৫০ টি ফ্যামিলির কাছে নতুন সূর্য উদয়। [10% for shy-fox & 5% for abb-school]
আমার বাংলা ব্লগের সকল স্তরের সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা এবং সকল এডমিন ও মডারেটর ভাইদের উদ্দেশ্যে কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া বাস্তব ও হৃদয়বিদারক ঘটনার আলোকে আজকের গল্প ও তার বাস্তব বিবরণ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে চলেছি।
ঘটনাটি আমি যেখানে অবস্থান রত তার ঠিক পিছনের দিকে একটি রাস্তা কে কেন্দ্র করে।
৭ ফিট রাস্তা ছিল ৫০ টি ফ্যামিলির জন্য যারা দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতো। সেই রাস্তায় ছোট বড় সোনামণি ও সর্বস্তরের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা চলাচল করতো। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেত ও তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতো।
কিন্তু এই সুখ মনে হয় তাদের কপালে বেশি দিন রইলো না। একজন মানুষ যে কিনা আগে অনেক প্রভাবশালী ছিল, সময়ের কাল কুঠুরির বিবর্তনে ভাগ্যের চাকা একটু পরিবর্তন হওয়ায় তিনি জোরপূর্বক রাস্তা নিজের বলে দাবি করে।
শুধু তাই নয় সাধারণ বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক ওয়াল ঘেঁষে এক হাত পরিমাণ জায়গা রেখে বেড়া লাগিয়ে দেয় দীর্ঘদিনের জন্য। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য ৫০টি ফ্যামিলিকে ওই জায়গা দিয়ে চলাচল করতে দিবে না। বিষয়টি সম্পূর্ণ জানার পর মনে হল পৈত্রিক সূত্রে রাস্তার মালিক তার বাবা হলেও তিনি রাস্তাটি পঞ্চাশটি ফ্যামিলির জন্য দান করে গেছেন। কিন্তু কোন লিখিত না থাকার কারণে পরবর্তী প্রজন্ম সেই রাস্তাকে প্রভাবশালী লোক দ্বারা বন্ধ করিয়ে ৫০টি ফ্যামিলির জীবনযাত্রার মান ও বাচ্চাদের সেই আনন্দকে দীর্ঘদিনের জন্য দাফন করে দেন
৫০ টি ফ্যামিলি চাঁদা তুলে কয়েক লক্ষ টাকা রাস্তার জন্য সেই ব্যক্তিকে দিতে চাইলেও, সে রাস্তা বিক্রি করবে না বলে ঘোষণা করেন। এভাবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে যায়। ৫০টি ফ্যামিলি তাদের দৈনন্দিন কার্যকর্মগুলো অস্বাভাবিক কষ্টের মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকেন।
সাধারণত আমরা জানি আমাদের বাসস্থান ঠিক থাকলেও চলাফেরার জন্য বা গ্রাম থেকে বের হওয়ার জন্য রাস্তা দরকার। আর সেই রাস্তাই যদি সংকীর্ণ হয়ে যায় তাহলে জীবনের দৈনন্দিনের কার্যক্রম এতটাই ভয়াবহভাবে সংকীর্ণ হয়ে যায় তা প্রত্যক্ষ ভাবে যে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তারাই আসলে বিষয়টি অনুভব করতে পারে সেই ভয়াবহ মনোকষ্ট।
যাই হোক দীর্ঘ আট মাস কষ্ট ও বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা শেষ পর্যন্ত সেই কষ্টগুলোকে সেই লোকের কাছে ফুটিয়ে উঠাতে সক্ষম হন। কিন্তু এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়।
সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে, এত ত্যাগ তিতিক্ষা ও দীর্ঘদিন কষ্টে থাকার পরে পরিশেষে যখন রাস্তা প্রসারের জন্য সাধারণ বেড়া সরিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্বেগ নেওয়া হয়। তখন দেখা যায় ছোট ছোট বাচ্চারা মনের আনন্দে সেই ব্যাড়াকে সরিয়ে দিবে বলে হাত লাগিয়ে সহায়তা করে। শুধু তাই নয় পঞ্চাশটি পরিবারের ব্যক্তিবর্গগণ সেখানে এসে বেড়া সরাতে আনন্দচিত্তে সহায়তা করেন সেই দৃশ্যটি ছিল দেখার মত।
আমার বাসার জানালা দিয়ে সেই দৃশ্যটি ধারণ করলাম। অবশ্য সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়নি বা আমি নিজে থেকে গেলাম না কারণ কোন ঝামেলা হতে পারে এজন্য।
আমি দেখলাম এবং অনুভব করলাম আসলে দীর্ঘদিন রাস্তা না থাকার যে হৃদয়বিদারক মনকষ্টের বহিঃপ্রকাশ অন্তরে অনুভব করছে দীর্ঘদিন ধরে, আজ তা উন্মুক্ত হবে, বিধায় তাদের মনের আনন্দ প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করে আমার অন্তরের গতিবিধি মনে হচ্ছে তাদের সাথে মিলে গেল
অবশেষে প্রত্যেকের দীর্ঘদিনের কষ্টের জানালা ভেঙে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ প্রতিয়োমান লক্ষ্য করে নিজের অন্তরের তৃপ্তি ও সেই সাথে এই মহাবিশ্বের পরিচালকের নিকট কৃতজ্ঞতা আমার পক্ষ থেকেও পেশ করলাম।
যদিও আমাদের দেশে এরকম ঘটনা কথাও না কোথাও প্রতিনিয়ত ঘটছে। তারপরেও আমার সামনে প্রত্যক্ষ ঘটনার প্রতিফলন, বাস্তবের প্রতিওমান হওয়ার কারণে আপনাদের সকলের কাছে শেয়ার করলাম।
আজ এপর্যন্তই, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবার জন্য শুভ কামনা রইল।
ছবি গুলো আমার নিজ হস্তে ধারণকৃত এই মোবাইল থেকে তলাXiaomi Redmi Note 8
মোবাইটি সম্পকে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আমার আসলে আজও মানবতা রয়েছে বলে আমাদের দেশটা টিকিয়ে রয়েছে, মানবজাতির টিকিয়ে রয়েছে। আমি চাই আমাদের সকলেরই উচিত এভাবে একজন আরেকজনের সহায়তা প্রদান করার মধ্য দিয়ে অথবা একত্রিত হয়ে নিজেদের উন্নতি করা সমাজের উন্নতি করা দেশের উন্নতি করা।
ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য। আপনার প্রথম মন্তব্য আমার বাস্তব ঘটনাকে সার্থক করে দিল এরকম মনে হলো।