কেটে যাওয়ার সেই সুন্দরময় দিনটি//10% beneficiary @shy-fox
মানুষ প্রতিদিন কোন না কোন কাজ করে থাকে। আর এই কাজের মধ্যে ভালো-মন্দ আছে। আর এই ভালো মন্দ কাজের মধ্যে ঘটে যায় অনেক সুন্দর তমো মুহূর্ত। আমার সেই দিন অনেক সুন্দর তমো মুহূর্তো । দিনটি ছিল ১ই অক্টোবর ২০২১। দিনটি ছিল শুক্রবার । সেদিন ছিলো সকাল বেলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এবং বিকেলে ছিল নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা।
যেহেতু আমি ডিপ্লোমায় ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ি। আমি পরীক্ষার্থী না। তো আমার বন্ধুরা আমাকে ফোন দিল যে বন্ধু আমাদের সাথে তোকে যেতে হবে রংপুরে। তাদের পরীক্ষার সেন্টার ছিল রংপুরে। যে বন্ধু গুলোর পরীক্ষা ছিল তারা রংপুর শহর সম্বন্ধে বেশি কিছু জানেনা। আর আমি রংপুর সম্বন্ধে অনেক কিছুই জানি। কারণ রংপুরে আমাকে প্রায়ই যেতে হয়। তাই রংপুর শহরে প্রায় সবকিছুই যেন মুখস্ত হয়ে গিয়েছে।
অবশেষে বন্ধুদের সাথে সকাল বেলায় চলে গেলাম রংপুরে। কেননা তারা সকালবেলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিয়ে, বিকেলে নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা দিবে। কারও কারও চিন্তা ছিল রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে । তাদেরকে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে নিয়ে গেলাম। এবং কিছুক্ষণ পর তারা পরীক্ষা দিতে ভিতরে গেল। তারপর পরীক্ষা দিয়ে ভালোভাবে তারা চলে আসলো।
নার্সিং পরীক্ষা বসবে বিকাল 3 টায় । আর ভাবলাম এতক্ষণ কি করবো। এক বন্ধুর মেসে চলে গেলাম। গিয়ে সেখানে খেয়েদেয়ে আড্ডা দিলাম। তারপর ঠিক ১:৩০ সময় রংপুর মেডিকেল কলেজে চলে আসলাম। নার্সিং পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ ও রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সেন্টার করেছিল। তবে আমার বন্ধুদের রংপুর মেডিকেল কলেজে সিট পড়েছিল।
গিয়ে দেখি অনেক লোকজন এর সমাহার। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি। কেননা নার্সিং এ ছেলে 10% নিয়ে থাকে এবং মেয়ে 90 পারসেন্ট নিয়ে থাকে। তাই ছেলের চেয়ে মেয়েরা বেশি। রংপুর মেডিকেল কলেজে প্রায় ৫১০৯ পরীক্ষার্থী ছিল।
দুটো থেকে তিনটার মধ্যে যেন সমস্ত রংপুর মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী আর অভিভাবক এর কোলাহল শুরু হয়ে গেল। আমি দেখে তো মাথা খারাপ। এটা কি আমি দেখতেছি! এই অল্প টুকু সিটের জন্য এতগুলো ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিতেছে । যাইহোক ভাবলাম অনেক প্রতিযোগিতা হবে।
ভিডিও লিংক:
তারপর সবাই ভিতরে যাওয়ার জন্য লাইন ধরল। তারপর আমার বন্ধুদের কে বিদায় দিয়ে দিলাম। তারা ভিতরে ঢুকলো পরীক্ষা দিতে। আধা ঘন্টার মধ্যে সবাইরে ভিতর ঢুকা শেষ হয়ে গেল। তারপর দেখলাম যে, পরীক্ষার্থী চেয়েও অভিভাবকের সংখ্যা অনেক বেশি।
উপরে যে চিত্র দুটো দেখতেছেন, এগুলো সবগুলো অভিভাবক। পরীক্ষার্থীরা সবাই ভিতরে পরীক্ষা দিতে গেছে এবং তাদের জন্য অভিভাবকরা অপেক্ষা করতেছে। এত অভিভাবক যে আমি সবগুলোই ক্যামেরায় বন্দি করতে পারিনি।
কিছু ভিডিও করেছি। সেই ভিডিও গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম:
পরীক্ষার সময় 1 ঘন্টা ছিল। অবশেষে তারা পরীক্ষা দিয়ে বের হলো। তাদের বললাম পরীক্ষা কেমন হয়েছে রে বল। ওরা বললো আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
তারপর ওরা বলল বন্ধু চলো একটু একটু ঘুরাঘুরি করি। অনেকদিন হলো রিক্সায় চড়ি নাই। আমি বললাম চলো একটু ঘুরে তাহলে। তারপর সবাই মিলে রংপুর চিড়িয়াখানা গেলাম ঘুরতে। তারপর চিড়িয়াখানায় গিয়ে অনেক মজা করলাম। পরবর্তীতে রংপুর চিড়িয়াখানায় কাটানো মুহূর্তগুলো নিয়ে পোস্ট করব।
সবাই ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন এবং নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে!
আশাকরি আপনার দিনটি বেশ ভালো কেটেছে। তাছাড়া আপনার ভিডিও এবং ছবি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এবং আপনি আপনার বন্ধুর জন্য সময় দিয়েছেন। এবং তার সাথে এখানে ওখানে রিক্সায় করে ঘোরা ঘুরি করেছেন। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
আপনার কাটানো মুহূর্তটি সুন্দর।শুক্রবার দিনটি আপনাদের জন্য স্পেশাল কিন্তু আমাদের রবিবার।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই দেথে মনে হচ্ছে দিনটি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কাঠিয়েছেন।বর্ণনার সথে ফটোগ্রাফি গুলোর উপস্থাপনা অনেক ভালো হয়েছে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।