বর্তমান সময়ের শিশুরা

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে বর্তমান সময়ের শিশুরা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক

আসলে আগেরকার সময়ে আমরা বিভিন্ন খেলাধুলা মাঠে করতাম। এছাড়াও তখন আমরা বিভিন্ন বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে একসাথে চলাচল করতাম এবং স্কুলে যেতাম। আসলে তখনকার সময়ে আমাদের অভিভাবকরা আমাদের কখনো বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিশতে বারণ করত না। বরং তারা আমাদের বলতো যে সবাই মিলে একসাথে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে। এছাড়াও আমরা যখন মাঠে খেলা করতাম তখন সবাই মিলে একসাথে মাঠে খেলাধুলা করতাম। আর এজন্য আমরা সবাই মিলেমিশে ছিলাম। এছাড়াও কোন বন্ধুরা যদি বিপদে পড়তো তখন আমরা অন্যান্য বন্ধুরা এসে সেসব বন্ধুদেরকে সাহায্য করতাম। আসলে তখনকার সময় বন্ধুদের প্রতি বন্ধুদের একটা অন্যরকম টান ছিল। কিন্তু বর্তমানে শিশুরা এখন আর সেই মাঠে খেলাধুলা করতে তেমন আর যায় না।


কারণ অভিভাবকরা তাদের এখন আর মাঠে খেলাধুলা করতে যেতে নিষেধ করে। আর এই জন্য তারা বাড়িতে বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দেয়। আর মোবাইল ফোনে এসব শিশুরা বিভিন্ন ধরনের গেমস খেলে। আসলে এর ফলে যে শিশুদের কতটা ক্ষতি হচ্ছে তা কিন্তু অভিভাবকরা কখনো বুঝতে পারছে না। আসলে মোবাইল ফোন একটা শিশুর মানসিক বিকাশকে সুষ্ঠুভাবে বিকশিত করার ক্ষেত্রে বাঁধা দেয়। আসলে কোন শিশু যদি বন্ধুবান্ধবদের সাথে না মেশে এবং তাদের সাথে খেলাধুলা না করে তাহলে সেসব শিশুরা সব সময় একগুঁয়ে হয়ে যায়। এছাড়াও তারা এই বন্ধুত্ব নামের অর্থ কখনোই বুঝতে পারে না। আসলে এভাবে চলতে থাকলে সমাজে একে অন্যের প্রতি আর কোন সাহায্য সহানুভূতি থাকবে না।



আসলে বাচ্চারা যদি বাইরে মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করে তাহলে তাদের মন-মানসিকতা অনেকটা বিকশিত হয়। এছাড়াও তারা অন্যান্য বিভিন্ন বাচ্চাদের সাথে মিশতে শেখে এবং পরবর্তীতে তাদের সাথে একটা ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আসলে এখন মাঠ ঘাটের সংখ্যাও যেমন কমে এসেছে। তেমনি অন্য দিক থেকে যেসব মাঠগুলো রয়েছে সেসব মাঠগুলোতে এখন আর তেমন বাচ্চাকাচ্চারা খেলাধুলা করে না। কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে বাচ্চারা তাদের শৈশবকালটা কখনো ঠিকঠাকভাবে উপভোগ করতে পারবে। আর যারা অন্যের সাথে মেলামেশা করেনা তারা কখনোই একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। আর এর ফলে সমাজব্যবস্থা দিন দিন ভেঙে পড়ছে।

যাইহোক প্রতিটা অভিভাবককে বুঝতে হবে যে বাচ্চাদের যদি মাঠে খেলাধুলা না করানো হয় এবং অন্যের সাথে না মেলামেশা করতে দেওয়ানা হয় তাহলে তারা কখনোই একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে না। আর তারা যদি বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করে এর ফলে তাদের শরীরও অনেক ভালো থাকবে। কিন্তু তারা যদি ঘরে বসে বসে মোবাইল ফোনে গেম খেলে এতে করে কিন্তু তাদের মন মানসিকতা বিকাশে বাঁধা সৃষ্টি হবে। তাইতো আমরা সবাই আমাদের ছোট বাচ্চাদেরকে বাইরে নিয়ে চলাফেরা করব এবং বাইরের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিভিন্ন জ্ঞান দিতে থাকব। তারা যখন বাইরের জ্ঞানটা পাবে এতে করে তাদের মন মানসিকতা অনেক বিকশিত হবে। আর বাচ্চাদের কাছ থেকে সর্বপ্রথম মোবাইল কোনটি সরিয়ে ফেলতে হবে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Sort:  
 17 days ago 

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। বর্তমান শিশুরা মোবাইলে ঝুঁকে যাওয়ার কারণে, মাঠে খেলাধুলা থেকে অনেক দূরে। যার কারণে বর্তমান শিশুরা প্রকৃত মানুষ হতে পারছে না। মোবাইল আসক্ত হয়ে এক ধরনের প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 16 days ago 

অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আপনি তুলে ধরেছেন। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। আসলে বর্তমানে শিশুরা মোবাইল ফোন ওপরে এমন আসক্ত হয়ে পড়েছে যে এর থেকে বেরোনোর কোন উপায় দেখছি না। আমার বাচ্চাও ঠিক এমনই একটা পর্যায়ে আছে। ফোন না থাকলে খাওয়া দাওয়া হয় না যেকোনো কাজই করুক না কেন ফোন লাগবেই। আর এই ফোনের জন্য বাইরে চলাফেরা বাইরে খেলা তেমন তাদের একটা প্রয়োজন হয় না। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 65900.16
ETH 3470.80
USDT 1.00
SBD 2.68