অল্পতেই সুখী থাকা ভালো!!// 10% beneficiary @shy-fox
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি । |
---|
আজকে আমি আপনাদের মাঝে কিছু বাস্তব কথা শেয়ার করব । মানুষের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা হল মন । যা আমাদের সবারই আছে । আর সবচেয়ে দুর্বল হাতিয়ার হলো ভালোবাসা । আর এই ভালোবাসা নামক হাতিয়ারটি মনের মধ্যে থাকে । এই হাতিয়ার চাইলে মনকে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করতে পারে। সেটা ভালো হউক বা খারাপ । তবে অনেকই সঠিক জায়গায় ব্যবহার করতে পারে না । অনেক জায়গায় ধোঁকা খায় ।
এসব ধোঁকার কারসাজি এখন রহরহ ঘঠতিছে । এই তো সেদিন একটা কাহিনী ঘটলো চোখের সামনে । ঘটনা টা একটু পরে বলি । আগে কিছু বাস্তব কথা বলা যাক ।
প্রেমের ক্ষেত্রে নারীরা ছেলেদের কোন দিক টা বিবেচনা করে তা আমরা হয়তো সবাই জানি । পোশাক , জুতো, টাকাকড়ি ইত্যাদি , আবার কেউ কেউ স্বাস্থ্য, বয়স , ব্যবহার শিক্ষা ইত্যাদি দেখে থাকেন। আর পুরুষেরা নারীদের মুখ, সৌন্দর্য, চেহেরা ইত্যাদি দেখে থাকেন । পরে ব্যবহার, শিক্ষা, বয়স রুচির বিষয়টি দেখে থাকেন ।
বিষয়টি যদি আমরা গভীরভাবে চিন্তা করি তাহলে বলা যায় , নারীরা খোঁজে অর্থ-সম্পদ আর ছেলেরা খোঁজে সৌন্দর্য।
এই খোঁজাখুঁজি পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। কেননা একটা মেয়ে যখন কোনো ছেলেকে ভালো লাগে তখন একটাই চিন্তা করে যে , যার বাসায় সারাটি জীবন থাকবো তার বাসার আর্থিক অবস্থা কেমন। আসলেই আমি সুখে থাকতে পারব কিনা । তবে সবার চিন্তাধারা একই না, কারো ভিন্ন হতে পারে। আর ছেলের বিষয়টি হলো যে , যার সাথে সারাটা জীবন কাটাব তার সৌন্দর্য ও ব্যবহার কেমন। এটাই।
আমাদের কলেজ আর মহিলা কলেজ প্রায় এক সাথেই । শুধু রাস্তার এপার ওপার । তো আমাদের কলেজের এক ছোট ভাইয়ের সাথে মহিলা কলেজের এক ছোট বোনের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল । তাদের বাসা নাকি পাশাপাশি গ্রামে । বেশ কয়েক দিন ধরে নাকি এই সম্পর্ক । কেননা রিলেশন হলে নারীরা বলে , আমি তোমাকে আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি, তুমি আমার জান, তুমি আমার প্রাণ, তুমি আমার সূর্য চাঁদ ইত্যাদি বলে থাকে।
ছেলে তো শুনে পুরাই খুশি । কেননা সে আগে কখনো প্রেমে পড়েনি। এটাই তার প্রথম ছিল । এই বিষয়ে কি কি পরিস্থিতি উপর পড়তে পারে তার কোনো ধারনাই ছিল না। আবেগের বসে অনেক গভীরে চলে গিয়েছে। মনে হয় সে মহাকাশ থেকে নতুন কোন গ্রহে এসে পৌঁছেছে। নতুন প্রেমে এইরকম একটা ভাব চলে আসে।
কিন্তু ছোট ভাইটার একটু বুদ্ধি ছিল । সে ভাবল কি রে ? কিছু বুঝলাম না । মেয়েটি আমায় এত ভালোবাসে। সে আমায় তার জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। তাহলে একটা পরীক্ষা করি । ছেলেটি মেয়েটিকে আবার জিজ্ঞেসা করল, তুমি আমায় কতটুকু ভালোবাসো? তখন মেয়েটি আবার বলল, আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। তখন ছেলেটি মেয়েটাকে বিছনায় যাওয়ার কথা বললেন ।
