🛣৬১ নং গড়পাড় লেন🛣। সম্পূর্ণ মুভি রিভিউ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @Shy-fox এর জন্য।

মুভির কাহিনী সংক্ষেপ

---

---

---

---

গল্পটা উওর কলকাতার একটি বাড়ির। বাড়ির মালিকের নাম জগদীশ। জগদীশ বাবুর মেয়ের নাম ঝিনুক। ঝিনুকের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ওর স্বামীর না সুপ্রতিক। যাইহোক জগদীশ বাবুর বাড়িতে ৮ ঘর ভাড়াটিয়া আছে। এদের কেউ বাঙ্গালী কেউ অবাঙালি আবার কেউ সরকারি চাকরীজীবি কেউ বা ব‍্যবসায়ী আবার কেউ বখাটে। এইরকমই ৮ ঘর ভাড়াটিয়া নিয়ে জগদীশ বাবুর বাস। জগদীশ বাবু অবশ্য এদের সবাইকে নিজের পরিবার মনে করেন অন‍্যরাও তাই। সকাল হলেই এই বাড়িতে লেগে যায় হইচই। কলপাড়ে হইচই বাথরুমে লাইন। সবাই মানিয়ি নিয়েছে। এবং এদের মধ্যেই আছে একজন নাম অরুণা দি। উনি সবার বড়। সবাই উনাকে খুব সম্মান করে। এবং আরেকজন আছে তার নাম বিপিনবাবু। বিপিন বাবুর মেয়ের নাম মিনু। মিনু মাঝে মাঝে এখানে আসে। যাইহোক এভাবেই সবাই মিলেমিশে দিন কাটাচ্ছিল। জগদীশ বাবু মাসে একদিন সবার ঘরে যেতেন এবং সেটা যেতেন ভাড়া নিতে। উনি কখনোই কারো থেকে ভাড়া চেয়ে নেন না।

---

---

---

---

শিবু নামের একজন অনেক আগে থেকে এই বাড়িতে থাকে। ও একটু বখাটে। ওর থেকে ভাড়া তো নেয়ই না বরং প্রয়োজনে আরও দেয়। যাইহোক এরপর জগদীশ মেয়ে এবং তার জামাই এই বাড়িতে আসে। দুপুরে খাওয়ার সময়ে কথা বলতে বলতে হঠাৎ ঝিনুক ওর বাবাকে বলে বাবা এই বাড়িটা তুমি প্রমোটারকে দিয়ে দাও। এতে করে বাড়িটাও নতুন হবে। অনেক টাকা এবং কয়েকটি ফ্ল‍্যাট পাবেন। তখন জগদীশ বাবু বলেন তাহলে আমার এই ভাড়াটিয়ারা কোথায় যাবেন। তখন সুপ্রতিক বলেন তার চিন্তা আপনি কেন করছেন। ওদের হাতে না হয় কিছু করে টাকা দিয়ে দেবেন। এতে করে জগদীশ বাবু খুবই ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং ঝিনুককে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। সেদিন দুপুরে জগদীশ বাবু ঘুম পড়ে। ঘুমের মধ্যেই হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যাইহোক সব ভাড়াটিয়া মিলে উনার শেষকৃত‍্য করেন। পুরো বাড়িতে শোকের একটি ছায়া পড়ে যায়।

---

---

---

---

যেহেতু জগদীশ বাবু নেই এই বাড়ির মালিক এখন তার মেয়ে ঝিনুক। সবার সন্দেহ সঠিক প্রমাণ করে সত্যি সত্যি ঝিনুক বাড়িটা বিক্রি করে দেয় প্রমোটার কে। এবং সবাইকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলে। যদিও এই কথাটা সে নিজে সরাসরি বলে নাই। এই সিদ্ধান্ত টা ঝিনুক নেয় তার স্বামী সুপ্রতিকের নির্দেশে। প্রকৃতপক্ষে ঝিনুক নিজেও এই বাড়ির সবাইকে অনেক ভালোবাসে। যাইহোক প্রথমে কেউ রাজি ছিল না বাড়ি ছাড়তে। শিবু তো কেস করতে চাই। কিন্তু বরুণা দি সবাইকে এসব করতে নিষেধ করে এবং সবাই সেটা মেনে নেয়। এরপর সুপ্রতিক মাঝে মাঝে এই বাড়িতে আসতে থাকে। সব মানুষের সাথে পরিচিত হতে থাকে। সুপ্রতিক মনে করতো আমাকে হয়তো এই বাড়ির সবাই খুব ঘৃণা করে। কিন্তু কেউ তাকে ঘৃণা করে না বরং অনেক ভালোবাসে।

---

---

---

---

এভাবেই কিছুদিন যাওয়া আসা করতে করতে সুপ্রতিক বুঝতে পারে কেন তার শ্বশুর মশাই এই বাড়ির লোকগুলোকে এতোটা ভালোবাসতেন। যেহেতু ঝিনুক চাই না এবং এখন সুপ্রতিকও চাই না যে বাড়িটা বিক্র করে দেবে। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় এখন না সবাইকে চমকে দিয়ে একদিন বলবে এই বাড়ি আমি বিক্রি করছি না। যাইহোক একদিন সবাই বরুণাদির ঘরে একএিত হয় এটা ভেবে যে তারা কিছুদিন পরেই আলাদা হয়ে যাবে যে যার মতো। হঠাৎ সে সময়ই সুপ্রতিক এবং ঝিনুক এসে বলে যে আমরা বাড়িটা বিক্রি করছি না। সবাই তখন মহাখুশি। এবং এখন থেকে ঝিনুক ও সুপ্রতিক এখানেই থাকবে। তারপর আবার সবাই এই ৬১ নং গড়পাড় লেনের বাড়িতে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। এরই মধ্য দিয়ে শেষ হয় ছবিটি।

---

---

ব‍্যক্তিগত মতামত

---

---

বর্তমান সময়ে ভাড়াটে এবং বাড়িওয়ালার মাঝে শুধুমাত্র টাকার সম্পর্ক থাকে। এটা পুরো পৃথিবীর ক্ষেত্রেই এক। কিন্তু কিছু ব‍্যতিক্রমও আছে। যেমন এই মুভিটার আসল চরিএ জগদীশ বাবু। তিনি তার ভাড়াটেদের নিজের পরিবারের মতো ভাবতেন। এবং অন‍্যরাও সবাই জগদীশ বাবুকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মতো মনে করতেন। এদের মধ্যে ছিল ভালোবাসা সহমর্মিতা। এবং যখন জানতে পারে তাদের বাড়ি ছাড়তে হবে তখন সবাই ওই বাড়ি এবং অন‍্য সবার প্রতি টান অনুভব করে। যেটা ঠিক পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রে হয়। এটা অনেক ভালো একটা পারিবারিক মুভি ছিল।

---

---

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০

---

---

মুভির লিংক

---

---