অসুস্থ‍্য না হলে সুস্থতার কী বোঝা যায় না!!! ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

আজকে আমি আপনাদের সাথে সুস্থতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলব। যেগুলো গতকাল আমি পুরোপুরিভাবে বুঝেছি। সৃষ্টিকর্তা হতে আমাদের পাওয়া সবচেয়ে বড় এবং মূল‍্যবান জিনিস কী জানেন? আমার মতে সেটা হলো সুস্থ‍্যতা। আপনার কাছে টাকা গাড়ি বাড়ি সম্পদ সব থাকার পরও যদি শরীর সুস্থ্য না থাকে তাহলে এগুলোর কোনো মূল‍্য নেই। আসলে গতকাল আমি সারাদিন প্রায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে কাটিয়েছি সেজন্যই বিষয়টি ভালোভাবে উপলব্দি করতে পেরেছি। তাই আমি বলব আপনার কাছে টাকা পয়সা না থাকুক যদি শরীর সুস্থ্য থাকে তাহলে নিজেকে ধন‍্য মনে করেন। না টাকা পয়সার দরকার আছে তবে সুস্থতা সবার আগে।

---

---

---

---

ঘটনার সূএপাত হয় শুক্রবার। শুক্রবার প্রায় সারা বাংলাদেশেই সারাদিন ছিল বৃষ্টি। যাইহোক রাতের দিকে আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মাহমুদুল বয়স ২ বছর। বেশ ভালো ঠান্ডা লেগে যায়। গলায় কফ জমে যায়। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। বাড়িতে কয়েকবার গ‍্যাস দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ না হওয়াই রাত ১২ টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে আর আমি যায়নি। আমার চাচাতো ভাই ঢাকাতে চাকরি করে। এবং কয়েকমাস ধরে ছেলে এবং বড় এখানেই আছে। এবং আমার বাড়িতে এখন আমি ছাড়া এসব নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করার মতো কেউ নেই। যাইহোক সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি মাহমুদুল এখন আগের থেকে ভালো। তো আমি তৈরি হয়ে বেরিয়ে গেলাম কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে। ১০ টার পর পৌছালাম। যখন পৌঁছায় শুনি ডাক্তার রাউন্ডে গেছে এইজন্য ওদিক থেকে সবাইকে বের করে দিয়েছে। ডাক্তারের রাউন্ড শেষ হয় অনেক দেরীতে। প্রায় ১২ টার পর আমি ভেতরে গিয়ে দেখি বাবু ঘুমিয়ে আছে।

---

---

---

---

সেই সময়ে আমি আশপাশের লোকদের দেখতে থাকি। সব আসন পরিপূর্ণ এবং অসংখ্য রোগী রয়েছে ফ্লোরে। দেখে নিজের কাছেই খারাপ লাগছিল। এরা কতই না নিরুপায়। কোনো সুস্থ্য মানুষ যদি সেখানে থাকে তাহলে সেও অসুস্থ হয়ে যাবে। এঅসংখ‍্য লোকের আনাগোনা। এবং অনেক শিশু দেখি এই নিউমোনিয়া ঠান্ডা এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এসেছে। এরপর শুনি মাহমুদুলকে ডাক্তার একটা এক্স-রে করাতে বলছে। তো সেটা করাতে নিয়ে গেলাম কুষ্টিয়ার সবচেয়ে বড় পপুলার ডায়াগানস্টিক সেন্টারে। এক্স-রে শেষ হয় ২ টার সময়। এবং রিপোর্ট দিবে ৪ টার পর। সেই সময়ে আমি ওদের হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে আমার এক বন্ধুর মেসে যায়। ওর মেসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই এবং ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খাই।

---

---

---

---

এরপর আমার বন্ধুর সাথে গল্প করে আমি ঠিক ৪ টার দিকে রিপোর্ট আনতে যায়। গিয়ে শুনি রিপোর্ট এখনো তৈরি হয়নি। আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।তো এভাবে প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করলাম। সময়টা যে আমার কীভাবে গিয়েছে শুধু আমি জানি। যাইহোক এরপর রিপোর্ট টা নিয়ে দেখি মোটামুটি সব স্বাভাবিক আছি। আমি এখন কিছুটা নিশ্চিত। এরপর আমি চলে গেলাম হাসপাতালে। দেখি মাহমুদুল খেলা করছে। এখন ও অনেকটাই ভালো আছে। এরপর ওর মামা নানি এবং নানা আসে। এবং ওদের কাছে দায়িত্ব দিয়ে আমি চলে আসি। এবং আজ আবার যাব কিছুক্ষণ পর। আমি বাড়িতে আসি প্রায় সন্ধ‍্যা ৭ টার পর। এভাবে দিনটা কেটে যায়।

---

---

-----	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---