সম্মানিত ভাই ও বোনদের নতুন আঙ্গিকে ও নতুন পথের চিরাচরিত বাস্তব অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতার পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন 💕💕 |
আপনারা সকলেই অবগত যে, মানুষ যত দ্রুত, দৌড়ে দৌড়ে পদ অতিক্রম করবে, সেই ব্যক্তি তত বেশি হাপিয়ে উঠবে এবং শেষ পর্যায়ে এসে পথ অতিক্রম করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। জীবনের চলার পথে, সাফল্য নিয়ে আসতে হলে, অবশ্যই ধৈর্য ও তাড়াহুড়ো করা মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়। নিজেকে কন্ট্রোল, সেই সাথে- মস্তিষ্ককে সোজাক ও ঠান্ডা রেখে দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো পরিচালনা করতে পারলেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সহজ হবে।
যাই হোক জীবনের বাস্তবতা থেকে কতিপয় মনের ভাব কেন, জানি প্রকাশ করলাম তা বুঝতে পারলাম না।
আজকে যে বিষয় নিয়ে, আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম তা হলো। আমার দেখা বাস্তব ও চোখের সামনে দৃশ্যমান, ইঁদুরের এই ছানাগুলো দেখতে পাচ্ছেন তা দেখে যদিও আপনাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে। তারপরেও এই প্লাটফর্মে এদেরকে নিয়ে দুই একটি মন থেকে নির্গত হওয়া বাক্য উপস্থাপন করতে চলেছি।
প্রয়োজনে নিজের অবস্থান- কখন যে, কোন জায়গায় সরে গিয়ে- নিজেকে সেই, স্থানে দাড় করে, সময়ের সাথে কার্যক্রম গুলো, প্রতিনিয়ত করতে হয়। এমতাবস্থায় সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী, জেলা অফিসে অবস্থানরত কার্যক্রম পরিচালনা করার সময়। অফিসের, একটি ড্রয়ার খুলতে গিয়ে একটি আপু চিৎকার করে ওঠে।
কারণটা নিশ্চয়,ই আপনাদের বলতে হবে না। যাইহোক মেয়েরা ছোট বিষয়গুলোকে চিৎকারের মাধ্যমে সবার সামনে উপস্থাপন করে এবং তা মুহূর্তের মধ্যে ঘটনার উপস্থিত কার্যক্রম এমন ভাবে প্রকাশ পায়, তা বলতে বা বর্ণনা করতে হয় না।🐀🐁
একটা কাজের বিষয় নিয়ে, অফিসের মধ্যে আমরা কয়েকজন ব্যস্ত ছিলাম। কিভাবে এই কাজটি অল্প সময়ের মধ্যে করা যায় জল্পনা কল্পনায় ব্যস্ত ঠিক এরই মধ্যে চমৎকারভাবে উচ্চস্বরে একটি চিৎকার চলে আসে। যা আমাদেরকে বিস্মিত করে। তাৎক্ষণিকভাবে পাশের রুমে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমাদের সকলের পরিচিত ইঁদুরের মা তার বাচ্চাদের খেলে দৌড়ে ড্রয়ার থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে গেছেন।🐀🐁
যখন আমার এক সহকর্মী বোন, ড্রয়ার খুলে প্রয়োজনীয় কাগজ নিতে গেছেন। তখন ইঁদুরের মা লাফ দিয়ে তার হাতে ঝাপিয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় আমাদের সহকর্মী ইঁদুরের এই কার্যক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে এতটাই চিৎকার করে ওঠেন যে, ঘটনার সেখানেই বর্ণনার প্রকাশ পায়।🐀🐁
🐀ইঁদুর নিয়ে আমার খুব বেশি এলার্জি নেই। ইঁদুর দেখলেই ‘ও মা গো’ বা চিৎকার দিই না। ইঁদুরের চেয়ে আরো অনেক নোংরা এবং ক্ষতিকর অনেক প্রাণীই চোখের সামনে দেখি। তাদেরকে আমরা প্রশ্রয় দিচ্ছি। তাহলে ইঁদুর চোখের বিষ হবে কেন?🐁
🐀 তবে আমার চোখেও কিছু কারণের জন্য ইঁদুরকে অসহ্য মনে হয়। সেটা হল, তারা প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি জোরে দৌড়ায়। সর্বদাই যেন দৌড় প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকে। এরা খাবার খাক, কোন সমস্যা নেই, কিন্তু বই পত্র গুলো এমন ভাবে কাটাকাটি করে যা আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। বিদ্যার ওপর এত রাগ কেন এদের তা জানিনা।🤔
সর্বশেষ যে কারণটা রয়েছে, সেটা হলো যে, এই ইঁদুর ঠিকমতো মরতেও জানে না। ঘরের কোনাকানচিতে গিয়ে মরে। আবার মরার পর সাংঘাতিক গন্ধ হয়। মৃতদেহ ঠিকমতো খুঁজেও পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়।😸🐀🐁
আপনারা জেনে অবাক হবেন, একটি মাদি ইঁদুর বছরে ১৫ হাজারেরও বেশি ইঁদুরের জন্ম দিতে পারে। শুধু তাই নয়, এরা পাঁচ তলা দালানের উপর থেকে নিচে লাফিয়ে পড়লেও শরীরে কোনো ব্যথা পায় না। 🐀🐁
যাইহোক ঘটনাটি একটু ব্যতিক্রম মনে হওয়ায়, আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লাগে মন্তব্য করবেন আর যদি ভালো না লাগে পোস্টটিকে এড়িয়ে যাবেন। |
