লকডাউনের পর কলেজে প্রথম দিন।//10% Beneficiaries @shy-fox
আজকে সকাল থেকে খুশি খুশি লাগতেছিল । কেননা অনেক দিন পর আজ থেকে কলেজে যাব। তাই রাতে ঘুম হয়নি একথা ভেবে। কখন সকাল হবে সেই প্রহর গুনতে লাগলাম। অবশেষে রাত পেরিয়ে সকাল হলো। তারপর দাঁত ব্রাশ করে খাওয়া দাওয়া করলাম। একটু বই পড়তে বসলাম।
ভাবলাম আজকে কি বই পড়বো। তারপর মনে হলো না আজকে পদার্থবিজ্ঞান বই পড়ি। তাই পদার্থবিজ্ঞান বই নিয়ে পড়তে বসলাম। পদার্থবিজ্ঞান বা বিজ্ঞান বিভাগের সাবজেক্ট পড়তে আমায় অনেক ভালো লাগে। তাই আমি মহাকাশের অধ্যায়টি বের করে পড়তে বসলাম। আজকে আমার পড়া টপিকটা ছিল মহাকাশ স্টেশন নিয়ে পড়া। তাই পড়তে শুরু করে দিলাম।
অজানাকে জানার জন্য মানুষ অনেক কিছু করতেছে। তার সাথে সাথে তৈরি করতেছে নানান রকম যানবাহন। আরে যানবাহন দিয়ে পৃথিবীতে অনেক কিছু করা সম্ভব হচ্ছে। মানবজাতির সবচেয়ে সাহসী সন্তানেরা পাড়ি জমিয়েছে আবিষ্কারের নেশায়। কিভাবে পৃথিবীর গণ্ডি পেরিয়ে মহাশূন্যে গমন করা যায়। আর এই স্বপ্নগুলো পূরণ হচ্ছে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে।
এক অদ্ভুত ঘাঁটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। এক বিশাল ধরনের মানুষের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ। যেখানে মানুষ বসবাস করতে পারে। এটি এক ওজনবিহীন পৃথিবীর ।যেখানে মহাকর্ষ বল এতটাই হালকা যে এখানে বড়-ছোট সবকিছুই ভেসে বেড়ায়। এখানে কোন দিন রাতের হিসাব নেই। নেই কোনো উপর নিচ।
১৮৬৯ সালে এভরট হেল মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা করে। এরপর অন্যান্য বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারনা বের করে।১৯২৯ সালে হারমন পোটকনিক তিনি এক বইয়ের মহাকাশ স্টেশন সম্বন্ধে ধারণা ও নকশা প্রকাশ করেন । তারপর মানুষের কল্পনার থেকে বাস্তব জগতে আসতে অনেক সময় লেগেছে।
১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র একটি মহাকাশ পরিকল্পনা হাতে নেয়। এর নাম দেওয়া হয়, স্পেস স্টেশন ফ্রিডম। কিন্তু এটি মূল পরিকল্পনা ও নকশা অনুযায়ী তৈরি করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে অনেকগুলো দেশের পরিকল্পনা করার পর ১৯৯৩ সালে নাম দেওয়া হয় ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। বা ISS । এরপর বিজ্ঞানীরা অনেক বাধা অতিক্রম করে আজকের পর্যায়ে আসতে পেরেছে।
মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম স্টেশন হলো মহাকাশ স্টেশন। এই স্টেশনটি তৈরি করতে অনেকগুলো রকেটের প্রয়োজন হয়েছে। রকেট ছাড়া এই স্টেশন সম্পূর্ণ করা সম্ভব হতো না। এই স্টেশন কি তৈরি করতে 13 বছর সময় লেগেছে।
এরকম মহাকাশের ইতিহাস নিয়ে অনেক কিছু পড়লাম । তবে কল্পনা চাওলা আপুর ইতিহাসটা পড়ে খুব দুঃখ পেলাম। কল্পনা চাওলা ভারতের প্রথম মহিলা যিনি মহাকাশে গিয়েছিলেন। তিনি মহাকাশে দুই বার গিয়েছিলেন। কল্পনা চাওলার মোট মহাকাশে থাকার সময় হল ৩১ দিন ১৪ ঘন্টা । ১৯৯৬ সালে তাঁর ছিল প্রথম মহাকাশ অভিযান। তিনি ২০০৩ সালে মহাকাশ থেকে ফিরে আসার সময় দুর্ঘটনায় নিহত হন। কল্পনা চাওলা ইতিহাস নিয়ে পরবর্তীতে আমি একটা পোস্ট করব।
কল্পনা চাওলা ইতিহাস পড়ে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। পড়তে পড়তে ১ টা বেজে গিয়েছিলো দুপুর । গোসল করে খাওয়া-দাওয়া করে কলেজের দিকে রওনা দিলাম। কি ভালই না লাগতে ছিল অনেকদিন পর কলেজ ড্রেসটা গায়ে পড়লাম। আনন্দে কলেজ গেলাম। গিয়ে দেখি প্রায় সবাই চলে এসেছে আমার বন্ধু গুলো। তাদের সাথে কোলাকোলি করলাম । শয়তানি আড্ডা ইত্যাদি অনেক মজা করলাম। তারপর সবাই মিলে ক্লাসে গেলা । তারপর আমাদের ডিপার্টমেন্টের হেড এসে আমাদের ক্লাস নিল। শুধু প্রাক্টিক্যাল ক্লাস। আজকে প্রথম দিন সেভাবে প্রাক্টিক্যাল কোন কিছুই শেখায় নি এমনিতে ধারণা দিয়েছে।
কলেজ শেষ করে সবাই একাডেমির মাঠে বসে পড়লাম। সবাই মিলে এত দিনের ইতিহাস গুলো শেয়ার করলাম কে কী কাজ করেছে। শেয়ার করা হয়ে গেলে সবাই মিলে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
আমি মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম নাহিদ। আমাকে সবাই নাহিদ বলেই ডাকে। আমি বাংলাদেশী । আমি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বই পড়তে , লিখতে ও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে ভালোবাসি।নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি।
কলেজে অনেক দিন পর যাওয়া এইবার।ছাত্ররা এত দীর্ঘ সময় কখনো বাড়িতে কাটায় নি।আপনার আজকের দিনটা অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই আজকের দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর শতকরা ৯০% লোকের মনে হয়েছে যেন আজকে জীবনে প্রথম কলেজে আসলাম।আমি আজকে যদিও কলেজ যাই নি।কারণ আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে সত্যিই খুলবে আজকে।
অনেক সুন্দর লিখেছেন।পদার্থ বিজ্ঞান মানেই রহস্য।মহাকাশ মানেই ভাবনার মেলা।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
অনেক সুন্দর লিখেছেন মামা। সত্যিই আজকের দিনটি অনেক সুন্দর ছিলো।। সবকিছু যেনো আগের মতোই ফিরে গেছে সেটা বিশ্বাস হচ্ছে।
লকডাউনের পর কলেজে প্রথম দিন। আপনার আজকের দিনটা অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀 ভাইয়া
সব স্কুল-কলেজ খুলে দিল আমাদের এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা হয়নি। এতদিন পর সব বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করার মজাই আলাদা, সবার সাথে একসাথে বসে আবার ক্লাসরুমে ক্লাস করা, সত্যি অনেক ভালো লাগে। শুভ কামনা রইলো।
জি ভাই অনেকদিন পর কলেজে আমরা অনেক মজা করতেছি। আশাকরি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খুব তাড়াতাড়ি খুলে দিবে। ধন্যবাদ ভাই।