বন্ধুদের সাথে পূর্ণ মিলন।
হ্যালো, স্টিমিট পরিবারের সদস্যগণ সবাই আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি আপনাদের ভালোবাসা এবং দোয়ায়.আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।গত মাসে কলেজ জীবনে বন্ধুরা মিলে উত্তরা দিয়া বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া।
আমি এইচ এস সি ২০২২ ব্যাচ। আমার কলেজ ছিল বনফুল আদিবাসী গ্রীন হার্ট কলেজ এবং এটি মিরপুর ১৩ বি আর টিসি সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।কলেজ জীবন শেষ এখন ভার্সিটি জীবন শুরু কিন্তু বন্ধুদের তো আর ভুলা যায় না। গত মাসে আমরা চিন্তা করলাম কলেজ জীবনে বন্ধুরা মিলে সবাই মিলে একটা রিউনিয়ন করা যায়। অনেক চেষ্টার পরও আমরা সবাই এক হতে পারলাম না কারণ অনেকে এখন ঢাকার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পড়ালেখা করছে। তাই তারা চাইলেও সব সময় একসাথে হওয়া যায় না। তাই আমরা চিন্তা করলাম আমরা ঢাকায় যারা আছি তাঁরা মিলে একদিন আশেপাশের কোন জায়গায় ঘুরা যাক।অনেক চিন্তা ভাবনা পর আমরা সকলে মিলে ঠিক করলাম উত্তরা দিয়াবাড়ি তে যাওয়া যায়।জায়গাটা পছন্দ করার কারণ হলো ওইখানে মেট্রো রেল হওয়ার কারণে অনেক নতুন রেস্টুরেন্ট এবং খাবারে দোকান হয়েছে নতুন। সাথে রয়েছে দিয়াবাড়ি লেক এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যা আমাদের মুগ্ধ করবে।আমরা সকলে মিলে বৃহস্পতিবার যাবো বলে ঠিক করলাম। কারণ শুক্রবার জায়গাটি তো অনেক ভিড় থাকে,কারণ শুক্রবার বাংলাদেশের সাপ্তাহিক ছুটি। তখন আমরা এখানে গিয়ে নিরিবিলি পরিবেশটা উপভোগ করতে পারবো না। তাই আমরা এ সিদ্ধান্তটা নিলাম বৃহস্পতিবার যাওয়া যাবো।সবার বাসায় কাছে বিবেচনা করে আমরা সকলে মিরপুর ১০কে গন্তব্যস্থল হিসেবে ঠিক করলাম। মিরপুর ১০ থেকে এখন দিয়াবাড়ি পর্যন্ত মেট্রো স্টেশন চালু হওয়ায় খুব কম সময় পৌঁছে যাব । তাই আমরা রওনার সময় ঠিক করলাম ২:৩০ মিনিটে। আমরা সবাই ঠিক সময় মত চলে আসলাম। আমরা সকলে মিলিত হওয়ার স্থান ঠিক করলাম মিরপুর ১০ মেট্রো রেল স্টেশনের নিচে কারন আমাদের কিছু বন্ধু অনেক দূর থেকে আসতেছিল তাদের সহজে আমাদের খুঁজে পাওয়ার জন্য। মেট্রোলের স্টেশনে উঠে আমরা সকলে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট ক্রয় করলাম। মেট্রো রেলস্টেশনের টিকেট ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাটা হয় না। এখানে অটোমেটেড অত্যাধুনিক টিকেট কাটার মেশিন রয়েছে ।আমরা সকলে মিলে মেট্রো রেল স্টেশনে একটি গ্রুপ ছবি তুললাম আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
দিয়াবাড়ি লেকের পাশে পৌঁছে আমরা সবাই মিলে চটপটি এবং ফুচকা খেলাম। কারণ এখানে চটপটি এবং ফুচকা খুবি জনপ্রিয় সাথে বৈদ্যুতিক মেশিনের পরিবর্তে কয়লা দিয়ে তৈরি পিজ্জা এখানে খুবই জনপ্রিয়। কিছুক্ষণ পর আমরা চারজন চিন্তা করলাম লেকে ভোট নিয়ে ঘুরলে খুবই ভালো হবে। তাই আমরা জনপ্রতি ৫০ টাকা করে ২০০ টাকা দিয়ে একটি ভোট ভাড়া করলাম। আমাদের ৩০ মিনিট সময় দেয়া হলো। আমরা বোটে কিছু ছবি তুললাম যা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
উত্তরা দিয়াবাড়ির পাশে পঞ্চবটি মেন রোডের পাশেই একটি বৌদ্ধ বিহার রয়েছে। আমরা উত্তরা দিয়াবাড়ি লেকে কিছু সময় অবস্থান করার পর বিহার দিকে গেলাম ততক্ষণ প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল আর মেট্রো রেল তখন রাত আটটা পর্যন্ত চালু ছিল। তাই আমরা সকলে মিলে স্টেশনের দিকে অগ্রসর হলাম।