স্বপ্নগুলো স্বপ্নই রয়ে গেল। 10% beneficiary @shy-fox
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি । |
---|
শোনা যাচ্ছিল আমাদের দেশে আজকেই নাকি কোভিড-১৯ এর প্রথম ড্রোজ দেওয়া শেষ তারিখ । আজকের পর থেকে নাকি প্রথম ড্রোজ আর দিবে না । আমার কয়েক বন্ধু ভ্যাকসিন দেয়নি। তাদের অলসতার কারণে পিছিয়ে পড়েছে । তাদেরকে অনেক আগেই দিতে বলেছিলাম । কিন্তু দিব দিব করে শেষের দিকে চলে আসল । এখন তাদের তারাহুরো শুরু হয়ে গেছে । এই জন্য সময়ে কাজ সময়ে করাই ভালো ।
কিন্তু নিজের অলসতার কারণে পিছিয়ে পড়ে । কাজটা এখন করার দরকার , কিন্তু আমরা বলি একটু পর করি বা কালকে করব । কাল কাল করতে করতে সময় শেষ হয়ে যায় । কাজটা আর করতে পারি না বা শেষের দিকে তারাহুরো হয় । সেম বিষয় আমার বন্ধুদের সাথে ঘটেছে । আজ কাল করতে করতে সময়ের শেষে এসে তারাহুরো শুরু হয়ে গেছে ।
যাইহোক , গেলাম ভ্যাকসিন দিতে মেডিকেল কলেজ । গিয়ে দেখি অনেক বড় লাইন । বাবারে বাবা এই লাই আজকের মধ্যে কমপ্লিট করা অসম্ভব । আমাদের আবার পরিক্ষা আছে , তাই তারাতাড়ি ভ্যাকসিন দিয়ে যেতে হবে । আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম এবং আমাদের স্টুডেন্ট আই ডি দেখি পরিক্ষার কথা বললাম । সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ভ্যাকসিন দিয়ে বিদায় করে দিল ।
ভ্যাকসিন দিয়ে এসে কলেজে গেলাম সবাই পরিক্ষা দিতে । পরিক্ষার প্রস্তুতি বেশি একটা ভালো ছিল না । কেননা আমাদের কোনো ক্লাস হয়নি । ক্লাস হয়নি তবু পরিক্ষা নিতেছে । অবশেষে পরিক্ষার হলে বসলাম । পর্বমধ্য পরিক্ষা ছিল ৩০ মার্কের ১ ঘন্টায় । প্রশ্ন দেওয়ার পর দেখি সবাই বসে আছে । কিন্তু ১০ মিনিট যেতে না যেতেই সবাই পরিক্ষার হল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে । না পারলে কি আর লেখবে । স্যার বলতেছে , এটা কি হচ্ছে ! সবার কি এত তারাতাড়ি লেখা শেষ । খাতা পাতা উল্টিয়ে দেখে অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়ে চলে গেছে ।
তখন স্যার বলল , ক্লাস না হলে ছাত্র-ছাত্রীরা কি লিখবে । এত বড় পরিক্ষার হলে আমরা মাত্র কয়েক জন ছিলাম । কিছুক্ষণ পর স্যার বলল , তোমরা এখনো আছো কেন ? খাতা জমা দিয়ে তোমরাও যাও । সরকার দেখুক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া-লেখার কি অবস্থা । আমাদের যেগুলো কমন পড়েছি সেগুলো লেখে খাতা জমা দিলাম । শুধু আমরাই কয়েক বন্ধু ছিলাম । তবুও সব প্রশ্নের উত্তর করতে পারি নি ।
ছাত্র ছাত্রীদের এই করুন অবস্থা দেখে স্যারেরাও লজ্জিত । তাদেরি বা কি করার । আমারা যারা ইন্জিনিয়ার হতে এসেছি , তাদের তো পুরাই অবস্থা খারাপ । প্রাকটিক্যাল না শিখলে সার্টিফিকেট দিয়ে কি হবে ।
তাই ছাত্র ছাত্রীরা বলতেছে শুধু পরিক্ষা আর পরিক্ষা কিছুই শিখলাম না । সবাই কলেজ মুখ উজ্জ্বল করে আসতেছে আর যাওয়া সময় অন্ধকার করে যাইতেছে । সবাই অনেক চাপের মুখে রয়েছে । অনেক ভালো ছাত্র খারাপ হয়ে গেছে । আর খারাপ রা তো বাদ দিয়ে দিয়েছে। আমার অনেক বন্ধু আমার এখন জুনিয়র । তারা এক সময় ভালো ছাত্র ছিল কিন্তু কলেজ বন্ধ থাকা এখন তাদের অবস্থা বলার মতো নয় ।
আমার অনেক বন্ধবি ছিল এখন তা আর নেই । তাদের বিয়ে হয়ে গেছে । তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল একদিন অনেক বড় ইঞ্জিনিয়ার হবে । দেশের জন্য অনেক কিছু করবে । কিন্তু কলেজ বন্ধ থাকায় তাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে । শুধু তাদের স্বপ্ন , স্বপ্নই থেকে গেল কিন্তু মাঝখানে রয়ে গেল কষ্ট ।
যাইহোক , আজকে আমি চোখের সামনে অনেক কিছুই দেখলাম । আমাদের দেশের ছাত্র ছাত্রীদের কি অবস্থা । আশা করি বিপদ কাটিয়ে গিয়েছে । অতীতের কথা ভুলে গিয়ে আবার নতুন করে জীবন শুরু করি । মনে করতে হবে এটা আমাদের এক ধরনের শিক্ষা । তাই তো – ক্লিমেন্ট স্টোন বলেন,
সাফল্যের মত ব্যর্থতাও এক একজনের কাছে এক এক রকম। কিন্তু ইতিবাচক মনোভাব থাকলে যে কোনও ব্যর্থতা হতে পারে নতুন একটি শিক্ষা। যে শিক্ষা আবার নতুন স্বপ্ন নিয়ে শুরু করার অনুপ্রেরণা দেয়”
তো বন্ধুরা আজকে এখানেই শেষ । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
আমি মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম নাহিদ। আমাকে সবাই নাহিদ বলেই ডাকে। আমি বাংলাদেশী । আমি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বই পড়তে , লিখতে ও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে ভালোবাসি।নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি।
স্বপ্নগুলো স্বপ্নই রয়ে গেল একদম ঠিকই বলেছেন। আসলে করোনার মধ্যে স্যার আবার কি করবে যদি স্কুল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে আর স্টুডেন্ট গুলো খুব বিপদে রয়েছে না পড়ে কখনো পরীক্ষা দেয়া যায় না সবই পরিস্থিতির শিকার কিছু করার নাই ভাই ইনশাল্লাহ সামনের দিনগুলো তে অনেক ভালো পরীক্ষা দেবেন সেই প্রত্যাশাই করছি
ঠিক বলেছেন ভাই , আমরা সবাই পরিস্থিতির শিকার । ধন্যবাদ আপনাকে ।