কিভাবে বাড়ীতে উদ্ভিদের পুষ্টিকর ও তেজী খাদ্য তরল জৈবসার নিজেই তৈরি করবেন
আজ ৯ ভাদ্র,১৪২৭ বঙ্গাব্দ ;১৫ মুহাররম,১৪৪৩ হিজরী;২৪ আগস্ট, ২০২১ ইংরেজি;রোজ মঙ্গলবার ||বাংলাদেশ।।
"মানুষ পুষ্টি ছাড়া যেমন দুর্বল হয়ে পড়ে,
তেমনি উদ্ভিদ পুষ্টি ছাড়া বাঁচতে পারে"
আসসালামু আলাইকুম
সুপ্রিয়
স্টিমিয়ান বন্ধুরা কেমন আছেন?
আশাকরি সবাই ভালো আছেন।
আজ আমি আপনাদের মাঝে যে বিষয় ভাগ করতে চলেছি,তা হলো-"কিভাবে বাড়ীতে উদ্ভিদের পুষ্টিকর ও তেজী খাদ্য তরল জৈবসার নিজেই তৈরি করবেন"
বন্ধুরা,
আমরা বাঁচার জন্য খাই,নাকি খাওয়ার জন্য বাঁচি? উত্তর যাই হোক না কেন আমাদের কিন্তু পুষ্টিকর
খাদ্য শরীরের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন।
যা গ্রহণের ফলে আমরা কর্মদক্ষতা ফিরে পাই। যার দরুন আমরা পরবর্তী প্রজন্মের উদ্ভব ঘটাতে পারি।
সেই রকম উদ্ভিদও পুষ্টিকর খাদ্য পেলে বাম্পার ফলন আমাদের প্রদান করতে পারে।
সেই উদ্ভিদের পুষ্টিকর একটি খাদ্য আমরা বাড়ীতে বানানো শিখবো-
আমরা তরকারি ফলমুল খাওয়ার পর এদের খোসা বা ময়লা গুলো ফেলিয়ে দেই।
আবার রান্নাঘরে বিভিন্ন তরিতরকারির বর্জ্যগুলো ডাসবিনে ফেলিয়ে।
এগুলো ফেলিয়ে না দিয়ে এগুলো দিয়ে আমরা চারটি উপকার পেতে পারি। এগুলো দ্বারা-
এক.উদ্ভিদের পুষ্টিকর খাদ্য তরল জৈবসার তৈরি করতে পারি।
দুই.কঠিন জৈবসার তৈরি করতে পারি।
তিন.পরিবেশ দুষণ মুক্ত করতে পারি।
চার.জ্বালানী তৈরি করতে পারি।
কিভাবে তরল জৈবসার তৈরি করবো-
রান্নাঘরের ফলমুল,কাঁচা তরিতরকারির ফেলানো অংশ বা বর্জ্য পদার্থগুলো কোন একটি বাল্টি বা পাত্রে এগুলো রেখে ভর্তি করে পানি দেবো।
তারপর পলিথিন বা প্লাস্টিক বস্তা দ্বারা বাল্টির মুখটা সম্পুর্ণ ঢেকে দিয়ে এমনভাবে বাঁধবো যাতে বাল্টিটিতে আলো বাতাস কোন ক্রমেই প্রবেশ করতে না পারে।
এবার বাল্টি বা পাত্রটি শুকনো ও ছায়াযুক্ত স্থানে একমাস রেখে দিতে হবে।
একমাস পর বাল্টি বা পাত্রের মুখের পলিথিনটি খুলে দেখবো যে বাল্টির পানিগুলো কালো রং ধারণ করেছে। এগুলোই তরল জৈবসার।
এখন ময়লা পানিগুলো ছাঁকিয়ে নেবো।আর বাকী ময়লার টুকরো টুকরো অংশগুলো কঠিন জৈবসার হিসাবে টবের মাটিতে দিতে পারি।
তাতে গাছের অনেক উপকার হতে পারে। এদের মধ্যে বড় বড় লতার জাতীয় ময়লাগুলো রোদে শুকিয়ে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।
এই তরল জৈবসার গুলো খুব তেজি,তাই পানির সঙ্গে মিশিয়ে গাছের গোড়ে দিলে উদ্ভিদের পুষ্টির অভাব দুর করে উদ্ভিদ হয়ে উঠবে সবল,স্বাস্থ্যবান ও তেজি।
প্রয়োগ মাত্রা
প্রতিলিটার পানিতে ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিলিটার তরল জৈবসার মিশ্রিত করে টবের গাছে অথবা মাটির প্রতিটি গাছে ১ থেকে ৩ লিটার করে গাছের গোড়ায় দিতে হবে।
গাছ ছোট বড় হিসাবে প্রয়োগ করতে হবে।
এভাবে আপনারা বাড়ীতে খুব সহজেই তেজী তরল জৈবসার তৈরি করতে পারবেন।
আরো ভালোভাবে জানতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
আলোকচিত্রের বর্ণনা
ছবি সংগ্রহ | এন্ড্রোয়েড ফোন ক্যামেরা |
---|---|
মোবাইলের নাম ও মডেল | সিম্ফনি জেড২৫ |
ক্যামেরা রেজুলেশন | ১৩ মেগাপিক্সেল |
ক্যাটাগরি | তরল জৈবসার তৈরি |
এডিটর ও ফটোগ্রাফার | @doctorstrips |
এডিট | পিক্সআর্ট এ্যাপ |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
ধৈর্য্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে
ধন্যবাদান্ত-
@doctorstrips
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVHvzowFCgyKyDFGRqYqhbRhYpMFie8F5fsTyusyKHsJo/doctorstrips.steemit.png)
আমি মোঃ নায়েব আলী,
হাইস্কুল শিক্ষক।
এলএমএএফ ডাক্তার।
একজন ইউটিউবার।
ওয়েব ডিজাইনার ও ব্লগার।
ছাদবাগান, ফটোগ্রাফ, ভিডিও,জনসেবা ও ভ্রমণ আমার প্রিয় শখ।
ধন্যবাদ আপনাকে বেশ তথ্য বহুল পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলেই এই সার বানানোর প্রক্রিয়াটি আসলেই বেশ চমকপ্রদ। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর ও গঠনমুলক মতামত প্রদানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তরল জৈব সার তৈরির প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সহজ সবাই বানাতে পারবেন।বাসার ফুলের টবের জন্যও এটি কার্যকরি ভুমিকা পালন করে।
আবারও ধন্যবাদ।