এমনটা ঘটনা ঘটবে ভাবতেও পারিনি // 10% Beneficiary @shy-fox
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আমার কি সুন্দর একটি ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং আজকে বিকালে কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক।
কালকে দিনটা সকাল থেকে অনেক ভালোই যাচ্ছিল। হঠাৎ করে বিকেল বেলায় সাগর বললো, মামা চল বাসায় যাব। আমি বললাম কেন? সাগর বললো বাসায় অনেক কাজ আছে, আর বাসা থেকে ফোন দিয়েছিলো। আজকেই বাসা যাইতে বলছে। তাই আমরা দুজনে ব্যাক গোছালাম ।
তারপর সাগরকে বললাম কিসে যাবি । ও আবার বাসে ভ্রমন বেশি একটা করতে পারে না। তাই সাগর বললো মামা ট্রেনে যাব। আমি বললাম ওকে, 6 টা 20 এ দিনাজপুর থেকে পার্বতীপুর একটা লোকাল ট্রেন আছে। কিন্তু ট্রেন টি প্রত্যেকটি স্টেশনে দারায় হয়। বলতে চলে যে প্রায় গরুর গাড়ির মতো।
সাগর বললো ওই ট্রেনে আমরা যাব। কিন্তু বাসে যাইতে পারবো না মাথা ঘোরে আমার। তার পর অবশেষে স্টেশনে গিয়ে পৌছালাম। ট্রেনটি আসতে প্রায় আধা ঘন্টা লেট করল। আমরা স্টেশনে চিপস বিস্কুট চা খেতে খেতে সময়টা পার করলাম। তারপর ট্রেন আছে ওই ট্রেনে। ট্রেনটি ভালই ভালই যাচ্ছিল। কাউগা স্টেশন এ থেমে চিরিরবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। দেখলাম যে চিরিরবন্দরে প্রথম লাইনে না নিয়ে দ্বিতীয় লাইনে ট্রেন ক্রসিং করল। আমি সাগরকে বললাম এই কেলো করছে।
সাগর বললো ক্যান? আমি বললাম এই ট্রেনটি এখন এই জায়গায় অন্য ট্রেন ক্রসিং এর অপেক্ষায় থাকবে। এখন সাগর বলল, কতক্ষণ লাগতে পারে। আমি বললাম ঠিক জানিনা। তবুও দেখি কতক্ষণ লাগে। দেখতে দেখতে প্রায় এক ঘন্টা কাটিয়ে দিলাম। তারপর একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসলো। কোচিং করে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলে গেল।
আমরা ভাবলাম হয়তো এবার আমাদের ট্রেনটি গন্তব্য স্থানে দিকে রওনা দিবে। কিন্তু না! দেখেছি আরও অপেক্ষা করতেছে। ভাবলাম মনে হয় ইঞ্জিনের সমস্যা হয়েছে সেই জন্য মনে হয় সমস্যা সমাধান করতেছে। প্রায় আধা ঘন্টার মত অপেক্ষা করলাম তবুও ট্রেনটি যাইতেছে না। আবার এই ট্রেনের মধ্যে অনেক যাত্রী আছে তারা সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধরে যশোর, খুলনার দিকে রওনা দিবে। তাদের আবার অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। কেননা তারা পার্বতীপুর থেকে টিকিট কেটেছে। সঠিক সময়ে যদি পৌঁছাতে না পারে তাহলে তাদের টিকিটটা বেকার হয়ে যাবে।
তাই সবাই মিলে স্টেশন মাস্টারের কাছে চলে গেলাম। স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে বললাম, আঙ্কেল এটি এখনো যাচ্ছে না কেন। স্টেশন মাস্টার বলল, সামনে আরেকটি ট্রেন আসতেছে ট্রেনটির নাম হল দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ঐ ট্রেন ক্রসিং করবে তারপর এই ট্রেনটি যাবে। আমরা সবাই মহা বিপদে পড়লাম।
পরে রাত গভীর হওয়ায় এত ঠান্ডা লাগা শুরু করছিল যে কল্পনার বাইরে। ভাগ্য ভালো যে কিছু কাপড় আমরা ব্যাগে নিয়ে নিয়েছি, তারপর একটা শার্ট পড়ে নিলাম ঠান্ডাটা কাটানোর জন্য।
অবশেষে সবাই মিলে স্টেশন মাস্টারকে অনেক চাপ দিলাম। বললাম যে আমাদের অনেক সমস্যা, আপনি একটু দেখেন । স্টেশন মাস্টার বলল ঠিক আছে আমি দেখতেছি। তারপর স্টেশন মাস্টার, সামনের স্টেশনে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস কে থামিয়ে দিলেন কথা বলে। ফলেই সেই ট্রেনটির সাথে আমরা কোন স্টেশনে ক্রসিং হলাম। ফলে আমরা পার্বতীপুরে অবশেষে পৌছালাম। কিন্তু তখন গভীর রাত হয়ে গিয়েছিল।
আমি মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম নাহিদ। আমাকে সবাই নাহিদ বলেই ডাকে। আমি বাংলাদেশী । আমি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বই পড়তে , লিখতে ও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে ভালোবাসি।নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি।
মাঝে মধ্যে এইরকম ট্রেনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই এই বিষয়টা কোন সমস্যার মধ্যে পড়ে না। আর এরকম পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মামা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমিও আগে প্রায় ট্রেনে যাতায়াত করতাম নীলফামারী থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত এরকম কত ঘটনা আছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।তবে ট্রেনের জন্য এটা অনেকটা বিপদমুক্ত থাকে সেজন্যই অনেকেই ট্রেনে জার্নি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে♥♥
জ্বী আপু ঠিক বলেছেন। ট্রেনে যাতায়াত অনেক বিপদমুক্ত আমিও ট্রেনে যাতায়াত করতে খুব পছন্দ করি। কিন্তু লোকাল ট্রেন গুলো মাঝেসাজে অনেক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হুম
ট্রেনের এই সমস্যার আমার ভালো লাগে না ট্রেন।
আমার সাথে এমন অনেক বার হয়েছে তবে আমার আব্বু ছিলো সাথে।
হাজার কষ্ট হলেও আমি ট্রেন দিয়ে যায় না বাসে যায়।
আপু করার কিছু নাই পরিস্থিতির শিকার । তবুও ট্রেনে যাতায়াত টা অনেক নিরাপদ।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
জি ভাইয়া নিরাপদ তাও আমার অনেক ভয় লাগে 😥
ওহ সমস্যা নেই আপু। সবাইরে পছন্দ তো আবার এক না। আমি সব যানবাহন এ জার্নি করতে পছন্দ করি।
আমার ও একই অবস্থা হয়েছিলো কাল।ট্রেন ছাড়বে বলেছেন দেড়টা বাজে কিন্তু ট্রেন ছেড়েছে তিনটা বাজে।আর এর কারণে বাসায় আসতে আসতেও অনেক সময় হয়ে গিয়েছিলো।
জীবনে চলার পথে যে কোন সময় যে কোন ধরনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু ভাই আপনার এই ঘটনাটি সত্যি ব্যতিক্রম। তারপরও পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।