✒️ডঃ এমএ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,রংপুর,বাংলাদেশ-এর আদ্যপান্ত🖋️
"শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড"
আজ || ৩০ ভাদ্র,১৪২৮ বঙ্গাব্দ || ০৬ সফর,১৪৪৩ হিজরী || ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ইংরেজি || রোজঃ মঙ্গলবার ||
ডমটেক কলেজের সদর গেট। what3words location
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো
স্টিমিটে একমাত্র বাংলায় ব্লগিং করার আধার
আমার বাংলা ব্লগ
কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং
সকল স্টিমিয়ান বন্ধুদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আশাকরি সবাই ভালো আছেন।
আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে যা ভাগ করতে যাচ্ছি তা হলো-
ডঃ এমএ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,রংপুর,বাংলাদেশ-এর আদ্যপান্ত
✒️ভুমিকা
ইংরেজিতে একটা চিরসত্য বাক্য আছে-Education is the backbone of a nation.
অর্থাৎ শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। কোন মানুষ যেমন মেরুদন্ড ছাড়া সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না, তেমনি শিক্ষা ছাড়া কোন দেশ বা জাতি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না বা উন্নতি করতে পারবে না।
আর এই শিক্ষা একাডেমিক শিক্ষা ছাড়া সম্ভব না।
তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই শিক্ষার মুলপ্রতিপাদ্য।
এমন একটি বাংলাদেশের নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
ডমটেক গেটের সামনে রাস্তা। what3words location
✒️একাডেমিক বর্ণনা
নাম | ডঃ এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ |
---|---|
অবস্থান | ডঃএমএ ওয়াজেদ সেতু,কাঁচদহ,দুধিয়াবাড়ী,পীরগঞ্জ, রংপুর,বাংলাদেশ।রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৯ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা হতে ১৮ কিলোমিটার পূর্বে খরস্রোতা করতোয়া নদীর ধারে অবস্থিত |
স্থাপিত | ২০১৮ ইং |
ক্লাস শুরু | ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে |
ধরণ | সরকারি |
পর্যায় | স্নাতক সমমান |
পরিচালনায় | বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও বস্ত্র অধিদপ্তর কতৃক পরিচালিত |
শিক্ষার্থীর সংখ্যা | ২২০ জন |
অধ্যক্ষ | জনাব মোঃ আব্দুর রাকিব,বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় |
মোট বিল্ডিংএর সংখ্যা | ১৩ টি |
একাডেমিক ভবন | ১ টি |
আবাসিক,ল্যাব,লাইব্রেরি ও অন্যান্য ভবন | ১২ টি |
মোট তলা | ৭ টি |
প্রতি তলায় শ্রেণীকক্ষ | ৮ টি করে |
মসজিদ | ১ টি |
বিভাগ | ৪ টি |
ডমটেক গেটের পুর্ব পাশ্ব। what3words location
✒️উদ্বোধন
২০১৮ ইং সালে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ডক্টর এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে এই কলেজটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৯ সালে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম ব্যাচে ক্লাস শুরুর মাধ্যমে কলেজটির যাত্রা শুরু হয়।
ডমটেক একাডেমিক ভবন। what3words location
✒️বিভাগসমুহ
প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুযায়ী ৪ টি বিভাগে ১২০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেওয়া হয়।
বিভাগগুলো নিম্নে দেয়া হলো-
১.ওয়েট প্রোসেস প্রকৌশল - ৩০ জন
২.ফেব্রিক প্রকৌশল - ৩০ জন
