||| সুন্দরবন ভ্রমণ(দ্বিতীয় পর্ব ) ||

কাজীপাড়া পৌঁছনো মাএ দেখতে পাই দুইটা বাস দাঁড়িয়ে আছে। বড় বাসটা আমাদের মোস্তাফিজুর স‍্যার এর ছাএদের এবং ছোট বাসটা জহিরুল স‍্যার এল ছাএদের। বাসে উঠে দেখি আমার বন্ধু ইকরা, আরিফুল, রাসেল সবাই নিজের ইচ্ছামতো সিট নিয়ে বসে পড়েছে। আমিও তাই করলাম। একটা জানালার ধারের সিট নিয়ে বসে পড়লাম। ৩০ মিনিট পর স‍্যার এসে বললেন উনি সিট ঠিক করে দেবেন সবাই বাস থেকে নামো। সবাই নেমে গেলে। তখন একটা জিনিস খেয়াল করলাম বাস ৫২ সিটের কিন্তু আমাদের বাসে যাবে ৬৩ জন। স‍্যারকে গিয়ে বললাম স‍্যার তখন বললেন লোক কম এখন ১১ জন্য বেশি এরা কোথায় বসবে। স‍্যার বলল তোমরা একটু ম‍্যানেজ করলে হয়ে যাবে। তখন একটু রাগ হয়েছিল। যাইহোক পরে ম‍্যানেজ হয়ে গেছিল। স‍্যার সিট ঠিক করে দিলেন। আমি জানালার ধারের সিট পেয়েছিলাম। আমার পাশে ছিল আমার বন্ধু আরিফুল। আমার বন্ধু লিখন ছিল আমার পেছনের সিটে। কুমারখালী, কাজীপাড়া থেকে বাস ছাড়ে ঠিক রাত ১০:৩০ এর সময়। প্রথমবার রাতে কোথাও যাচ্ছি সত্যি আলাদা এক অনূভুতি। বাসের মধ্যে গান বাজছে বন্ধুরা সব নাচানাচি করছে। স‍্যার এবং তার পরিবার সামনে।

কিছুদূর গিয়ে রাত ১১ টার পর আমাদের নাস্তা দেওয়া হলো। নাস্তায় ছিল একটা কলা, একটা রুটি এবং একটা মিষ্টি। কেউ খেয়েছিল আবার কেউ রেখে দিয়েছিল। আমি রেখে দিয়েছিলাম। কুষ্টিয়া থেকে বের হতেই হাইওয়ে তে পুলিশ ধরলো। কোনো টাকা দিয়ে বের হয়ে গেল আমাদের বাস। এভাবে যাএা চলছে দারুণ একটা ফিলিংস সবার মাঝে। আমি মোটামুটি চুপচাপ ছিলাম রাতের আঁধারে বাইরে টা দেখছিলাম। কিন্তু আমার বন্ধুরা তুহিন, ইকরা, আরিফুল সবাই গানের তালে তালে নাচছে।

---

source

---

রাত তখন ২:৩০ টা। আমাদের বাস যশোরের একটি জায়গাই থামে। সেখানে একটা হোটেল ছিল। স‍্যার বলল এখানে আমরা ২০ মিনিট দাঁড়াবো এরমধ্যে সবাই ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নাও। সবাই আগে চাপ কমালো হি হি। সেই কখন থেকে ধরে রেখেছি। হোটেলে অন‍্যরা নাস্তা করলেও আমি যায়নি। আমি পাশের দোকান থেকে একটা দুধ চা খাই এবং একটা সফট ড্রিংকস নিয়ে বাসে উঠে পড়ি। এরপর রাত ৩ টার সময় আবার আমাদের যাএা শুরু হয়। তখন বাসের মধ্যে আর গান বাজছে না। অধিকাংশ পোলাপান ঘুমিয়ে গেছে কিন্তু আমি জেগে আছি বাইরে টা দেখছি।

কিছুদূর যেতেই খুলনার মধ্যে ঢুকলাম। হঠাৎ আমার বন্ধু লিখন আমাকে ডেকে বলছে ইমন সামনে রুপসা ব্রীজ অনেক সুন্দর বাইরে তাকিয়ে থাক। লিখন আগে খুলনা থাকত সেজন্য ও জানে। রাতের আঁধারে ভালোমতো দেখতে পারিনি রুপসা সেতুটা। ক্রমেই ভোর হতে লাগল আলো দেখা যাচ্ছে আমাদের গন্তব্য প্রথমে বাগেরহাট খান জাহান আলীর মাজার তারপর ষাট গম্বুজ মসজিদ এবং তারপর সুন্দরবন। মোটামুটি রাস্তাটা বেশ খারাপ ছিল ঐদিকে সেজন্য বাস আস্তে চলেছে। এবং পথে প্রায় অনেক জায়গা পুলিশ ধরেছে ঐ টাকা দিয়ে বের হওয়া লেগেছে আর কী। সবমিলিয়ে ঠিক ৬ টার সময় আমরা বাগেরহাট পৌছায়। আমাদের বাস থামে। স‍্যার আমাদের ৩০ মিনিট সময় দিয়ে বলে সবাই ফ্রেশ হয়ে নাও আমরা খান জাহান আলীর মাজারে যাব। ওখানে মোটামুটি সব রকম ব‍্যবস্থা ছিলো তবে টাকার বিনিময়ে। আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর সবাই মিলে যাএা শুরু করলাম খান জাহান আলীর মাজারে। ওখান থেকে হেঁটে গেলে ৫ মিনিট লাগে।।।

চলবে......

---

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

---

---

---

---

---

---

---

---