কলেজের সেই মুহূর্ত। //10 % to shy-fox
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকে সকালে আমি খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি । ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করি। আজকের নাস্তা ছিল সকালের "পায়েস" । পাঁচটা অনেক দারুন ছিল। তারপর সাগর আর আমি বাজার করতে গেলাম। বাজার করে এসে রান্না করলাম । রান্না করে খাওয়া দাওয়া করলাম।
তারপর আমি কলেজের দিকে রওনা দিলাম। কেননা আজকে আমাদের ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা ছিল। করোনায় বন্ধ থাকার পর কলেজে আমাদের শুধু একদিন ম্যাথ ক্লাস হয়েছিল। সেইদিনের স্যার বলে তোমাদের আমি ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা নিব। আমরা বললাম স্যার এখনো বইয়ের একটা অধ্যায় কমপ্লিট হয়নি, এতেই আপনি কিসের ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা নিবেন। স্যার বলল ক্লাস হয়নি তা কি হয়েছে। তোমরা এতদিন বাসায় কি করছো। আমরা সবাই অবাক!
আমরা স্যারকে বললাম ঠিক আছে স্যার পরীক্ষা দিব। কিন্তু আপনি কত মার্কের এনসার এর পরীক্ষা নিবে। স্যার বলল 15 মার্ক এর । তিনটা প্রশ্ন থাকবে তিনটাই দিতে হবে। একটি প্রশ্নের মান 5 মার্ক। আমরা সবাই আরও অবাক হয়ে গেলাম। আমরা বললাম ঠিক আছে স্যার পরীক্ষা নেন সমস্যা নেই । তবে প্রশ্ন একটু বাড়াই দেন।
"স্যার বলল কেমন"?
"আমরা বললাম পাঁচটা প্রশ্ন থাকবে তার মধ্যে তিনটা উত্তর দিব তাহলে ভালো হবে"। আমাদের স্যারটা ছিল রাজি। কলেজের সবাই ওনাকে ভয় করে। কেননা তিনি এক কথার মানুষ । তিনি বললেন, আমি ফার্স্ট টাইম যেরকম বলেছি ওই রকমের প্রশ্ন করব। আমরা স্যারের উপর দিয়ে আর কোন কথা বলতে পারলাম না।
তারপর সেদিন স্যার বেশ কয়েকটি অধ্যায় দাগে দিল। যে এই কয়েকটা অধ্যায় থেকে আমি প্রশ্ন করব। যাই হোক আমাদের মনে একটু স্বস্তি এলো।
তারপর আজকে পরীক্ষা দিতে গেলাম। পরীক্ষার সময় ছিল 2:30 মিনিটে। আমি একটার দিকে রওনা দিলাম। গিয়ে দেখি আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু এসেছে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী আসেনি। ঠিক দুটো 25 মিনিটে স্যার ক্লাসে এসে হাজির হলো। এসে দেখে অনেক ছাত্রছাত্রী নেই। স্যার বলল, বাকিগুলো কোথায়?আমরা বললাম স্যার আসেনি।
স্যার বলল, আমার ধারনাই ঠিক! "আমরা বললাম বুঝতে পারলাম না স্যার"। ঘটনাটা খুলে বলেন আমাদের কি ধারণা করেছিলেন? স্যার বলল, আমি তোমাদেরকে একটা পরীক্ষায় ফেল ছিলাম এবং তোমাদেরকে এই পরীক্ষার নামে অনেক চাপ দিয়ে ছিলাম।
চাপ দেওয়ার কারণ হলো, দেখি এই চাপ কে কে সহ্য করতে পারে। তোমরা যারা যারা এসেছে, তোমাদের মনে কনফিডেন্স আছে। বা নিজের প্রতি ভরসা আছে। সেই জন্য তোমরা পরীক্ষা দিতে এসেছো। আর যাদের মনে কনফিডেন্স নেই নিজের প্রতি বা ভয় করে তারা পরীক্ষা দিতে আসিনি।
আমরা সবাই হতভাগ্য হয়ে গেলাম। "স্যার ঘোড়ার আড়াই চাল দিয়েছে"! তারপর সবাই মিলে বুঝতে পারলাম ও এই ব্যাপার। তারপর স্যার আমাদের রোল নাম্বার গুলো লিখে নিল। তারপর আরও বিভিন্ন রকম কথা বলে গেলেন যারা আসেনি তাদের বিরুদ্ধে।
তারপরে প্রাক্টিক্যাল ক্লাস ছিল আমাদের। ক্লাসটা ছিলো ম্যামের। ম্যাডাম অনেক সুন্দর করে প্রাক্টিক্যাল গুলো বুঝিয়ে দিলেন। আমরাও সবাই ভালোভাবে বুঝেছি। তারপর ক্লাস শেষ হলো সবাই মিলে চলে আসলাম।
আমি মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম নাহিদ। আমাকে সবাই নাহিদ বলেই ডাকে। আমি বাংলাদেশী । আমি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বই পড়তে , লিখতে ও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে ভালোবাসি।নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি।
পোস্টটি দ্বিতীয় বার করার কারণে 100% কপি পেস্ট দেখাবে।
ভাই আমি আগেরটার বেনিফিসিয়ার দেইনি । তাই ঐ পোস্টটি সরি মিসটেক করে দিয়েছি ।
আর রূপক ভাইকে এ বিষয়টা বলেছি।