🔒🔒লকডাউন ডায়েরি 📒📒। ৪র্থ পর্ব( সেপ্টেম্বর ২০ থেকে নভেম্বর )। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আগষ্ট অতিবাহিত হবে হবে এমন একটা সময়। বাংলাদেশে প্রায় লকডাউন শিথিল হয়ে গেছে। মানুষজন বেশ বাইরে বের হওয়া শুরু করছে। গত মার্চে কলেজ থেকে এসেছি প্রায় ৫ মাস হয়ে গেছে। অনেকদিন বন্ধু এবং ক্যাম্পাস টাকে দেখা হয় নাই। যাইহোক তাই আমাদের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে সিদ্ধান্ত হলো যেহেতু লকডাউন শিথিল করা হয়েছে তাই আমরা সব বন্ধু একদিন কলেজ ক্যাম্পাসে মিলিত হব। ততদিনে করোনার ভয় মন থেকে কমতে শুরু করেছে। যাইহোক সবার মতামতে একটা দিন ঠিক করা হলো। ঐ দিন বেশ দূর দূরান্ত থেকে অনেক বন্ধু ক্যাম্পাসে আসি। আমিও গেছিলাম। প্রাণের ক্যাম্পাসে গিয়ে যেন অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করছিল। ক্যাম্পাসটা দেখি খুব সুন্দর পরিষ্কার আছে। কারণ শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই ক্যাম্পাসে। যাইহোক বন্ধুরা সবাই প্রায় দীর্ঘ ৫ মাস পর একএিত হয়েছিলাম। সবারই কিছুটা পরিবর্তন হয়েছিল। বেশ দারুণ কেটেছিল সবার সময়টা। দিনটার কথা এখনো পরিষ্কার মনে আছে আমার।
শিশির আমার খুবই কাছের বন্ধু। আমাদের পরিচয় হয় ক্লাস নাইনে পড়ার সময়। ওর বাড়ি থেকে আমার বাড়ি অনেকটা দূর। যাইহোক ওর সাথেও প্রায় ৬ মাস মতো দেখা হয় না। যেহেতু করোনার প্রভাব কিছুটা কম তাই আমি বাইরে যেতাম প্রায়ই তবে মাস্ক পড়তাম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতাম। তো একদিন ঠিক করলাম আমি এবং শিশির দেখা করব। এরপর আমরা আমাদের শহরের প্রাণকেন্দ্র কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশনে দেখা করি। অনেকদিন পর দেখা বেশ অনেকক্ষণ শিশিরের সাথে গল্প করি। এরপর যথারীতি শিশির আমাকে ট্রিট দেয়। কিন্তু যেহেতু করোনার একটা প্রভাব রয়েছে সুতরাং আমরা বাইরের কিছু খাইনি। এবং বেশ ভালো গরম ছিল তখন তাই আমরা দুজন সফট ড্রিংকস খাই। তখন এই সফট ড্রিংকসে আমি আসক্ত হয়ে গেছিলাম প্রায় প্রতিদিন খেতাম। যাইহোক শিশিরের সাথে দেখা করে বাড়ি ফিরে আসি।
এরপর এভাবেই আরও কিছদিন চলে যায়। সেরকম কোনভাবে বিকেল বেলা বাইরে যাওয়া হত না। এলাকার মধ্যেই থাকতাম। সময়টা কিন্তু বর্ষাকাল। আমাদের বাড়ির পাশে একটি বিল আছে। প্রায় দিন বিকেলে সময় কাটানোর জন্য আমি এবং আমার বন্ধু ও শিমুল প্রতিদিন ঐ বিলের ধারে যেতাম। এবং প্রায় দিনই নৌকায় উঠতাম। বেশ ভালো লাগত নৌকায় বিলটা ঘুরতে। আমাদের নৌকার মাঝি ছিল শিমুল। ও নৌকাটা বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। যাইহোক এরপর আসে চ্যাম্পিয়ন লীগের ফাইনালের দিন। আমি আবার ফুটবল খুব ভালোবাসি। এমনিতে আমি রিয়াল মাদ্রিদের সাপোর্টার কিন্তু সেবার নেইমারের নেতৃত্বে পিএসজি ফাইনালে উঠায় আলাদা একটা আকর্ষণ ছিল ম্যচটার উপর। সেজন্য আমরা এলাকার সব বন্ধু এবং কিছু বড়ভাই মিলে একসঙ্গে ম্যাচটা উপভোগ করি। কিন্তু নেইমার এ পিএসজির কপাল খারাপ ছিল অনেক সুযোগ পাওয়ার পরও কাজে লাগাতে পারে না। এর ফলে কোমান এর অসাধারণ এক গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় বার্য়ান মিউনিখ। এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগের চ্যাম্পিয়ন হয় বায়ার্ন মিউনিখ।
সারাদিন বেশ ভালো কাটলেও বিকেলটা যেন আমাদের আর কাটতে চাইত না। আমরা ঠিক করলাম বিকেলে খেলা শুরু করব। এটা সম্ভবত নভেম্বর এর শুরুর দিকের কথা। যাইহোক শুরু করলাম ফুটবল খেলা। বেশ জমজমাট হত আমাদের খেলা। এবং খেলা শেষে প্রতিদিন গোসল করা সন্ধ্যার সময়। আমাদের এলাকায় অনেক বড় একটি সিড়ি বাধানো পুকুর আছে খেলা শেষ করে আমরা সবাই ওখানেই গোসল করতাম। তখন সারাদিনটা বেশ ভালোভাবে কেটে যেত। এবং সেরকম কোনো বিরক্তিও বোধ করতাম না। যাইহোক আজ এই পর্যন্তই........
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আসলেই যে সময় গুলো যায় ভালো সময় যায় যেগুলো আসে খারাপ সময় আসে ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই💖🙂
এমনি সময় তারাতাড়ি কাটলেও লকডাউন এর সময় যেন কাটেই না এমন লাগতো। এটা আমি মনে করি সবার ক্ষেত্রে একই রকম। লকডাউনে সময় কাটানোর জন্য ক্যারম কিনছিলাম। সারা দিন ক্যারম খেলছি আপনার গল্প পড়ে আগের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
❤️❤️❤️❤️❤️❤️
আমাদের বাসায় অনেক আগে থেকেই ক্যারাম আছে। আমরাও ক্যারাম খেলতাম।।
বাহ ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। সেই সময়টা আবার আমাদের সামনে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া, ❤️❤️
ধন্যবাদ ভাই💖
লকডাউন এর সময় টা আপনার মতো আমার জীবনের অনেক মিল রয়েছে ভাই।লকডাউন এর কারণে বাড়িতে থাকায় তেমন কোথাও যাইতে পারি নাই।সারাদিন বাড়িতেই সুয়ে থাকা।তখন কলেজের দিনগুলি অনেক মিস করতাম আর ভাবতাম কবে বন্ধুদের সাথে দেখা করবো। এভাবেই চলে গেল প্রায় নয় মাসের মতো।মনে হয় জীবনটা কারা বন্দি হয়ে গেছে।ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।।