখনো টোল আদায় বন্ধ করেনি।
এরপর আমাদের পথে আসে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ। এই কলেজ কুষ্টিয়া হাইওয়ের ধারে অবস্থিত। এই মেডিকেল কলেজের নির্মাণ কাজ চলছে। এবং এরপর কিছুদূর গেলে কাটাইখানা মোড়। কাটাইখানা মোড়েই আমাদের কলেজ কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। আমাদের এই যাএা পথে আমরা অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মূখিন হয়েছি। যেগুলো কিনা আমাদের সমস্যা সমাধানে সাহস যোগায়। এত যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাই ঘাবড়ে যাওয়ার প্রবণতা এখন আমার কম।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কথা। তখনই করোনার প্রভাব দেখা যায়নি। আমি এবং আমার বন্ধুরা দুপুরে বাসে করে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছি। এমন সময় কিছুদূর যাওয়ার পর দেখি পুলিশরা প্রতিটা গাড়ির যাএীদের ব্যাগ চেক করছে। আমাদের বাসের যাএীদেরও বাস থেকে নামিয়ে চেকিং শুরু করল। আমরা ছাএ ইউনিফমা আছে আইডি কার্ড আছে আমাদের ব্যাগও বাদ দেয়নি চেক করার থেকে। আমাদের বাসের একজন মহিলা এবং একজন পুরুষের ব্যাগ থেকে প্রচুর পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যাপার টাতে আমরা রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। জীবনে চলার পথে এইরকম অভিজ্ঞতা থাকা ভালো। কী বলেন আপনারা?
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই।পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।আপনার চির চেনা 15 কিলোমিটারের অনেক বর্ণনা দিয়েছেন।সেই সাথে সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন।অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই।আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া ,,,
কুষ্টিয়া পলিটেকনিকে ভর্তি হওয়ার পরে এখন কুষ্টিয়া এলাকা ভালোভাবে চিনেছে এই বিষয়টা ভালো লাগলো...
শুভ কামনা রইল ভাইয়া 🥰❤️🌷
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই কথা গুলো। এতদিন বন্ধ থাকার পর আবার সেই চেনা পথ দিয়ে কলেজে যেতে ভালই লাগছে মনে হয় আপনার। শুভকামনা রইল ভাই।
জী ভাই ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
আবারো সেই পড়াশুনার ব্যাস্ততা শুরু হয়েছে দেখে ভালো লাগছে। শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পরেছে বলতে গেলে। আর পুলিশ এর কাছে সঠিক ইনফরমেশন ছিল বলেই এইভাবে চেক করেছে। খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন আপনার চির চেনা রাস্তার
ঠিক বলেছেন দাদা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
আপনার নিতদিনকার যাত্রাপথ নিয়ে লিখেছেন। মেস থেকে কলেজ।কুষ্টিয়াতে আগে কখনো যাওয়া হয়নি ওইভাবে।সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
আবারো সেই অতীত জীবনের আনন্দ ফিরে পাওয়া।অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ দিদি।
অনেক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন ভাই, আপনার প্রতিটি লেখায় দক্ষতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কলেজ টা বেশ দূরে কিন্তু। ১৫ কিলোমিটার অনেকটাই দূর। তবে যাত্রা পথ বিশেষ একটা নয়। বাসে খুবই কম সময় লাগে, একই দুরত্ব কলকাতায় হলে এই ১৫ কিলোমিটার ১ ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা ১০ মিনিট লাগতো। 😁
প্রথম লাইনে আখ লিখেছ মনে হয় ওটা আগ হবে।
ধন্যবাদ দাদা ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।🙂🙂
অনেক অসাধারন হয়েছে লেখাগুলা।আর ফটোগ্রাফি গুলাও বেশ সুন্দর লাগছে। আপনার পোস্ট পড়ে কুষ্টিয়া সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চমৎকার কিছু মুহূর্ত। তার সাথে একটা লং জার্নি। ফটোগ্রাফি গুলিও দুর্দান্ত হয়েছে। অনেক শুভেচ্ছা রইলো
ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।