৩.অ্যাপারেল প্রকৌশল - ৩০ জন ও
৪.ইয়ার্ন প্রকৌশল - ৩০ জন
ডমটেক ল্যাবরেটরি ভবন। what3words location
✒️ল্যাবসমুহ
ডমটেক এর ল্যাবে বিভিন্ন যন্ত্র আছে।
এগুলো অভিজ্ঞ শিক্ষক মণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত করা হয় । কম্পিউটার ল্যাবে প্রায় ৬০টির মত কম্পিউটার আছে।
তাছাড়া প্রধান প্রধান ল্যাব গুলো হলো-
কম্পিউটার ল্যাব,
কটন স্পিনিং ল্যাব,
উইভিং ল্যাব,
ওয়েট প্রসেসিং ল্যাব,
নিটিং ল্যাব,
এ্যাপারেল ল্যাব,
পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব,
রসায়ন ল্যাব,
গার্মেন্টস ল্যাব,
টেস্টিং ল্যাব,
প্রকৌশল ল্যাব,
মেকানিক্যাল ল্যাব
ডমটেক কম্পিউটার ভবন। what3words location
✒️লাইব্রেরী
ডমটেক-এর লাইব্রেরীতে রয়েছে বিশাল সংখ্যক বইয়ের সমাহার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বয়নতন্ত্রের যাবতীয় বই পাঠ্য বই ও ব্যবহারিক বইসমুহ এখানে রয়েছে প্রচুর।
ডমটেক জামে মসজিদ। what3words location
✒️আবাসিক হল
ডমটেকের ক্যাম্পাসের সকল ছাত্র ছাত্রীর জন্য রয়েছে আবাসিক হলের ব্যবস্থা।
তাছাড়াও সব মিলিয়ে কলেজটিতে রয়েছে-
১.একাডেমিক ভবন,
২.মিলনায়তন,
৩.গ্রন্থাগার ভবন
৪.অধ্যক্ষের বাস ভবন
৫.উইভিং শেড
৬.ছাত্রদের হল
৭.ছাত্রীদের হল
৮.স্টাফ কোয়ার্টার
৯.পাওয়ার প্ল্যান্ট
১০.স্পিনিং শেড
১১.ডাইং শেড
১২.অফিসার্স ডরমিটরি
১৩.শিক্ষকদের কোয়ার্টার ।
ডমটেক করতোয়া নদীর ধারের ভবনগুলো। what3words location
✒️উপসংহার
এমন একটি সুন্দর নিরিবিলি মনোরম ও নদীর ধারে পরিবেশে ডঃ এমএ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গড়ে তোলা অনেক কষ্টসাধ্য।
যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল একবারে অন্ন্যুত।
যাইহোক এলাকার উন্নয়ন হবে কলেজ হয়ে। বাংলাদেশে তিন সরকারি টেক্সটাইল কলেজের একটিই হলো আমাদের গ্রাম-প্রত্যন্ত এলাকায়।
ছবির উৎস
ছবি তোলা | এন্ড্রোয়েড ফোন ক্যামেরা |
---|---|
ফোনের নাম ও মডেল | সিম্ফনি জেড২৫ |
ফটোগ্রাফার | @doctorstrips |
ক্যামেরা রেজুলেশন | ১৩ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | কাঁচদহ,রংপুর,বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | শিক্ষা |
বন্ধুরা পোস্টটি ভালো লাগলে আপভোট দিতে পারেন।না হলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন, কেমন?
ধন্যবাদান্ত-
আমি মোঃ নায়েব আলী,
হাইস্কুল শিক্ষক।
এলএমএএফ ডাক্তার।
একজন ইউটিউবার।
ওয়েব ডিজাইনার ও ব্লগার।
ছাদবাগান, ফটোগ্রাফ, ভিডিও,জনসেবা ও ভ্রমণ আমার প্রিয় শখ।
আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। এই টেক্সটাইলে অনেক কর্মজীবী মানুষ আছে তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য
কলেজের ভবন গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।আর আপনি অনেক সুন্দর করে কলেজ সর্ম্পে আলোচনা করেছেন। অনেক সুন্দর হয়ছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিষ্ঠান টির বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন আপনি।ধাপে ধাপে বর্ণনা গুলো আপনার পোস্টকে সুন্দর করেছে।
সন্দর রিপ্লাইয়ের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ডঃ এমএ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সম্পর্কে খুটিনাটি সবকিছুই তুলে ধরেছেন আপনার লেখায়।কলেজটি নামই শুনেছি শুধু, দেখা হয়নি ওই ভাবে।ধন্যবাদ আপনাকে কলেজটির বিষয় এ সব তথ্য তুলে ধরার জন্য।
আসিয়েন আমাদের এলাকায় ঘুরে বেড়াবো।