আলাউদ্দিন আহমেদ পার্কে কিছু সুন্দর মূহুর্ত। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বন্ধুরা আমি একজন ভ্রমণপিপাসু লোক। ভ্রমণ করতে আমি খুবই পছন্দ করি। পরীক্ষা এবং ক্লাসের চাপে অনেকদিন বাড়ি থেকে বের হয়নি। কয়েকদিন আগে আমার বন্ধু লিখন আমাকে বল চল ঘুরে আসি। যেই কথা সেই কাজ। চলে গেলাম নিজের থানার মধ্যে একটি খুবই ভালো জায়গা বা পার্ক। পার্কটির নাম আলাউদ্দিন আহমেদ শিক্ষাপল্লী পার্ক। পার্কটি স্থাপিত হয়েছে প্রায় ৪ বছর। কিন্তু আমি এই প্রথমবার গেলাম। আজ এই পার্কের ভালো লাগা ভালো দিক খারাপ দিক আপনাদের সাথে আমি তুলে ধরব। সবাই সাথেই থাকবেন। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আগের কথা মতো আমি এবং আমার বন্ধু লিখন বিকেল ৪:১৫ এর সময় কুমারখালী বাসস্ট্যান্ডে দেখা করি। এরপর আমরা সেখান থেকে অটোতে করে যায় আলাউদ্দিন নগর। আলাউদ্দিন নগর থেকে একটি রিকশা নেয়। আলাউদ্দিন নগর থেকে রিকশায় পার্কে যেতে আমাদের সময় লাগে ১৫ মিনিটের মতো। পার্কে গিয়ে আমাদের সর্বপ্রথম টিকিট কিনতে হয়। আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। অনেক লোক পার্কে এসেছে ঘুরতে। তাই টিকিটের জন্য কিছুক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয়। এরপর আমরা আমাদের পার্কে প্রবেশের কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেয়ে যায়। প্রতি পিস টিকিটের দাম নেয় ৩০ টাকা। এরপর আমরা ভেতরে ঢুকে যায়। পার্কটা অনেক বড় একটি এরিয়া নিয়ে অবস্থিত।
পার্কে গিয়েই সর্বপ্রথম আমাদের চোখে পড়ে পার্কের সুন্দর পরিবেশ। চারিদিকে খুব পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন। এবং পার্কের মাঝে একটি অনেক বড় পুকুর রয়েছে। এই পুকুরে বিভিন্ন আকর্ষণীয় রঙ লাল, নীল, বেগুনি হলুদ বর্ণের মাছ দেখতে পাওয়া যায়। এবং পার্কে অনেক গাছ রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশটা সুন্দর। এবং পার্কের নির্মাণ কার্যক্রম এখনো চলছে। এরপর আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আমরা অনেকগুলো রাইড দেখতে পাই। কিন্তু এগুলো সবই বাচ্চাদের রাইড। আমাদের মতো প্রাপ্তবয়স্কদের এই রাইডে উঠা মানায় না।
এই ফুলগুলো পার্কের গাছের। যদিও আমি একটি ফুলেরও নাম জানিনা। তবে ফুলগুলো খুবই সুন্দর এবং এগুলো পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে। আপনারা কেউ ফুলগুলোর নাম জানলে কমেন্টে জানিয়ে যাবেন। এইরকম আরও অনেক ফুলের গাছ রয়েছে। কিন্তু বাকি ফুলগুলো প্রায় আমাদের সবারই চেনা। সেজন্য আমি ঐ ফুলগুলোর ছবি তুলি নাই। অনেক বিনোদনের ব্যবস্থার সাথে এখানে প্রকৃতির একটি গভীর ছাপ রয়েছে। এরপর আমরা একটি রাইডে উঠব ঠিক করি। এটাই একমাএ আমাদের জন্য উপযুক্ত রাইড এই পার্কে।
আগেই বললাম পার্কের মাঝে একটি অনেক বড় পুকুর রয়েছে। পুকুরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নৌকার ব্যবস্থা রয়েছে। এইগুলো প্যাডেল সিস্টেম নৌকা। এরপর নৌকায় উঠার জন্য আমরা নৌকার টিকিট কাটতে যায়। নৌকার প্রতি পিস টিকিটের দাম নেয় ৩০ টাকা। আমি এবং লিখন দুইটা টিকিট কেটে নেয়। এরপর আমরা একটি নৌকা নিয়ে চলে যায় পুকুরের মাঝে। মূলত এটা অনেকটা পানিতে সাইকেল চালানোর মতো। নৌকায় ঘুরে বেড়ানো টা আমরা খুব উপভোগ করছিলাম।
এরপর পুকুরের মাঝে গিয়ে আমরা কিছু ছবি উঠি। এর মধ্যে কিছু ছবি আমি উপরে দিয়েছি। নৌকায় ঘোরার জন্য আমাদের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া য়। আমাদের সময় ছিল ৩০ মিনিট। আমরা প্রথমে সম্পূর্ণ পুকুর একবার ঘুরে নেয়। এরপর আমরা পুকুরের সুন্দর একটি কোণে গিয়ে বসে থাকি। এবং গল্প করতে থাকি। এরপর আমরা আরও কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করি। এরপর আমাদের নির্ধারিত সময় শেষ হলে আমরা জল থেকে স্থলে ফিরে আসি।
এরপর আমাদের সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটে যায়। অনেকক্ষণ নৌকা ড্রাইভ করার পর আমরা ঠিক করি ঠান্ডা হওয়ার জন্য সফট ড্রিংকস খাওয়া যাক। সেজন্য পার্কের মধ্যে অবস্থিত একটি দোকানে আমরা যায়। সেখানে গিয়ে আমি ২৫০ মিলি একটি আরসিকিউ এবং আমার বন্ধু লিখন ২৫০ মিলি কোকাকোলা নেয়। এর দুইটার দাম হয় ৩৫ টাকা। কিন্তু এরা আমাদের থেকে ৫০ টাকা চাই। যা কোম্পানির দেওয়া বিক্রয় মূল্যের থেকে প্রায় ১৫ টাকা বেশি। এই বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানদার কোনো উওর দেয় না। এসব কী রে ভাই প্রতিটা দ্রব্য নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দাম নিচ্ছে। এই পর্যায়ে আমার সাথে দোকানদারে তর্কাতর্কি সৃষ্টি হয়। এবং কিছু লোক একএিত হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর পার্কের ম্যানেজার সেখানে আসে। এবং সবকিছু শোনার পরে তিনি নির্ধারিত মূল্য রাখতে বলেন। এরপর আমরা মূল্য পরিশোধ করি। এবং এরপর সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াই আমরা পার্ক ত্যাগ করে বাড়ির দিকে যাএা শুরু করি।