চালতার চাটনি রেসিপি/10% Beneficiaries @shy-fox
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আমি মনে করি আমরা বাঙালিরা সবাই খাদক। সামনে খাবার দেখলে লোভ সামলাতে পারিনা। অন্যের কথা কি বলব, আমার আজকে সারাদিনটা প্রায় খাওয়া-দাওয়ার উপরে গিয়েছে।
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ভাত খেয়েছিলাম। কেননা আজকে সকালবেলা অনেক খিদা লেগে ছিল। আমার সকাল বেলায় ভাত খাওয়ার অভ্যাস নেই । আমি সকালবেলায় ডিম পরোটা খেয়ে থাকি। কিন্তু আজকে প্রচুর খিদা লাগার কারণে ভাত খেয়েছি।
ভাত খাওয়ার পর সাগর আর আমি চালতার চাটনি বা আছাড় খেলাম । চালতার আচার চাটনি আমার খুব জনপ্রিয়। শুধু আমারই না আমার পরিবারের সবাইরে জনপ্রিয় এই আচার বা চাটনি। তাই আমাদের বাসায় প্রায়ই এই চাটনি তৈরি করা হয়। মূলত চাটনি বানানোর ফেমাস হলো আমার নানী। তাই আমি আজকে চালতার চাটনি আচার তৈরি রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
🫕চালতার চাটনি 🫕
উপকরণ:
চালতা |
---|
পিয়াজ |
সুট মরিচ |
রসুন |
আদা |
তেল |
লবণ |
চিনি |
জিরা মসলা |
প্রথমে টাটকা চালতা আমি গাছ থেকে পেড়ে বাড়িতে এনেছি। অনেকগুলো পেরেছি কারণ গ্রামের অনেক লোক চেয়েছিল চালতা। তাই তাদেরকে দেওয়ার জন্য অনেকগুলো চালতা গাছ থেকে তুলেছি।
প্রথমে চালতা গুলো পিছ পিছ করে কেটে নিয়েছি। পিছ পিছ করা চালতা গুলো হালকা করে থেতলে নিয়েছি। যাতে মশল্লা গুলো ভিতরে খুব সহজেই ঢুকতে পারে । তারপর চালতা গুলোকে ভাপিয়ে নিয়েছি। গরম পানিতে ভাপিয়ে নেওয়ার পর চালতা গুলোতে পানি যদি না থাকে একটি ঝুড়িতে নিয়েছি।
এবার পিয়াজ ও রসুন করে দিয়েছি। তারপর পরিমাণমতো তেল দিয়েছি । তারপর পিয়াজ ও রসুন গুলোকে ভালোভাবে ভেবে নিয়েছি।
পিয়াজ গুলো ভাজা হয়ে গেছে । ভেবে ফেলা চালতা গুলো এবার দিয়েছি ।
এবার চালতা গুলো এপাশ-ওপাশ করে দিতে হবে।
কিছুক্ষণ এভাবে নাড়াচাড়া করার পর, শুকনো মরিচের বাটা দিয়েছি।
মরিচ বাটা গুলো দেওয়ার পর, চিনি দিয়েছি। তারপর চিনিও চালতা গুলোকে একটি চামচ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি নাড়াচাড়া করে।
এভাবে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়ার পর চালতার আচার বা চাটনি প্রস্তুত।
আমি মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম নাহিদ। আমাকে সবাই নাহিদ বলেই ডাকে। আমি বাংলাদেশী । আমি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বই পড়তে , লিখতে ও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে ভালোবাসি।নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি।
অনেক সুস্বাদু চাটনির রেসিপি তৈরি করেছেন।খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।আপনার নানীর হাতের চাটনি নাজানি কত সুস্বাদু হয়।যেখানে আপনার তৈরি আচার দেখেই জিভে সবাই এসে গেছে।
ভাত খাওয়া ই বেশি উত্তম ভাই।পরোটা ডিম এগুলোর থেকে।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
জি ভাই বুঝতে পেরেছি ।আর ভাত খাওয়ার অভ্যাস করতেছি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আমার আচারের মধ্যে সব চাইতে প্রিয় আচার হচ্ছে চালতার আচার। তাই দেখে মুখে পানি এসে গেল। যাইহোক আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টের কিছু জিনিস আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আবার কিছু সমস্যাও ধরা পড়েছে। খেয়াল করে দেখুন-
চাটনি বা আছাড় খেলাম
আপনার এই পোস্টে অনেকগুলো ভুল আছে। এই ভুলগুলো সংশোধন করুন। এরকম ভুল আমারও হয়। এই ভুলকে আমি কমানোর জন্য যে কাজটা করি সেটা হচ্ছে। পোস্ট লেখার পরে একাধিকবার চেক করি। তাতে ভুলের পরিমাণটা অনেক কমে আসে। আশা করি এরপর থেকে এ ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক আছে ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
এরপর থেকে পোস্ট করার আগে অন্তত একবার ভালোভাবে চেক করে নেবেন। তাহলে আশা করি এই ধরনের ভুল আর হবেনা।
ঠিক আছে ভাই।
চালতা এই সময়ে বাড়াতে বেশ পাওয়া যায়, গতকালও আমি চালতার ডাল খেয়েছি। তবে হ্যাপ, চালতার এই ধরনের আচার আমি খুবই পছন্দ করি এবং প্রতি বছরই আমাদের বাড়ীতে তৈরী করা হয়। আপনার দৃশ্যগুলো ভালো ছিলো কিন্তু পোষ্ট করার পূর্বে একটু ভালো করে চেক করার দরকার ছিলো, যেটা রুপকভাই বলেছেন। ধন্যবাদ
পরবর্তীতে খুব মনোযোগ সহকারে চেক দিব ভাই দু-তিনবার। তারপর পোস্ট করব।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।