সাঁতার শেখার পদ্ধতি ও কলাকৌশল
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমি অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে সাঁতার নিয়ে কিছু আলোচনা করব। আশা করি সবাইকে ভালো লাগবে।
সাঁতার
ইতিহাস
সাঁতার সর্বপ্রথম ইংরেজরা শুরু করে। সুইমিং শব্দ ইংরেজি সুইমিন থেকে এসেছে। ১৮৩৭ লন্ডনে প্রথম সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অলিম্পিকে ১৮৯৬ সাল থেকে পুরুষদের ও ১৯১২ সাল থেকে মহিলাদের সাঁতার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯০৮সালে সাঁতারের আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠিত হয়।
সাঁতারের সাহায্যে দেহের সকল অঙ্গের ব্যায়াম হয়। স্বাস্থ্, জীবন রক্ষা , ও আনন্দের জন্য সকলেই সাঁতার শেখা উচিত।
সাঁতার শেখার জিনিসপত্র
ক. কলাগাছ,
খ. মটর গাড়ির চাকার টিউব,
গ. জীবন রক্ষার জন্য বয়া,
ঘ. ভাসমান কাঠ বা বাঁশ ইত্যাদি।
সাঁতার অনুশীলনের সময় সর্তকতা
১. অল্প পানি বা অগভীর জায়গা বেছে নেওয়া ;
২. আবর্জনা ও বিপজ্জনক দ্রব্য মুক্ত করে সাঁতারের জায়গা নিরাপদ রাখা ;
৩. ভাসমান বস্তু কাছে রাখা;
৪.কেউ ডুবে গেলে তুলে আনতে পারে, তেমন অভিজ্ঞ একজন সাঁতারু কে কাছে রাখা ;
৫. খালি পেটে সাঁতার অনুশীলন না করা ইত্যাদি।
প্রতিযোগিতামুলক সাঁতার চার প্রকার
১. মুক্তা সাঁতার (Free Style)
২.চিৎ সাঁতার (Back stroke)
৩.বুক সাতার(Breast stroke)
৪.প্রজাপতির সাঁতার (Butterfly)
কলাকৌশল
১. মুক্তা সাঁতার ( Free style)
Source
এ সাঁতারকে মুক্তা সাঁতার বলে। এ স্টাইলে খুব দ্রুত সাঁতার কাটা যায়।
★ দেহের অবস্থান : দেহকে উপুর করে পানির সমান্তরাল রাখতে হবে। পানির মধ্য মাথা মাঝে মাঝে পরিবর্তন করতে হবে। কখনো পানির উপর তুলে,আবার কখনো ঘারকে কাত করে।
★ হাতের কাজ:-
১. খাড়াভাবে হাতকে সোজা সামনে নিয়ে যেতে হবে;
২. হাতকে সোজা শরীরের পাশ দিয়ে ঘুরিয়ে পানি সমান্তরালে রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে
৩.যখন হাত মাথার সামনে পানি স্পর্শ করাবে,ঠিক তখনি পানির ভিতর হাতের কাজ শুরু হবে।
৪. হাত পানির ভিতর নিয়ে প্রথমে পানি টানতে হবে,পরে পিছনের দিকে ঠেলা দিতে হবে।ডান হাতের পর বা হাতে পানি টেকে চলতে হবে।
★পায়ের কাজ:-
১. পায়ের কাজ কোমর থেকে শুরু হয়।একে পর এক ডান পা ও বাম পা উঠা নামা করে সামনে এগুবে।
২. হাটুর কাছে থেকে পা ভাজ করতে হবে এবং পয়ের পাতা সোজো থাকবে।
★শ্বাস -প্রশ্বাস :-
সাঁতার কাটার সময় মাথাটাকে ঘুরিয়ে পানির উপর মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া বা ছাড়া।
মুক্তা সাঁতারের নিয়মাবলি
১. মুক্তা সাঁতার আরাম্ভ ব্লকে উঠে শুরু করতে হবে;
২.মুক্তা সাঁতার উপুর হয়ে সাঁতার কাটতে হবে;
৩. পানির নিজ দিয়ে সাঁতার কাটা জাবে না।;
৪. হাতের কাজ পানির নিচে S এর মতো হবে।
২. চিৎ সাঁতার (Back strork)
★দেহের অবস্থা :-
পাবিতে শরীর চিৎ করে রাখতে হবে।সাধারনত মাথাটাকে পানির নিচে রাখতে হয়। দৃষ্টি পায়ের গোড়ালির দিকে রাখতে হবে।
