চিন্তা কিছুটা মাথা থেকে গেল // 10% beneficiary @shy-fox
হ্যালো ,
| আমার বাংলা ব্লগ বাসীরা!! |
|---|
আশা করি সবাই ভাল আছেন আমি ।ও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি । আজকে আমি আমার কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ।
সকাল থেকে দিনটা খুব ব্যস্ততার মাঝে যাচ্ছিল।প্রতিটা প্রহর যেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল । মনে হয় সামান্য একটু ভুল করলে জীবনের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে । মনে মনে ভাবছিলাম পারব কি আমি , আমার পক্ষে কি এই কাজটা করা সম্ভব হবে । অনেক চিন্তায় ছিলাম আমি ।
| মনে মনে ভাবলাম যে করে হউক আমাকে কাজটা করতে হবে । পাশে বন্ধু আস্সাস ও সাহস দিতে লাগল । প্রকৃত বন্ধু হলো তারা , যারা ভালো-মন্দে, বিপদে-আপদে এগিয়ে আসে । আমিও সেইমত বন্ধু পেয়েছি । সে আমাকে অনেক ভালোবাসে আমিও তাকে অনেক ভালোবাসি । এত সুন্দর বন্ধু পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে সুকরিয়া গাপন করছি । |
|---|
| যাই হোক , বিকাল বেলায় আমার আবার পরিক্ষা ছিল । তার মধ্যে এত চাপ । পারিবারিক সমস্যা না বলাই ভালো । অবশেষে সমস্যা টা সমাধান হল । তবে পুরোপুরি হয়নি । |
|---|
| তার পর ২ টার সময় পরিক্ষা ছিল । পরিক্ষা ছিল মেথ-৩ । প্রিপারেশন মোটামুটি ভালোই ছিল । তারপর পরীক্ষা দিতে গেলাম । পরিক্ষা আল্লাহর রহমতে ভালোই হলো ।তবে পরিক্ষার হলে অনেক ঘটনা ঘটে গেল । ঘটনা গুলো অনেক বাজে ছিল । আমাকে মোটেও ভালো লাগেনি । তাহলে কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। |
|---|
| মেথ-৩ পরিক্ষা ছিল , সবাই অনেক চিন্তিত ।কি যে হবে । পরিক্ষার হলে মেথ- ৩ কস্চিন পেয়ে সবাইরে মুখের অবস্থা খারাপ হয়ে গেল । যেটা মোটেও ভালো না । কস্চিন যেমন হওয়ার কথা তেমন হয়নি । |
|---|
| আমাদের পরিক্ষার রুমে গার্ড পরছিল এক মেম ও এক স্যার । স্যার ও মেমকে দেখে আরো সবাই হতাশ । কেননা যে দুটো স্যার মেডাম গার্ড পরছিল তারা কলেজের মধ্যে বিপদজনক । প্রত্যেক কলেজে কোনো না কোনো স্যার মেডাম এই রকম থাকে । |
|---|
| এত কঠিন পরীক্ষার কাউকে বিন্দুমাত্র মাথা ঘুরাতে দেয়নি । বলে দিল , নিজেরা যা পারবে তাই লেখবে । অন্য দিকে তাকালে খাতা নিয়ে নিব আর দিব না । তারা আবার এক কথার মানুষ । কেননা ২ বছর ধরে তাদের ক্লাস করতেছি । তাদেরকে চেনা হয়ে গেছে । |
|---|
| সবাই লেখতে শুরু করল । প্রথম আধা ঘন্টার মত ভালো চলল । তার পর কারো কারো আর কলম চলে না । সবাই কমবেশি নিচে মাথা করে চুপ করে আছে । কারো দেখার মতো কারো সাহস নেই । দেখতে দেখতে ১ ঘন্টা পার হয়ে গেল । আমার আবার প্রায় লেখা শেষ । |
|---|
| এবার একের পর এক অনেক জনের খাতা নিয়ে নিল। যে দেখল তার আবার যার দেখল তার ও খাতা কেরে নিল ।তারপর একজন আরেক জনের কাছে থেকে পেন্সিল চেয়েছিলেন চিত্র অংকন করার জন্য । কিন্তু মেডাম দেখে দুজোনেরি খাতা কেরে নিল । আমরা কিছুই বুঝলাম না । |
|---|
| না এত অত্যাচার ভালো না । একজন আরেক জনের কাছে থেকে পেন্সিল ও নিতে পারবে না এটা আবার কি দোষ । বুঝলাম যে চেয়েছে সে কথা বলেছে , তার খাতা কেরে নিবে । কিন্তু যার কাছে থেকে পেন্সিল চাইলো সে কি দোষ করল । সবাই একতা হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম । |
|---|
