মিশরীয় সভ্যতার কিছু কথা // 10% beneficiary @shy-fox
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির বন্ধুগণ,আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। |
---|
যাত দিন যাচ্ছে ততই মানুষ ও পৃথিবীর পরিবর্তন হচ্ছে । তা আমরা নিজ চোখেই দেখতে পাচ্ছি । এখন মানব জাতি অলস হিসাবে নিজেকে প্রস্তুত করতেছে । কিভাবে একটা কঠিন কাজকে সহজ বা কম পরিশ্রমে করা যায় তা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে । তা থেকে আমাদের কি ক্ষতি হচ্ছে ? আমার মতে হ্যা।
একটু আগের দিনের কথা ভাবা যাক। সেই সময়ের মানুষের পৃথিবীতে কত বছর বাঁচতো । তাদের গড় আয়ু কত বছর ছিল । আমরা সবাই মিশরীয় সভ্যতার কথা শুনেছি বা পড়েছি । হয়তো অনেকেই এই সভ্যতার সম্পর্কে জানেন । তখনকার মানুষরা কিভাবে জীবন যাপন করেছিল । এই মিশরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল নীল নদের তীরে । আফ্রিকা মহাদেশে পূর্ব অঞ্চলে। ফারাওদের শাসন কাল ছিল । নীলনদের তীরের মাটি অনেক উর্বর ছিল । তারা কঠোর পরিশ্রম দিয়ে মাঠে কাজ করে ভালো ফসল উৎপাদন করত । তাদের ফসলগুলো মধ্যে প্রধান ছিল গম । তা বাদেও ভুট্টা ,যব, তুলা, পিঁয়াজ ইত্যাদি তাদের অর্থকরী ফসল ছিল । এই ফসলে কোনো রকম ভেজাল ছিল না । আকাশ থেকে বৃষ্টি হতো ,আর সে থেকে গম ও অন্যান্য উৎপাদন হতো । আর এই গমের পিঠা তৈরি করে মাংস দিয়ে খেতে । তারা আমাদের মতো এত ভেজাল খেত না ।তাই তার বেশি দিন বাঁচতো।
।তারা অধিক বুদ্ধি মান ছিল । তারা নতুন কিছু আবিস্কার করতে পছন্দ করতেন। কিছু আবিস্কারের কথা যেনে নেওয়া যাক।
মিশরীয় সভ্যতার সময় কত কিছু যে আবিষ্কার হয়েছে তা কল্পনার বাইরে । তাদের চিন্তা চেতনা ছিল অন্য রকম । তারা প্রায় সব রকম চিন্তা করেছিলেন । চিন্তা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ধর্মীয় চিন্তা । তারা ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্তিতে ছিল । সে সময় মানুষের নির্দিষ্ট কোনো ধর্ম বেচে নিতে পারে নি । যখন জার যে ধর্মকে ভালো লাগত তখন সে সেই ধর্মে চলে যেতো । তখন অধিকাংশ মানুষ সূর্য দেবতা আমন কে বিশ্বাস করত। আর এই আমনকে ঘিরে ছিল অনেক পুরোহিত । আমনের ছিল অনেক ধন সম্পদ । এই পুরোহিতের মধ্যে একজন ছিল প্রধান পুরোহিত । তার নাম ছিল আঙা মোহর । তিনি মারা যাওয়ার আগে আমনের পতন ঘটে । যাই হোক এসব অনেক কথা পড়ে নয়তো একদিন বলব ।
তখনকার মানুষরা বিশ্বাস করতো মৃত্যু ব্যাক্তি কোনো একদিন জীবিত হবেন । সে জন্য তারা দেহকে তাজা রাখার জন্য মমি করে রাখতো । মমিগুলোকে রক্ষা করার জন্য তারা পিরামিড তৈরি করেছিল । তারা কারুশিল্প দিয়ে অনেক দক্ষ ছিলেন । কেননা তাদের কারুশিল্প গুলো এখন যাদুঘরে দেখলে বুঝা যায় । তারাই সর্ব প্রথম মন্দিরে কারুকাজ শুরু করেছিল । সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় বলে পড়ে তার বাসাবাড়িতে কারুকাজ করা শুরু করে দেয় ।
তারাই তো সর্ব প্রথম লেখন পদ্ধতি ও কাগজ আবিষ্কার করেছিলেন । তারা প্রথমতো কাগজে ছবি একে মনের ভাব প্রকাশ করতো । তারপর ধীরে ধীরে অক্ষর আবিষ্কার করেছেন । নলখাখরা গাছ থেকে তারা কাগজ তৈরি করা শিখতো ।
তারাই তো সর্ব প্রথম জ্যামিতি ও পাটিগণিত আবিষ্কার করেন । তারা তো যোগ, বিয়োগ, গুন , ভাগ জানতো । তার পর থেকে তার দিন গণনা শুরু করল । তারপর ধীরে ধীরে পঞ্জিকা তৈরি হলো । তারাই তো আবিষ্কার করলেন ৩৬৫ দিনে এক বছর । সেই সময়ের মানুষেরা অনেক কিছু আবিস্কার করেছে । তারা রসায়ন নিয়েও তখন অনেক কিছু ভেবেছেন । কিভাবে ফারাওদের লাশ ভালো রাখা যায় তা নিয়ে অনেক কিছু ভাবছিলেন । অবশেষে তারা সফলতা অর্জন করেন । তারা বিভিন্ন রোগের সমাধান দিতে পারত ।
তারা অনেক কষ্ট করে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছিল । কিন্তু আমরা তা এখন করি না । গেম আর ঘুম নিয়ে ব্যস্ত । আমরা নতুন কিছু ভাবার চেষ্টা টুকুও করি না ।
আজকের মতোই এখানেই শেষ করছি । পরে পোস্টে সব কিছু সুন্দর করে মিশরীয় সভ্যতার কথা বলব (ইনশাআল্লাহ)। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন ।
আমি মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম নাহিদ। আমাকে সবাই নাহিদ বলেই ডাকে। আমি বাংলাদেশী । আমি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বই পড়তে , লিখতে ও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে ভালোবাসি।নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি।
আপনার পোষ্টটি পড়ে আমি অনেক উপকৃত হলাম। আপনি এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। প্রতিটি বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ যা আমার অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আপনাকে ভালো লেগেছে বলে আমি আনন্দিত হলাম । ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন ।্আপনার সাথে আমি একমত মিশরীয় সভ্যতার মানুষ কোন বিশ্বাস করত মৃত ব্যক্তি সবাই জীবিত হবে একদিন তাই সবাইকে মমি করে রাখত। এই বিষয় সর্ম্পকে আমি অনেক কথা শুনেছি এবং এটা নিয়ে একটা মুভি ও দেখেছি। যাইহোক অনেক ডিটেইলস নিয়ে পোস্টটি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ❤️❤️❤️❤️
জি ভাই মিশরীয় সভ্যতার মানুষেরা মনে করত মানুষ মৃত্যুবরণ করলে আবার একদিন জীবিত হবে । তাই তারা শরীর পচতে দিত না । মমি করে রাখতো । ধন্যবাদ আপনাকে ভাই আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন । শুভকামনা রইল।