গ্রামীন রেসিপি || মসুর ডাল ও কচু শাকের তরকারি রেসিপি || ১০% লাজুক-খ্যাঁকের জন্য
Source
Edit:picsart app
আসসালামু আলাইকুম
সুপ্রিয়,
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল স্টিমিয়ান বন্ধুদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশাকরি আপনারা অনেক ভালো ও কুশলে আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ সকলের দোয়ায় ভালো আছি।
বন্ধুরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমি আজ আপনাদের মাঝে বিশেষ একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।রেসিপি টপিক নিয়ে যা শেয়ার করতে যাচ্ছি, তা হলো-
গ্রামীন রেসিপি || মসুর ডাল ও কচু শাকের তরকারি রেসিপি || ১০% লাজুক-খ্যাঁকের জন্য।
কয়েকটি ধাপে এই রেসিপিটি ফটোসহ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।তার আগে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো উল্লেখ করবো।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
মসুর ডাল ও কচুশাকের তরকারির রেসিপির নিচের উপকরণগুলো সংগ্রহ বা হাতের কাছে রাখবো-
পরিমাণমতো-
১.মরিচ বাটা,
২.পিঁয়াজ বাটা,
৩.রসুন বাটা,
৪.আদা বাটা,
৫.লবন,
৬.হলুদ,
৭.মসলা বাটা,
৮.মসুর ডাল-২৫০ গ্রাম,
৯.কচু শাক-৫০০ গ্রাম,
১০.তেল,
১১.ডেকসি,
১২.চামচ,
১৩.ডেকসি ঢাকনি,
এবং
১৪.ইন্ডাকসন।
প্রথম ধাপ
মসুর ডাল সংগ্রহ করার পর বাসার আশেপাশে অনেক দেশি কচুর গাছ দেখতে পাওয়া। সেখান থেকে কচুর পাতা বা কচুশাক তুলবো। নিচের ছবিতে দেখুন।
দ্বিতীয় ধাপ
কচুশাক তুলে আনার পর ভালোভাবে পানি ধুয়ে ফেলবো।এমনভাবে ধুবো যাতে কচুর পাতার কোথাও কোন মাকড়সার জাল বা অন্য পোকামাকড় আটকে না থাকে।
তৃতীয় ধাপ
এবার মসুরের ডালগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে নেবো।এমনভাবে ধুবো যাতে মসুরের সাথে কোন ময়লা আবর্জনা বা কোনকিছুর খোসা না থাকে।
চতুর্থ ধাপ
এখন যে ডেকসিতে পাক করবো, সেই ডেকসিতে মসুর ডালগুলো রাখবো এবং তাতে পেঁয়াজ,মরিচ,তেল,মসলা,লবন,আদা,রসুন,হলুদ এগুলো পরিমাণমতো দিয়ে দেবো।
পঞ্চম ধাপ
তারপর হাত দিয়ে বা চামচ দিয়ে ডেকসির মসুরগুলো নেড়ে মিক্সার করবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন ধোয়া কচুশাকগুলো ঐ ডেকসিতে দিয়ে আবার কচুশাকসহ মসুর ডাল মিশ্রিত করবো।তারপর একটু পানি দেবো।
সপ্তম ধাপ
মসুর ডাল,কচুশাকসহ অন্যান্য উপাদান মিশ্রিত ডেকসিটি ইন্ডাকসনে বসিয়ে দেবো তাপ দেয়ার জন্য এবং ইন্ডাকসনের বিদ্যুৎ সংযোগ দিবো।
অষ্টম ধাপ
ইন্ডাকসনের সুইচ অন করে দিয়ে ইন্ডাকসনের পাওয়ার ২০ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবো এবং ডেকসিতে ঢাকনা দেবো, যাতে তাড়াতাড়ি পাক হয়ে যায়।
নবম ধাপ
১০ থেকে ১৫ মিনিট ইন্ডাকসনে হিট দেবো,তা চামচ দিয়ে একটু নাড়া দেবো।আবার ঢাকনা দেবো।
দশম ধাপ
৫/৭ মিনিট হিট দেয়ার পর ডেকসিটি ইন্ডাকসন থেকে নামাবো এবং তরকারি তৈরি হয়ে গেল।এভাবে আমরা খুব সহজে মসুর ডাল ও কচুশাকের তরকারি তৈরি করতে পারি।মসুর ডালে প্রচুর পরিমানে উদ্ভিজ প্রোটিন রয়েছে এবং কচুশাকে প্রচুর ভিটামিন-এ রয়েছে, যা চোখের জন্য খুবই কার্যকরী।
এবার পরিবেশন করার পালা।খাইতে কত মজাই না হবে।
ছবির উৎস
ছবি তোলা | এন্ড্রোয়েড ফোন ক্যামেরা |
---|---|
ফোনের নাম ও মডেল | সিম্ফনি জেড২৫ |
ফটোগ্রাফার | @doctorstrips |
ক্যামেরা রেজুলেশন | ১৩ মেগাপিক্সেল |
ক্যাটাগরি | গ্রামীন রেসিপি |
লোকেশন | ভেন্ডাবাড়ী,পীরগঞ্জ,রংপুর,বাংলাদেশ |
what3words location | https://w3w.co/embrace.squeamish.highlighted |
বন্ধুরা পোস্টটি ভালো লাগলে আপভোট দিতে পারেন।না হলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন, কেমন?
ধন্যবাদান্ত-
আমি মোঃ নায়েব আলী,
হাইস্কুল শিক্ষক।
এলএমএএফ ডাক্তার।
একজন ইউটিউবার।
ওয়েব ডিজাইনার ও ব্লগার।
ছাদবাগান, ফটোগ্রাফ, ভিডিও,জনসেবা ও ভ্রমণ আমার প্রিয় শখ।
আপনার আজকের শেয়ার করা রেসিপি আমার বেশ পছন্দের খাবার। আপনি অনেক সুন্দরভাবে রেসিপি উপস্থাপন করেছেন।এত সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মসুর ডাল এবং কচু শাক অনেক পুষ্টিকর খাবার।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি বানিয়েছেন।শুভ কামনা
ধন্যবাদ আপনাকে।