| অনেক গন্ডগল শুরু হয়ে গেল । তারপর CI স্যারদের ডাকানো হলো । আমাদের রুমে ৩ টি টেকনোলজির ছাত্র ছাত্রী ছিল । ইলেক্ট্রিক্যাল , মেকানিক্যাল আর সিভিল । চির পর CI স্যারেরা আসলো,সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্সিপাল স্যার ও আসল । ব্যাপার গুলো সবাই খুলে বললাম । পরে ওই স্যার আর মেডামকে অনেক কথা শুনালেন ও বুঝালেন । কিন্তু না তার একই রয়ে গেল । অবশেষে তাদেরকে ডিউটি থেকে বাদ দিয়ে দিল । |
|---|
| তারপর পরীক্ষা দিয়ে মেসে আসলাম । সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা দিলাম । এসে শুনি আমাদের এলাকার মন্ত্রী ফুটবল টুর্নামেন্ট হয় সেখানে ঝগড়া লাগছে । কেমন ঝগড়া ,এলাকার এক বড় ভাই স্টেডে উঠে খেলা দেখবে । আর একজন নি চিনে তাকে বাঁধা দেয় । বড় ভাই অনেক বুঝাইলো কিন্তুএই লোক বুঝলো না । তাকে উঠতেই দিল না । |
|---|
| বড় ভাই মন খারাপ করে চলে আসলো আর বলল খেলা কি হইছে তা আমি দেখব । কালকে আমি আমার নিজের টাকা দিয়ে ফুটবল ম্যাচ চালাব । ঐ বড় ভাইয়ের সাথে আরো ২ টি ডোনার যোগ হল । বলল ,ওরা ছেলের খেলা দিছে আমরা মেয়ের দিব । |
|---|
| যে কথা সেই কাজ । দুটো টিমকে নিয়ে আসল ,,,,তারা হলেন , ঢাকা জেলা মহিলা ফুটবল একাডেমি বনাম দিনাজপুর মহিলা ফুটবল একাডেমি । ধুমধাম করে খেলার আয়োজন করা হল । টিকিটের মূল্য ছিল ২০ টাকা । |
|---|
| অবশেষে খেলা দেখার জন্য গেলাম । এত লোকজন দেখে আমি টাসকি খেয়ে গেলাম । দুই দলে অনেক শক্তিশালী । অবশেষে ঢাকা জেলা মহিলা ফুটবল একাডেমি ০-২ দিনাজপুর ফুটবল একাডেমি জয় লাভ করে । |
|---|
কিছু ভিডিও:
আমি মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম নাহিদ। আমাকে সবাই নাহিদ বলেই ডাকে। আমি বাংলাদেশী । আমি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বই পড়তে , লিখতে ও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে ভালোবাসি।নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি।
ওয়াও খুব সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বন্ধুরা সবসময়ই বন্ধুর পাশে থাকে। যে বন্ধু আরেক বন্ধুর বিপদে পাশে থাকে না সে কোনদিনও বন্ধু হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তবে আপনার জন্য খুব দুঃখ হলো পরীক্ষার হলে খাতা কেড়ে নিয়েছে এই জন্য। তবে শেষ বিকেল টা আপনার খুব সুন্দর কেটেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার ভিডিওর মাধ্যমে প্রমীলাদের ফুটবল খেলা উপভোগ করতে পারলাম। এতে করে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে । আসলে বন্ধু মানে বিপদের সাথি । যে বন্ধু আরেক বন্ধুর বিপদে এগিয়ে আসে না আসলে সে বন্ধু নয় ।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ।
সত্যি কথা বলি ভাই? আপনার পরীক্ষার বিষয় টা আমার খুব মজা লাগছে। পড়তেছিলাম আর হাসতেছিলাম।হিহিহি। কিছু কিছু বাক্য আরও বেশি মজা লাগছে- কসচইন পেয়ে সবার মুখ অন্ধকার,স্যার ম্যাম তাদেরকে দুই বছর ধরে চিনি, আধাঘন্টা পর আর কারও কলম চলে না হাহাহাহা। আরে ভাই নকল কি করায় লাগবে। ভাল্লাগছে ভাই আপনাকে।
জি ভাই পরিক্ষার হলে আমিও খুব মজা পাইছি । কিন্তু অন্য পাশে দিয়ে অনেক দুঃখ পাইছি বন্ধুদের এই পরিস্থিতি দেখে ।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।