লেখাপড়া করে সফল হতে চাই ! কোন পথে যাওবো ?
শাহিন ও সুমনা তারা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র /ছাত্রী । আসুন তাহলে শোনা যাক তারা কি আলোচনা করে।
সুমনা
- এই শাহিন কোথায় যাচ্ছ? তোমাকে এত চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন।
শাহীন
- খুবই চিন্তিত সুমনা। চাচার বাসায় যাচ্ছি। চাচা চাচির সাথে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে।
সুমনা
- ও আচ্ছা। কি বিষয় জানতে পারি।
সাহিন
- অবশ্যই। অষ্টম শ্রেণি তো প্রায় শেষ। সামনের বছরে ক্লাস নাইনে উঠবো। তাই চাচা-চাচীর কাছে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি কোন বিভাগে পড়ব । মানবিক, বিজ্ঞান নাকি ব্যবসা শাখায়। তাহলে সুমনা ,তুমি কোন শাখায় পড়বে।
সুমনা
- আমি ঠিক করেছি আমি মানবিক শাখায় পড়ব । কারণ এ বিষয়ে আমার অনেক আগ্রহ রয়েছে।
শাহীন
- আমি ব্যবসা শাখা নিয়ে পড়তে চাই। কিন্তু আমার বাবা মার ইচ্ছা আমাকে ডাক্তার বানানোর। তাই তারা বিজ্ঞান শাখায় পড়াতে চায় ।
সুমনা
- তুমি কেন ব্যবসা শিক্ষা শাখা নিয়ে পড়তে চাও। আর তুমি ভবিষ্যতে কি হতে চাও?
শাহীন
- ব্যবসা শিক্ষা বিষয়ে পড়াশোনা আমায় ভালো ও সহজ লাগে তাই। কিন্তু ভবিষ্যতে কি হতে চাই তা তো ভাবি নি।
সুমনা
- কিন্তু তুমি কি বিষয় নিয়ে পড়বে তা ঠিক করার আগে তোমাকে অনেক বিষয়ের উপর চিন্তা করা উচিত। আমার বোন সাহিদার স্বপ্ন ছিল সে বড় হয়ে প্রকৌশলী হবে। কিন্তু আমাদের পরিবারের সদস্যরা বলেছিল মেয়েদের জন্য মানবিক শাখায় উত্তম। তাই সে মানবিক শাখা বেছে নিয়েছিল। তারই এক বান্ধবী বিজ্ঞান শাখা নিয়ে পড়েছিল । এখন সে প্রকৌশলী। আমার বোন সাহিদা এখন দুঃখ করে বলে, তখনই যদি ভালো করে সিদ্ধান্ত নিতাম ,তাহলে আমার স্বপ্ন পূরণ হতো।
শাহীন
- তুমি ঠিকই বলেছ সুমনা। এখন আমি সব বিষয়ে ভালো করে চিন্তা করে তারপরে সিদ্ধান্ত নিব।
তো বন্ধুরা, কোনকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো করে চিন্তা করে দেখবেন তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন। কথায় আছে ....ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
খুব সুন্দর লিখেছো মামা। তোমার লিখাটি পড়ে আমি অনেক কিছু শিখতে পারলাম।
ধন্যবাদ মামা
সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ ।