খোলামেলা পরিবেশে ঘোড়ার বিচরণ ও তার প্রত্যক্ষ অনুভূতি @dmaherban || 10% @shy-fox & 5% @ abb-school

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
সম্মানিত সকল স্তরের পরিশ্রমি ও নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে হাঁটি হাঁটি পা পা করে যারা, নিজের অস্তিত্বকে সর্বদা আমার বাংলা ব্লগের, প্রতিষ্ঠিত এই প্লাটফর্মে নিজেদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, টিকিয়ে রেখেছেন, তাদেরকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সেই সাথে, আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, সর্বস্তরের এডমিন, মডারেটর ও নতুন পুরাতন, সকল ভাই-বোনদের যারা এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে, কর্মরত রয়েছেন।♥️

চলমান এই পৃথিবীর মানুষেরা সারাক্ষণ নিজের কাজকে, নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য, প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক শ্রম দিয়ে নিজ নিজ অবস্থাকে শক্ত ও মজবুতভাবে দণ্ডায়মান রাখতে ব্যস্ত।

এমতাবস্থায় হাজারো ব্যস্ততার ভিড়ে হঠাৎ এমন সব কার্যক্রম চোখের সামনে এসে ধরা দেয়, যা চিত্তকে সাময়িকভাবে প্রশান্তির উচ্চ শিকড়ে নিয়ে এসে দাঁড় করায় এবং মনের নানা ধরনের ক্লান্তি দূরীভূত করে, মনকে একটি নতুন প্রশান্তিময় চিন্তার আবির্ভাব ঘটিয়ে, চিত্তকে নতুন এক সুখময় দোলায় দোল খাওয়ায়। যা মনের মধ্যে জমে থাকা শত শত ক্লান্তিময় পীড়ার দূরীভূত কোরনের মাধ্যমে প্রশান্তির বার্তা ধারণে যে কেউ সক্ষমতা লাভ করে।

আমিও তেমনি কয়েকদিন আগে অফিসে পদার্পণের সময়, সৈয়দপুর উপজেলা চত্বরে কালের উচ্চ বর্গীয় আধুনিকতার ছোঁয়ায়‌, দিন দিন এই প্রাণীগুলোর ভূমিকা মানব সমাজে তেমনটা পরিলক্ষিত না হওয়ার কারণে। আগের মত আর এদের অস্তিত্ব সচরাচর-এতটা, সাধারণভাবে পরিলক্ষিত হয় না। যতটা সাধারন ভাবে, আজ আমার সামনে প্রতিমান।🐴

তাই রীতিমতো অবাক হলাম। 🙂🙂

ঘোড়া নামটির সাথে সকলেই পরিচিত। এই ঘোড়া আমাদের মানব সমাজে আদিকাল থেকে ওতপ্রতভাবে জড়িত। ঘোড়াকে ব্যবহার করে মানুষ দূরের পথকে সংকীর্ণ করে নিজের কার্যকে খুব দ্রুত ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হয়েছিল।

শুধু তাই নয়, এই ঘোড়ার মাধ্যমে তখনকার সময়ে মানুষেরা জীবনকে সৌখিনভাবে পরিচালিত করত। পৃথিবীতে বেশ কয়েকটি প্রাণী রয়েছে যারা বিষধর 🐍 সাপ এর কামড়ে মরে না। তাদের মধ্যে ঘোরা হচ্ছে একটি।

হাজার বছর যাবত ঘোড়া মানুষের সঙ্গী হয়ে আছে। ঘোড়াকে সম্ভ্রান্ত জীব বলা হয়ে থাকে। ৪০০০-২০০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকেই ঘোড়া মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে, মানব সমাজে পরিলক্ষিত। যে কোন স্থানে খুব কম সময়ে পৌঁছে দিতে, ঘোড়া মানুষের সহযোগিতা করে আসছে যুগ যুগ ধরে, শুধু তাই নয় যুদ্ধক্ষেত্রেও এই ঘড়া রেখেছিল দুর্দান্ত ভুমিকা। তাই এই একবিংশ শতাব্দীতেও ঘোড়ার কদর কমে যায়নি।

1.jpeg
268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

2.jpeg

যাইহোক আজ এই ঘোড়ার হঠাৎ এভাবে চোখের সামনে দৃশ্যমান হওয়ার কারণে আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। ঘোড়াটি বেশ চমৎকারভাবে সৈয়দপুর উপজেলা চত্বরে তার ছানাকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়া দেখে আমি রীতিমতো বিস্মিত হই এবং সেই সাথে এর সৌন্দর্য ক্যামেরায় ধারণ করি। সেই সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মনুষ্য নির্মিত সজ্জিত রাস্তা ও মাঠে বিচরণকৃত ঘোড়া ও ঘোড়ার ছানার কার্যক্রমের সৌন্দর্য সকলকে আকর্ষণ করছিল।

3.jpeg

সবার মত আমিও এই দৃষ্টিনন্দন প্রকৃতির ও মানুষের উপকারী এই বন্ধুর দেখা মিলার কারণে, নিজ হস্তে আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ঘোড়া ও ঘোড়ার ছানার চিত্র ধারণ করতে একটু কাছে গেলেই ঘোড়া একটু অন্যরকম দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে একপর্যায়ে আমাকে তার সিং দিয়ে হয়তোবা আঘাত করার জন্য এগিয়ে আসে। কারণ ভোমরা মনে করছিল তার বাচ্চাকে আমি ক্ষতি করব। এজন্য আমি একটু ভয় পেয়ে, নিজ অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াই। আর তখনই বিষয়টি আমার কাছে স্পষ্ট হয়।
4.jpeg

