মুড়ি মাখার জনপ্রিয়তা। 10 % beneficiary @shy-fox
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি । |
---|
আজকে আমি আমাদের জেলার দুটি জনপ্রিয় খাবার নিয়ে আলোচনা করব । বেশ কয়েকদিন ধরে ভাবতে আপনাদের কে পরিচয় করিয়ে দিতে, কিন্তু সময়ের অভাবে হচ্ছিল না । যাইহোক আমাদের দেশে একেক জেলা একেক জিনিসের জন্য বিখ্যাত । যেমন, নাটোর কাঁচা গোল্লার জন্য বিখ্যাত , বগুড়া দই দিয়ে বিখ্যাত আর আমাদের দিনাজপুর কাটারিভোগ চাল আলু দিয়ে বিখ্যাত ।
কাটারিভোগ চাল এই জেলায় বেশি উৎপাদন হয় । এই জেলার মাটি উঁচু বেলে- দোআঁশ । আর কাটারিভোগ ধান এই মাটিতে বেশি ফলে । তাই তো জিআই পণ্য হিসেবে এ দেশে পরিচিত । শুধু কাটারিভোগ চাল না , বেলে-দোআঁশ মাটিতে সব রকম ফসল ফলে । কত রকমের যে ধান চাষাবাদ হয় সীমানার বাইরে । আর এই ধান থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য তৈরি হয় । যেমন, চাল, চিড়া, মুড়ি, খই ইত্যাদি ।
আর এসব খাদ্য আবার বিভিন্ন রকম স্বাদে তৈরি করে খায় । তাই আমি আজকে আমাদের এলাকার নামকরা মুড়ি মাখা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি । সবাই সবরকম খাদ্য বানাতে পারলেও স্বাদ ও মজা একই হয় না । একেক জনের একেক রকম যান। রান্নার স্বাদ । তাই আমি আজকে যে ভাইটির মুড়ি মাখা নিয়ে হাজির হয়েছি , সে আমাদের উত্তর বঙ্গের মুড়ি মাখা দিয়ে অনেক জনপ্রিয় ।
একবার যে খেয়েছে সে দ্বিতীয়বার নিবেই । দূর দূরান্ত থেকে আসে মুড়ি মাখা খেতে । মুড়ির সাথে বিভিন্ন রকম মসল্লা দিয়ে মুড়ি মাখার স্বাদ বাড়িয়ে তুলে । যেমন, মুড়ির সাথে পেঁয়াজ, মরিচ ,গাজর 🥕, টমেটো🍅,ধুনে পাতা, লবণ , আর বিভিন্ন রকম মসলার মিশ্রিত তেল। এই তেলে মূলত মুড়ি মাখার আসল উপকরণ । এই তেল যে যত করে সুন্দর তৈরি করতে পারে তার মুড়ি মাখা ও সুস্বাদু হয়ে ওঠে। মুড়ি মাখা সৌন্দর্য আর স্বাদ বাড়াতে বাকি উপকরণগুলো দেওয়া হয়।
আর এই ভাই সবগুলো উপকরণ দিয়ে মুড়ি মাখা তৈরি করে। এই ভাইয়ের মুড়ি মাখা উত্তরবঙ্গের এত প্রচলিত আগে জানতাম না। আগে যখন গ্রামে ছিলাম মনে হতো আমরা আশেপাশে লোকেরাই শুধু খেয়ে থাকি। কিন্তু যখন প্রথম দিনাজপুর মেসে গেলাম তখন একটি অবাক ঘটনা ঘটলো। আমি যে মেসেজ ছিলাম সেখানে অনেক বডার এবং কয়েকজন বড় ভাইয়ের ছিল। ম্যাচের ভাইয়েরা প্রতিদিন রাতে করে কোথায় যেন যায়। আমরা শুধু দেখি। ভাইদের বাসা হলো যশোর ও কুষ্টিয়া। তাই একদিন বড় ভাই গুলোকে অনেকগুলো ছেলে ডাকতে এল। এসে বলল, অনিক তুই এখনো রেডি হস নাই। বড় ভাই টির নাম ছিল অনিক । সেদিন ম্যাচে বেশি জন ছিলাম না । অনিক ভাই বলল ইব্রাহিম তুই রেডি হয়ে নে তাড়াতাড়ি । আমি বললাম , কেন ভাই । ভাই বলল মুড়ি মাখা খেতে যাব । আমি বললাম ও । আমি মনে করছিলাম হয়তো বড় মাঠ যাবে । কিন্তু না স্টেশন এ গেল । আমি মনে মনে ভাবলাম হয়তো স্টেশনে অনেক মুড়ি মাখা পাওয়া যায় , হয়তো সেখানে খাবে ।