★হাতের কাজ :-
হাত দুটো সোজাসুজি মাথার কাছাকাছি পানির ভিতর নিয়ে যেতে হবে।চিৎ সাঁতার এ হাতের অবস্থান হবে এক এক করে। এক হাত পানি থেকে উটবে আর এক হাত নামবে।
★পায়ের কাজ:-
মুক্ত সাঁতার এর মতো অনেকটা পায়ের কাজ হয়।সাধারণত চিৎ হয়ে ফুটবল কিক মারার মতোই পায়ের কাজ।
★শ্বাস -প্রশ্বাস :-
শ্বাস প্রশ্বাস সাভাবিকভাবে নিতে হয়।
★চিৎ সাঁতারের নিয়ম:-
১. চিৎ সাঁতার পানিতে নেমে হাতল ধরে আরাম্ভ করতে হয়;
২. চিৎ সাঁতার চিৎ হয়ে কাটতে হয়;
৩. চিৎ সাতারের পায়ের কিকি হবে কোমর থেকে।
৩.বুক সাঁতার ( Breast stroke)
Source
★দেহের অবস্থান :-
বুক সাঁতার কাটার সময় দেহটাকে প্রয় পানির সমান্তরালে রাখতে হবে।
★হাতের কাজ:-
দুই হাত পানির মধ্য এক সঙ্গে নিতে হবে। হাতের তালু একটু নিচে ও বাইরের দিকে রাখতে হয়। কুনুই ভেঙে দুই হাত দিয়ে নিচের দিকে চাপ দিতে হয়।হাত দুটো বুকের সামনে আসার সাথে সাথে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হয়।
★পায়ের কাজ:-
দু পা দিয়ে হাঁটু ভেঙে পানিতে ব্যাঙের মতো পিছনের দিকে লাথি মারতে হয়। পায়ের পাতা বাইরের দিকে রাখতে হবে।
★শ্বাস -প্রশ্বাস :-
মাথা সামনে তুলে শ্বাস নিতে হয় এবং পানির ভিতরে শ্বাস ছারতে হয়।
★বুক সাঁতারের নিয়মাবলি :-
১. ডাইভ দিয়ে সাতার আরাম্ভ করতে হবে ;
২.সাঁতারের পৃণ সময় বুকের উপর শরীরের ভর থাকবে;
৩. পানির নিচ দিয়ে সাঁতার দেওয়া যাবে না;
৪. উভয় হাত ও পা একই সময় ও একই কায়দায় নড়াতে হবে।
৪. প্রজাপতি সাঁতার (Butterfly)
★দেহের অবস্থান :-
এই সাঁতার শরীর খুব দ্রুত কাঠামো করে।পা দ্বারা যখন নিচের দিকে লাথি মারা হয়, কোমর তখন উপরের দিকে উঠে আসে।পানি যখন টানার জন্য হাতকে প্রস্তুত কারা হয়, তখন মাথা ও ঘার পানির নিচে তলিয়ে যায়।
★হাতে কাজ:-
এই সাতারে হাতের কাজ হবে এক সাথে।পানির নিচে হউক বা উপরে হউক হাত আগা পাছা করা যাবে না। পানির নিচে হাতকে কোমর পযন্ত নিয়ে আসতে হবে।
★পায়ের কাজ:-
এই সাঁতারে পায়ের অবস্থান হবে ডলফিন কিকের মতো।দু পা কখনই আগে পরে করা জাবে না। এক সাতে উঠানামা করতে হবে।
★শ্বাস-প্রশ্বাস:-
মাথা উপরে তোলা অবস্থায় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে।
★প্রজাপতি সাঁতারের নিয়মাবলি :-
১. ব্লাকে উঠিয়ে ঝাপ দিয়ে শুরু করতে হবে;
২. এই সাঁতার বুকে ভর করে কাটতে হয়;
৩. পায়ের পাতা দিয়ে কিক মারতে হবে;
৪. হাত কোমরের পিছনে যেতে পারে ইত্যাদি।
খুব সুন্দর তথ্য দিয়েছেন সাঁতার শেখা সম্পর্কে। যদিও আমি নিজেও সাঁতার পারি না। তবে আমি জেনে রাখলাম বিষয়গুলো।
ধন্যবাদ আপু,,,,
তবে সাঁতার না জানলে ,খুব তাড়াতাড়ি শিখে নেওয়া ভালো। সাধারণ কোথায় কোন বিপদ আসে বলা যায়।
আসলে ছোটবেলা থেকে গ্রামে বড় হয়েছি। যার কারণে আসলে অভ্যাসগত কারণে শিখে গিয়েছিলাম সাঁতার ।যাইহোক আপনি ভালো লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।