এই কথা মেয়েটি শুনে রেগে গেলেন। ওমা কি বললি তুই , তুই আমার শরীর চাইস। তুই একটা লুচ্চা ও বদমাশ। আমি তোকে আমার জীবনের থেকে বেশি ভালবাসি তুই আমাকে এই কথা বলতে পারলি। তোর সাথে আজ থেকে আমার সম্পর্ক শেষ।
তখন ছেলেটি বলল, ঠিক আছে বুঝতে পারলাম । তবে আমার কথার একটা উত্তর দাও ? একটা মানুষের জীবন ছাড়া কি তার শরীরের মূল্য আছে। মনে কর তোমার জীবনটা নেই, তখন তোমার শরীরটা কিন্তু একদিকে পড়ে থাকবে । এক কথায় জীবন ছারা শরীর অচল। আর তুমি আমার জন্য জীবন দিতে রাজী কিন্তু শরীর না । তাহলে তুমি আমায় কেমন ভালোবাসো ঠিক বুঝলাম না । এই নিয়ে পরে ছেলেটাই মেয়েটির কাছ থেকে দূরে গেল ।
পরে কিছু দিন পড় ছেলে আর মেয়ে দুজনেই আত্মহত্যা করে। এর মাঝে তাদের মধ্যে কি হয়েছে আর জানা যায়নি। এজন্য কাউকে মনে জায়গা দিলে দূর থেকে ভালবাসাই উচিত । এতে শারীরিক কোনো সম্পর্ক থাকে না। থাকে না কোন সম্পর্ক হারানোর ভয়। বেশি কিছু পেতে গেলে , পতন ঘনিয়ে আসে। তাই তো —- ডেমোক্রিটাস বলেছেন,
“ যে অল্প লইয়া সুখী সেই ভাগ্যবান, আর বিত্তশালী হইয়াও যে অসুখী সে দুর্ভাগাই বটে। ”
ধন্যবাদ বন্ধুরা আজকের মত এখানেই শেষ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
আমি মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম নাহিদ। আমাকে সবাই নাহিদ বলেই ডাকে। আমি বাংলাদেশী । আমি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বই পড়তে , লিখতে ও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে ভালোবাসি।নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি।
ভালোবাসা নামক অদ্ভুত ও অদৃশ্য হাতিয়ার দিয়ে সবকিছু করা সম্ভব। হাতিয়ার দিয়ে একদিকে যেমন মানুষকে কাছে টেনে নেওয়া যায় অন্যদিকে আবার এটি দ্বারা মানুষকে একেবারে শেষ করে দেওয়া যায়। আপনার পোষ্টটি পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।
আপনার গল্প পড়ে অবাক হলাম। তবে এখানে আত্মহত্যা করার কোনো কারণই খুঁজে পেলাম না আমি।আসলে এখন আর রিয়েল লাভ বলে কিছু নেই। যা আছে সব ধোঁকা আর ধোঁকা। ছেলে ধোঁকা দেয় মেয়েকে আবার মেয়ে ধোঁকা দেয় ছেলেকে এভাবেই চলছে।
জি ভাই আমরা ঠিক বুঝতে পারিনি আত্মহত্যার কারণ টা কি। তবে ঠিকই বলেছেন এবং রিয়েল লাভ বলতে কিছু নেই। এখন শুধু ধোঁকা আর ধোঁকা ।
ভাইয়া গল্পটা অসাধারণ ছিল। যদিও আপনি বলছেন বাস্তবিক জীবন থেকে নেওয়া। তবে আমি যা বুঝি একটা প্রাপ্তবয়স্ক নারী যা বুঝে, একটা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে তার চার ভাগের এক ভাগও বুঝেনা সংসার সম্পর্কে। তবে আপনি অসাধারণ গুছিয়ে লিখেছেন। আমাদেরকে এত সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য। অনেক সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করেছে।