কিন্তু স্টেশনে গিয়ে দেখি অনেকগুলো ভাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে। আমি এক এক করে হিসাব করলাম মনে মনে । দেখি যে ২৭ জন । আমি ভাবলাম হয়তো কারো সাথে ঝামেলা হয়েছে। কিন্তু না সবাই ট্রেনে উঠে পড়ল। আমি অনিক ভাইকে বললাম, ভাই আমরা এত জন কোথায় যাইতেছি। ভাই বলল মুড়ি মাখা খেতে । আমি বললাম কোথায় মাড়ি মাখা খান। ভাই বলল পার্বতীপুরে এক ভাই মুড়ি মাখা বেঁচে। তার মুড়ি মাখা অনেক সুন্দর। আমার আর বুঝতে দেরী হলো না। আমি বললাম ভাই খোঁজ কেমন করে পেলেন এই মুড়ি মাখার। অনিক ভাই বলল আমার বড় ভাই আমাকে নিয়ে গিয়েছিল। তখন থেকে এখানে মুড়ি মাখা খেতে আসি । আমাকে বলল তুই আজকে খাদ্য পাগল হয়ে যাবি। আমি বললাম ভাই আমি অনেক খেয়েছি । এটা আমার এলাকা ।আমি সবসময় খাই । ভাই বলল ও আচ্ছা তাই নাকি । তো আগে বলিস নি কেন । আমি বললাম , আমি জানি আপনারা মুড়ি মাখার পাগল ।
বিকেল থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত সিরিয়াল নিয়ে খেতে হয়। কেননা দূর-দূরান্ত থেকে অনেক লোক আসে এখানে মুড়ি মাথা খেতে। তাই অনেক ভিড়। আপনারা যদি কেউ উত্তরবঙ্গের ট্রেনের ভ্রমণ করেন। তাহলে অবশ্যই পার্বতীপুরে নেমে এই মুড়ি মাখা খাবেন । অবশ্যই আপনাদের কেও ভালো লাগবে।
আমি মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম নাহিদ। আমাকে সবাই নাহিদ বলেই ডাকে। আমি বাংলাদেশী । আমি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বই পড়তে , লিখতে ও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে ভালোবাসি।নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এভাবে আমরাও ছোট থাকতে অনেক মুরি বানিয়ে খেয়েছি। একসাথে সবাই মিলে মিশে মুড়ি ভর্তা খেতে খুবই দারুণ লাগে। তাই আজকের মুরি বর্তাটা আপনার অসাধারণ হয়েছে। এবং আপনি খুবই সুন্দর করে মুরি বর্তাটা বানিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই পোস্ট গুলো দেখে ও পড়ে কমেন্ট করলে ভালো হয়।
আহা পার্বতীপুর এর সেই মুড়ি মাখা মনে হলেই খেতে যেতে ইচ্ছে করে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মামা খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।😍🖤🙏
জিও মা আজও মনে পড়ে সেই পার্বতীপুরের মুড়ি মাখা । এখন অনেক মিস করতে হয় । ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ।
এই রকম মুড়ি মাখার জনপ্রিয়তা আমাদের দেশে অনেক রয়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। আর তাই দেখে জিভে জল এসে গেল আমার। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
মুড়ি মাখার কিন্তু অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমি মনে করি সব জায়গাতেই কমবেশি মুড়ি মাখা খেতে সবাই ভালবাসে। আর আপনি আজকে মুড়ি মাখার জনপ্রিয়তা নিয়ে যা বললেন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর একেক জায়গায় একেক খাবারের জনপ্রিয়তা রয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।