রংপুর চিড়িয়াখানা সেই আনন্দময় মুহূর্ত//10% beneficiary @shy-fox
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আমরা প্রতিনিয়ত কোন না কোন কাজ করে থাকি। কোন গুলো প্ল্যানমাফিক আবার কোন গুলো প্ল্যান ছাড়াই করি। হুটহাট মাথায় যেটা চলে আসে সেই কাজে চলে যাই। আমাদেরও সেদিন এই রকম একটা কাহিনী হয়েছিল। তো বন্ধুরা চলুন সেই কাহিনী শোনা যাক।
দিনটি ছিল শুক্রবার। বৃহস্পতিবার এ আমাদের সপ্তাহিক হ্যাং আউট করে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ি। আমার রুমমেট হলো সাগর। সে আবার অনেক রাত করে ঘুমাই। আমি বেশি রাত জাগতে পারিনা। তবে সাগরে দেখে দেখে আমিও এখন অনেকটাই রাত জাগতে পারি। আমি হ্যাঙ্গআউট শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, সাগর সেইদিন জেগেছিল। তারপর সকালে আমি খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি । ভাবলাম সাগরকে ডাকি। তারপর মনে হলো না সে অনেক রাত জেগে ছিল এখন তাকে ডাকা ঠিক হবে না।
এই কথা বলতে না বলতেই সে ঘুম থেকে উঠলো। উঠিয়ে দুজন মিলে ফ্রেশ হলাম। ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করলাম। তারপর আমার মাথায় হুট করে এক প্লান আসলো। সাগর বললো কি প্ল্যান। আমি বললাম আজকে ছুটির দিন চল কোথাও ঘুরতে যাই। সাগর বললো ঠিক কথা বলেছিস। কিন্তু কোথায় যাবে ঘুরতে। আমি বললাম চল বেরোবি, মন যেদিকে যাবে সেদিক আজকে যাব।
তারপর রাস্তায় বেরিয়ে দুজনে ভাবলাম আজকে রংপুর চিড়িয়াখানা ঘুরতে যাব। তারপর দুজন মিলে আরেক বন্ধুকে ফোন দিলাম। বন্ধুটির নাম ছিল আরাফাত। তাকে বললাম বন্ধু তুই যাবি আমাদের সাথে রংপুর চিড়িয়াখানা ঘুরতে। অবশেষে সেও রাজি হয়ে গেল। তিনজন মিলে রংপুর চিড়িয়াখানা উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
অবশেষে রংপুর চিড়িয়াখানায় পৌছালাম। আমরা থাকি দিনাজপুরে। দিনাজপুর থেকে রংপুর প্রায় 75 কিলোমিটার। আমরা ট্রেনে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌছালাম বিকেল বেলায়। গিয়ে দেখি অনেক মানুষের সমাহার। কেউ আছে পরিবার নিয়ে ঘুরতে, আবার কেউ আছে গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ঘুরতে, আবার কেউ আছে বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে।
এই চিড়িয়াখানাটি দেখতে অনেক বড়। এই চিড়িয়াখানায় অনেক ধরনের বনজ প্রাণী রয়েছে। বনস প্রাণীগুলোর মধ্যে বাঘ, সিংহ, কুমির, হরিণ, জল হস্তি, গন্ডার, বিভিন্ন ধরনের পাখি, বিভিন্ন ধরনের সাপ, ময়ূর, ইত্যাদি অনেক ধরনের প্রাণী রয়েছে।
আমি অনেক ছবি তুলেছিলাম। দুঃখজনক বিষয় বাকি ছবিগুলো আমার সেভ হয়নি। যাই হোক তবুও কয়েকটা ছবি ফোনে সেভ হয়েছে। তবে কুমিরটা দেখে আমি বিচলিত হয়ে যাই। কুমির ছিল মোট আটটি। আটটি কুমিরে প্রায় দেখার মতোই ছিল। কাঁটাতারের ভিতর দিয়ে আমি ভিডিও করার চেষ্টা করেছিলাম। সেই ভিডিওটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
ভিডিও লিংক:
তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের হুটহাট প্লান করে ঘুরাঘুরি। রংপুর চিড়িয়াখানা ঘুরে অনেক আনন্দ পেয়েছি। তবে সিংহ কে ভালো করে দেখতে পারিনি। সে তার ঘুম নিয়ে ব্যস্ত ছিল।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার কেটে যাওয়া সেই মুহূর্ত। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
আমি মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম নাহিদ। আমাকে সবাই নাহিদ বলেই ডাকে। আমি বাংলাদেশী । আমি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বই পড়তে , লিখতে ও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে ভালোবাসি।নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি।
খুব সুন্দর লিখেছেন। রংপুর চিড়িয়াখানা যাওয়ার সৌভাগ্য এখনো আমার হয় নাই। আপনার ছবি দেখে একটি ধারণা পাইলাম ।কোনদিন সময় পাইলে আমারে নিয়ে যায়েন একটু।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা সবাই ভার্চুয়ালি রংপুর চিড়িয়াখানা ঘুরে ফেললাম ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ ভাই । আপনার প্রতি শুভকামনা রইল ।
প্রথমেই আপনাকে জানাই থ্যাংকস কারণ আপনার কল্যাণে রংপুর চিড়িয়াখানা ঘুরা হয়ে গেলো আমার। অনেক ভালো লেগেছে চিড়িয়াখানার পরিবেশটি।
ধন্যবাদ আপনাকে ও আপু । সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাই রংপুরে চিরিয়াখানায় না গেলেও আপনার মাধ্যমে দেখে ফেললাম ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।এগিয়ে যান পাশে আছি ইনশাল্লাহ
অনেক আনন্দিত হলাম যে , রংপুর চিড়িয়াখানা না এসেও আমার পোস্টের মাধ্যমে দেখে ফেললেন । দোয়া করবেন ভাই ,যেন সবসময় আপনাদের পাশে থাকি । ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে রংপুর চিড়িয়াখানা ঘুরে ফেললাম । অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু ।
রংপুর চিড়িয়াখানার অনেক সুন্দর একটি বর্ণনা দিয়েছেন। আপনার পোষ্ট পরে বুঝতে পারলাম অনেক সুন্দর একটি মুহুর্ত কাটিয়েছিলাম সবাই মিলে। যদিও আমরা কখনো যাওয়া হয় নি তবে। এটা দেখে আমএখন যেতে খুবই মন চাইছে। ইনশাআল্লাহ একদিন যাবো। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।