ক্ষমতার দম্ভে ধ্বংস হওয়া (ষষ্ঠ পর্ব)
অনেকে চিন্তা করতে থাকে নারী ঘটিত ঝামেলায় জড়িয়ে শোভনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু শোভন জানে সমস্ত ব্যাপার মানুষ দুদিনেই ভুলে যাবে। তাই সে নারী নির্যাতনের মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার পরে এলাকায় তার ভালো কাজের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দেয়। সেই সাথে চলে তার প্রচার-প্রচারণা।শোভন জানে আজকালকার দিনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে যে কেউ অতি দ্রুত সময়ে তার ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে পারে।
শোভন তার কিছু আবেগি স্ট্যাটাস বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে আপলোড করে। যার ফলে শোভনের জনপ্রিয়তা আবার ফিরে আসে। যখন তার বিরোধী রাজনীতিবিদরা কোনভাবেই তাকে থামাতে পারেনা। তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় তারা শোভনকে মেরে ফেলবে। তারা শোভন পেছনে লোক লাগিয়ে রাখে। শোভন কখন কোথায় যায় কি করে না করে সমস্ত কিছুর খোঁজখবর রাখতে শুরু করে। তারপর তারা ভাড়াটে খুনিদেরকে ভাড়া করে শোভনকে খুন করার জন্য।
এই খবর আবার শোভনের কান পর্যন্ত পৌঁছে যায়।শোভন চিন্তা করে এইবারে তার বিরোধী দলের সবগুলোকে একসাথে শায়েস্তা করতে হবে। শোভন তার গুপ্তচর লাগায় তার বিরোধিতের পেছনে। তারা খোঁজখবর রাখতে থাকে কবে শোভনের বিরোধী দলের লোকজন সেই প্রফেশনাল খুনিদের সাথে মিটিং এ বসবে। যেদিন তারা সেই ভাড়াটে খুনির সাথে মিটিং-এ বসে সেদিন শোভন সেখানে মিডিয়া এবং পুলিশের লোকজন নিয়ে গিয়ে হানা দেয়। পরদিন সারাদেশের সমস্ত পত্রিকায় সেই ঘটনা ছাপা হয়। এতে করে শোভনের এক ঢিলে দুটো পাখি মারা হয়ে যায়।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলে রাজনীতি করলে চোখ কান সবদিক দিয়েই খোলা রাখতে হয়। শোভন খুবই বিচক্ষণ একজন লোক। সে নানান ধরনের বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে,এতে করে মনে হচ্ছে শোভন একদিন অনেক বড় একজন রাজনীতিবিদ হতে পারবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এই গল্পের আরো কয়েকটি পর্ব পড়েছি। যতদূর বুঝতে পারছি শোভন অনেক চালাক একজন লোক। আশা করা যাচ্ছে সেই ভবিষ্যতে রাজনীতির মধ্যে ভালো কিছু করতে পারবে। যাইহোক বাকি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।