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর ছিল। আর তা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। তাই আপনার জন্য প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর পার্ক। আমার আপসোস ,অনেকদিন এমন বড় পার্কে যাওয়া হয়না।কবে যে সময় পাবো। যাক, আপনার পোস্ট টা ভালো লাগলো। ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ দিদি আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য 😄😍😍
পার্কটা বেশ সুন্দর, আমিও দুইবার পার্কটাতে ঘরতে গিয়েছিলাম। পার্কের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষামূলক উক্তি লেখা আছে। তুমি বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছো। শুভ কামনা রইল তোমার জন্য।
ধন্যবাদ তোমার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
পার্কে বা নতুন কোন জায়গায় বেড়ানো সকলে ইচ্ছা থাকে।কিন্তু সময়ের অভাবে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।আপনি অনেক মজা করেছেন পার্কে বন্ধুদের নিয়ে। অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
সময় করে ঘুরতে যাবেন। বিনোদনের প্রয়োজন আছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
----প্রতি পিস টিকিটের দাম নেয় ৩০ টাকা।
এতো সুন্দর একটা পার্কের প্রবেশ মূল্য মাত্র ত্রিশ টাকা কিভাবে হয়!
আমি তো জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম ভাইয়া। এতো বেশি সুন্দর পুকুর টা। তার উপর আরো ভালো আপনার ফটোগ্রাফী।
জাস্ট মাশাল্লাহ।
হুম আপু টিকিট ৩০ টাকা। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
ব্যাস্ততার ফাঁকে ফাঁকে একটু ঘুরলে মন অনেক ভালো লাগে। আলাউদ্দিন নগর পার্কের সৌন্দর্য খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। খুব ভালো লাগলো। ফুলগুলো দেখতে খুব সুন্দর। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
আলাউদ্দিন নগর শিক্ষাপল্লি পার্কে আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন সেই সাথে খুব সুন্দর ফটো তুলেছেন এবং ফটোগুলো সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন সব মিলিয়ে খুব সুন্দর লাগছে আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
আসলে আপনারা বন্ধুরা মিলে উদযাপন করেছেন সময়টুকু।30 টাকায় যে এত সুন্দর মুহূর্ত দেখা যায় জানতামই না। পার্কের এরিয়া অনেক বড়।আসলে পার্কের ভেতরে ঢুকতেই অনেক সুন্দর পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখলাম। খুবই ভালো লাগলো। এছাড়া সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি মাছ পাওয়া যায়। যা খুবই ভালো লাগলো আমার ওখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ টা অত্যন্ত সুন্দর।তারপর ওখানে কিছু ফুল আছে ভালই লাগছিল এবং তারপর বড় পুকুরের মাঝে আপনারা বটে চলছিলেন অনেক সুন্দর সময় উদযাপন করেছিলেন। এক কথায় অসাধারন ছিল মুহূর্তগুলো এবং আলাউদ্দিন পার্ক এর বর্ণনা আপনি খুবই সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। তা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবকিছু তুলে ধরেছেন ভালো লাগলো অনেক।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট টা পড়ে সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।।
খুব সুন্দর ছিল ভাইয়া পার্কটি।ফুলের গাছ,বাচ্চাদের খেলার জায়গা এবং মাঝখানে পুকুর পার্কের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।আর দিনটিও যে খুব উপভোগ করেছেন তা ছবি এবং আপনার ভ্রমণের বর্ণনা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না ভাবছি এবার পরীক্ষা শেষে লং ট্যুরে যাব।আর আপনাদের এই পার্কটাও না হয় একদিন দেখে আসবো কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুর তো আর বেশি দূরে নয়।
শুভকামনা রইলো ভাইয়া আপনার জন্য।
জী ভাইয়া কুমারখালীতে আপনার আমন্ত্রণ রইল। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
আপনি একা একা ঘুরেন ভাই আমাদের কেও সাথে নেন। আলাউদ্দিন আহমেদ পার্কে অনেক সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এর পরে ঘুরতে গেলে আমাকে অবশ্যই বলবেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
ভাই কোথায় আপনি কোথায় আপনি। ঠিক আছে পরের বার আপনাকে বলব। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।