ছবি গুলো যে মোবাইল দিয়ে তোলা Xiaomi Redmi Note 8
মোবাইটি সম্পকে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন
🕵🏾▪️ ▪️ ▪️ ▪️ ▪️ আমার পরিচয় ▪️ ▪️ ▪️ ▪️ ▪️ 🕵🏾 |
আমি মোঃ মেহেরবান আলী বাসাঃ দিনাজপুর। বর্তমানে থাকি- সৈয়দপুর, নীলফামারী।
বাংলা আমার মায়ের শেখানো ভাষা। সেই মা আর নেই, কিন্তু তার শেখানো ভাষা আমি ব্যবহার করে আমার দেশ বাংলাদেশের মাটিতে বিচরণ করছি ও এই ভাষার মাধ্যমে আমার মনের ভাব সবার মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছি। তাই এই ভাষা আমার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষা। আমার কাছে আমার দেশ ও আমার বাংলা ভাষা এটি হচ্ছে আমার বেঁচে থাকার চালিকাশক্তি এবং আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আমি আমার দেশ ও আমার মায়ের ভাষাকে অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি।
আপনার পোস্টটি পড়লাম এবং কিছুক্ষণ হাসলাম। কারণ মেয়েরা আসলেই সামান্য জিনিসকে অনেক বড় করে ফেলে তাদের চিৎকারের মাধ্যমে। এছাড়াও ইঁদুর আসলেই বিরক্তকর প্রাণী। এরা কাটাকাটির পাশাপাশি টেবিলে বা আলমিরার উপর, চুলার পাশে, যেখানে সেখানে মল ও ত্যাগ করে। যা প্রচুর গন্ধ ও বিরক্তকর। ধন্যবাদ আপনার ব্যতিক্রম পোষ্টের জন্য।
অনেক ধন্যবাদ, আসলে লিখার তো কোন কিছুই নেই, বাস্তবতার আলোকে যা দেখি তাই নিজের আঙ্গিকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। যাইহোক আপনার প্রাণবন্ত ও সাবলীল মন্তব্য, আমার ব্যক্তিগতভাবে মন ছুয়ে গেছে। আপনার জন্য শুভকামনা এবং অনেক ভালবাসা রইল।
হয়তো অনেকের দৃষ্টিতে আপনার এই পোস্ট গ্রহণযোগ্য না হতে পারে। তবে আমার বেশ ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর বর্ণনার সাথে ইঁদুরের বাচ্চা দুটার ফটোগ্রাফি। আপনার উপস্থাপনা বেশ দারুন ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য এবং চমৎকার প্রশংসা যা আসলেই মনকে আশ্বস্ত করে। আপনার জন্য, অনেক অনেক শুভকামনা রইল আমার পক্ষ থেকে।
আপনার পোস্ট এর ছবি গুলো দেখেই শরীরটা শিরশির করে উঠলো।কারণ আমি ইঁদুর অসম্ভব ভয় পাই!
১.পোস্ট সম্পর্কীয় ট্যাগ ১ম এ দিবেন।এরপর অন্য ট্যাগ দিবেন।
২.অহেতুক (| ******||-|) এই মার্কডাউন ইউজ করবেন না।এই মার্কডাউন কোনো দরকারি বা হেডলাইনে ইউজ করলেই বেশি ভালো লাগে।
ঘটনাটি আমার চোখে প্রত্যক্ষভাবে দৃষ্টিগোচর হওয়ায় এবং সেই সাথে একদম ব্যতিক্রম হওয়ার কারণে, আমার অনুভূতিগুলো শেয়ার করছি মাত্র। আমার চোখেও ছবিগুলো অদ্ভুত মনে হওয়ার কারণে পোস্টটি শেয়ার করছি। ধন্যবাদ আপনার মতামত ও মার্কডাউনের বিষয়টি সম্পর্কে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।
প্রথমে বলতে হয় আপনার ছবির ইঁদুর ছানা গুলো দেখতে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে আর বেশ ভাল স্বাস্থ্যের বলা যায়।এরপর বলতে চাই আসলেই মেয়েরা একটু নরম মনের মানুষ তাই সহজে ভয় পেয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। এই পোস্টে একটু নতুনত্ব আনা ও ইঁদুরের ছানা ও তার পরিবারের কর্মকান্ড নিয়ে কিছু কথা, আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি মাত্র।
নাইস ভাই অসাম। ইঁদুর শাবকগুলোকে দেখতে এত মায়া লাগছে মনটা একবারে ভরে গেল। বাচ্চাগুলো খুব কিউট লাগছে পাশাপাশি আপনার উপরে অনেক মজা লাগলো অনেক আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার এই পোষ্টটিকে আপনার ভালো লেগেছে এবং ইঁদুরের ছানাগুলোকে আপনার ভালো লেগেছে তাই। সুন্দর ও সাবলীল মন্তব্যর জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে অনেকদিন পরে আজকে আমি ইঁদুরের ছানা দেখতে পেলাম। আসলে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কেটে টুকরো টুকরো করে দেওয়া এদের কাজ। এরা আমাদের জন্য আসলেই হুমকি স্বরূপ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন। কিন্তু এদেরও উপকারিতা রয়েছে। যা খুব লকেই জানে। যাই হোক, চক্ষুর সম্মুখে প্রত্যক্ষ কার্যক্রম দৃশ্যমান হওয়ার কারণে আমার অনুভূতিগুলো আপনাদের সামনে শেয়ার করেছি মাত্র। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।