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png
5.jpeg

আবার পরের দিন আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় খোলামেলা স্নিগ্ধ পরিবেশে আবার সেই ঘোড়া এবং ঘোড়া ছানাকে দেখতে পাই। এমতাবস্থায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে তাদের পরিষ্কার কোমল স্নেহের সৌন্দর্য আমাকে বশীভূত করে এবং দ্বিতীয় বারের মত ক্যামেরায় বন্দি করতে বাধ্য করে।

6.jpeg
268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png
7.jpeg
268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png
8.jpeg

যাইহোক সময়ের বিবর্তনে এভাবে খোলামেলা পরিবেশে এই ঘোড়াগুলো চোখের সামনে সাধারণভাবে পরিলক্ষিত হওয়াটা, বিস্ময়কর ও শুখময়কর! বলে আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম।

ছবি গুলো যে মোবাইল দিয়ে তোলা Xiaomi Redmi Note 8
মোবাইটি সম্পকে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন

আজকে নিজের সংকীর্ণ জ্ঞানকে এবং চলিত পথে দৈনন্দিন ঘটমান প্রক্রিয়ার ক্ষুদ্র অংশ আপনাদের সামনে শেয়ার করে চিত্তকে প্রশান্তি দেওয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস ব্যক্ত করে, আজকে এখানে ই শেষ করলাম
ধন্যবাদ
🕵🏾▪️ ▪️ ▪️ ▪️ ▪️ আমার পরিচয় ▪️ ▪️ ▪️ ▪️ ▪️ 🕵🏾

আমি মোঃ মেহেরবান আলী বাসাঃ দিনাজপুর। বর্তমানে থাকি- সৈয়দপুর, নীলফামারী।
বাংলা আমার মায়ের শেখানো ভাষা। সেই মা আর নেই, কিন্তু তার শেখানো ভাষা আমি ব্যবহার করে আমার দেশ বাংলাদেশের মাটিতে বিচরণ করছি ও এই ভাষার মাধ্যমে আমার মনের ভাব সবার মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছি। তাই এই ভাষা আমার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষা। আমার কাছে আমার দেশ ও আমার বাংলা ভাষা এটি হচ্ছে আমার বেঁচে থাকার চালিকাশক্তি এবং আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আমি আমার দেশ ও আমার মায়ের ভাষাকে অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি।

70165269_2479829478917671_2182751759066202112_n.jpg

271482999_4679632658785881_1215684256941730929_n.gif

Sort:  
 2 years ago 

ঘোড়ার ছবি দেখে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি বলতে ঘোড়া আমার ভাল লাগে তবে ঘোড়ার সামনে যেতে অনেক ভয় লাগে আমার। আপনি ঘোড়া সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদানের জন্য। শুভকামনা আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য। এভাবে সুন্দর মন্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে আমাকে শুভকামনা রাখবেন।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন প্রত্যেকটা মানুষ জীবন-যুদ্ধের সাথে জড়িত। সবাই চায় নিজের জায়গাতে মজবুত করার জন্যে। আপনি ঘোড়ার সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর করে আলোচনা করেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো। হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন ঘোড়া এমন একটা প্রাণী বিষধর সাপে কাটলেও গড়া মরেনা। কারণ বিষধর সাপের বিষ গোড়াকে পুশ করে মানবজাতির জন্য এন্টিড্ঢ তৈরি করা হয়। আর সেই এন্টিড্ড হচ্ছে সাপের বিষ নাশক ইঞ্জেকশন। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

আপনি পোস্টটি খুব সুন্দর করে পড়ে, কয়েকটি মন্তব্যর মাধ্যমে এর মূলভাব ফুটিয়ে তুলেছেন এবং আমার সাথে একমত প্রকাশ করে ঘটনার অন্তরালে আপনার জ্ঞানকে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনার জন্য শুভকামনা এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া

 2 years ago 

আগে ছোটবেলায় ঘোড়া অনেক দেখেছি কিন্তু এখন সেরকম আর চোখে পড়ে না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেকদিন পর ঘোড়া দেখতে পেলাম ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু, আসলে ঘোড়া আর আগের মতো দৃশ্যমান হয় না। তাই হঠাৎ চোখের সামনে ঘোড়ার সৌন্দর্য আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না। শুভকামনা আপনার জন্য।

 2 years ago 

আপনার পোস্ট দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ঘোড়ার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার পোস্টের থেকে আজকে ঘোড়ার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। এর আগে এত কিছু জানার ছিল না। বেশ ভালো লেগেছে।

 2 years ago 

এত সুন্দর মন্তব্য করে মনকে আত্মতৃপ্তি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানতে পেরেছেন বিধায় আমি উৎসাহ পেলাম। সুন্দর এবং সৃজনশীল মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

বাহ! দারুণ লিখেছেন ভাইয়া , আপনার ঘোড়ার ছবি আর প্রকৃতির ছবিগুলো ছিল বেশ অসাধারণ। আর লেখাগুলো ছিল তথ্যবহুল যা আদিম যুগের ঘোড়ার ব্যবহার তুলে ধরেছেন। আপনার পোষ্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য

 2 years ago 

শুকরিয়া, পোস্টে কমেন্ট করেছেন এবং নিজের আঙ্গিকে খুব সুন্দর মন্তব্যর মাধ্যমে, লেখাকে প্রশংসার মাত্রার সক্রিয়তা বাড়িয়ে তুলেছেন। অবশ্যই আপনার মন্তব্যটি প্রশাসনীয়। ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59991.95
ETH 2664.96
USDT 1.00
SBD 2.45