!!! নিশির ডাক( শেষ পর্ব)!! ১০% @Shy-fox এর জন্য।

---

---

---

গ্রামের এমন বাজার আগে কখনো দেখিনি শিশির। বাজার শেষ করে দুজন রাস্তা দিয়ে হেঁটে কোয়াটারে ফিরছে। তখন শিশিরের হঠাৎ প্রশ্ন আচ্ছা বিশু যখন তুমি একা থাক তোমার ভয় লাগেনা। আশেপাশে তো কেউ থাকে না। অনেক টা হকচকিয়ে গেল বিশু। কোনো উওর দিল না। এই প্রথমবার শিশিরের প্রশ্নে নিরব বিশু। শিশির বিষয়টি অবশ‍্য স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছে। আবার সেই রাত শিশিরের চোখে ঘুম নেই। বাইরে এসে সেই রেডিও শোনা। এবং আজও সেই দৃশ্যের পূণরাবৃওি। আজ শিশির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য করে। শিশিরের আবার ভয় কম। দেখে রুমে চলে গেছে শিশির। পরেরদিন সকালে বিশুকে শিশির সবকিছু বলে। বিশু বলে না শিশিরদা ওসব কিছু নেই আমি জানি না। ওসব আমাকে আর জিজ্ঞেস করবেন না। শিশির রাউন্ড শেষ করে এসে দেখে বড় ডাক্তার বাবু বসে আছে। তাকে প্রশ্ন করলে সেও যেন এড়িয়ে গেল। কী আশ্চর্য এরা প্রশ্নের উওর দেয় না। গ্রামে ঘুরতে বের হলো শিশির আজ একা। গ্রামের মানুষদের সাথে কথা হচ্ছে। একজন বলে উঠল ডাক্তার বাবু আপনি কবে যাচ্ছেন। এমন প্রশ্নে শিশির অবাক। বলল আমি কোথায় যাব এলামই তো সেদিন। জবাবে তারা বলল বাবু আপনি কী আর এমনি যাবেন ওরা আপনাকে যেতে বাধ্য করবে। শিশির জিজ্ঞেস করল এই ওরা কারা। তাদের কোনো জবাব নেই।

সন্ধ‍্যাবেলায় শিশির জানালা খুলে বই পড়ছে। জানালার সাথে পুকুর এবং পুকুরের পাড়ে বাঁশ বাগান ঝোপ ঝাড়। হঠাৎ শিশির খেয়াল করল একটা কী যেন পুকুর থেকে উঠে ঝোপে ঢুকে গেল। ওটা মানুষ না জানোয়ার সেটা শিশিরের বোঝার ক্ষমতা হলো না। শিশির শুধু তাকিয়ে দেখল। এবং সঙ্গে সঙ্গে বিশুকে ডাক দিল। বিশু এলে শিশির বলে একটা টর্চ দে তো আমি একটু বাঁশবাগানে যাব। তুই ও আমার সঙ্গে চল। বিশু বলে শিশির দা আপনার কী মাথা খারাপ। ওখানে আমি কেন গ্রামের কোনো লোক যায় না। আমি তো যাবই না আপানকেউ যেতে দেব না। গ্রামের সবাই বলে ওদিকে নাকী কী দেখা যায়। তবে আমি কখনো দেখিনি। শিশির বিশুকে বলে তুই কী পাগল হয়ে গেলি। বানোয়াট কথা বলার জায়গা পাস নাই।

---

---

সেদিন রাত থেকে যেন অন‍্যরকম একটা অনূভুতির সম্মূখিন হতে শুরু করল শিশির। রাতে শিশির শুয়ে আছে হঠাৎ দেখে জানালায় কে যেন ঠকঠক করছে। বেশ অনেকক্ষণ ধরে। শিশির ভাবলো পেছনে তো পুকুর ওখানে কে আসবে তাও আবার এতো রাতে। শিশির জানালা খুলে দেখে কেউ নেই। শিশির ঘুমিয়ে যায় । কিছুক্ষণ পর শিশিরের কানে আসে কান্নার শব্দ আবার হাসির। কী একটা বিপদ। অন‍্যদিকে বিশু যেন গাঞ্জা খেয়ে ঘুমিয়েছি। ডাকলেও কোনো সারাশব্দ নেই। শিশির পরিষ্কার শুনতে পেল শব্দ টা ঝোপের দিক থেকে আসছে। শিশির ভাবলো এতো রাতে কী আর একা যাওয়া ঠিক হবে। রাতটা কোনোমতে কাটল। পরদিন সকালে উঠেই বড় ডাক্তার বাবুর কাছে সব খুলে বলে শিশির। তিনি যেন সব জেনেও এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে। শিশিরের চাপাচাপিতে সে স্বীকার করে ওখানে নাকী গ্রামের অনেক মানুষ আত্মহত্যা করেছে। ওখানে ওদের অশরীরী আত্মা ঘুরে বেড়াই। এইজন্যই যেসব ডাক্তার কোয়াটারে এস থাকত তারা বেশিদিন এখানে থাকেনি। কিন্তু বিশু কিছুই বুঝতে পারে না। শিশির বলে আজব ব‍্যাপার। শিশির কী মানুষ না। আমরা বুঝতে পারলে ও কেন পারবে না।

---

---

পরেরদিন রাতে যেন ওদের অত‍্যাচার টা আরও বেড়ে গেল। আজ আবার দরজায় এসে হাজির। ঠক ঠক ঠক শিশির দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলল। দেখলো রাস্তায় কী যেন দাঁড়িয়ে আছে। শিশির ডাক দিল কে আপনি আমাকে শুনতে পাচ্ছেন। কোনো সাড়াশব্দ নেই। শিশির এবার উৎ পেতে থাকল। দরজার কাছে আসতেই হঠাৎ দরজা খুলল। শিশির যা দেখল সেটা দেখার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। একেবারে অগ্নিঝড়া জ্বলজ্বলে চোখ মুখটা বিভৎস। কে যেন পুড়িয়ে দিয়েছে মুখটা। শিশির দেখে মাথা ঘুরে পড়ে গেল। সকালে উঠে বিশু এমন অবস্থা দেখে দৌড়ে গিয়ে তুলল। এবং দ্রুত লোক পাঠিয়ে ডাক্তার বাবুকে ডেকে আনাল। মোটামুটি শিশিরের ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। সে আর প্রশ্ন করেনি ওটা কী।......

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---