অকুতোভয় সৈনিক (প্রথম পর্ব)
ওদিকে তার বন্ধু সজিব বাইরে থেকে তাকে ডেকেই যাচ্ছে। রিশাদের ও সজিবের সাথে কথা বলার জন্য বাইরে যেতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু তার মায়ের ভয়ে যেতে পারছে না। রিশাদ আর সজীব দুই বন্ধু মিলে পাশের গ্রামের সাথে একটা ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করেছে। রিশাদ জানে সজিব তাকে সেই ম্যাচের জন্যই ডাকতে এসেছে। যেহেতু তারা দুই বন্ধু আয়োজক। তাই তাদের তাড়াতাড়ি বের হয়ে সব প্লেয়ারকে এক জায়গায় করতে হবে। তাছাড়া খেলাটা যেহেতু তাদের গ্রামে হবে। তাই খেলা আয়োজনেরও কিছু ব্যাপার রয়েছে।
এজন্য তার বাইরে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। কিন্তু মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আর কিছু বলার সাহস পায় না। ওদিকে সজীব তখনো তাদের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে একটু পরপর তাকে ডাকছে। শেষ পর্যন্ত রিশাদ থাকতে না পেরে তার মাকে বলে মা আমি সজীবকে গিয়ে চলে যেতে বলি। তারপর সে এক দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে বন্ধু সজীবের কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে বলে। তুই এখন এখান থেকে চলে যা। মায়ের মেজাজ খুব খারাপ। আমি মাকে ম্যানেজ করে কিছুক্ষণের ভেতরে চলে আসছি। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
এরকম সময় ছোটবেলায় আমিও পার করেছি। বন্ধুরা ক্রিকেট খেলার জন্য ডাকাডাকি করতো,আর মায়ের ভয়ে বের হতে পারতাম না। তবে একটু সুযোগ পেলেই দৌড় দিতাম মাঠে। আর বাসায় আসার পরে তো সেই মার খেতাম 😂। রিশাদ সুযোগ বুঝে ঠিকই চলে যাবে ক্রিকেট খেলতে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।