জীবনের বাঁক বদল (ষষ্ঠ পর্ব)

তখন ফারিয়া তুর্যকে বলে খবরদার তুমি ওর সাথে কোন ঝামেলা করতে যাবে না। কারণ ও খুবই খারাপ ছেলে। তুমি ওর সাথে ঝামেলা করতে গেলে ও তোমার বড়ো কোনো ক্ষতি করে দেবে। তূর্য তখন ফারিয়াকে বলে আমি নিজেকে নিয়ে মোটেই চিন্তা করছি না। আমার তো তোমাকে নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে। আমার এখন মনে হচ্ছে তোমার ওই এলাকাতে থাকা সেফ না। ফারিয়া বলে আমার বাড়ি ওইখানে। এখন আমি যাবো কোথায়?

তখন তূর্য ফারিয়াকে বলে তাহলে চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি। বিয়ে করে আমি তোমাকে আমার বাসায় এনে রাখবো। তখন আর ওই ছেলেটা আমাদের এলাকায় আসার সাহস পাবে না। ফারিয়া তখন তূর্যকে বলে বাবা এখন তোমার সাথে আমাকে বিয়ে দিতে রাজি হবে না। এই কথা শুনে তুর্য বলে তুমি যদি কিছু মনে না করো তাহলে আমি আঙ্কেলের সাথে কথা বলে দেখতে পারি। ফারিয়া তখন তূর্যকে বলে আমি আসলে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না কি করবো? বাবাকে কিভাবে তোমার কথা বলবো সেটাও বুঝতে পারছি না।

তখন তূর্য ফারিয়াকে জিজ্ঞেস করে তোমার মার সাথে তোমার সম্পর্ক কেমন? ফারিয়া বলে মার সাথে আমি সবকিছু শেয়ার করি। শুধু তোমার কথাটাই মাকে বলা হয়নি। তুর্য তখন ফারিয়াকে বুদ্ধি দেয় তাহলে তুমি আন্টিকে প্রথমে সবকিছু জানাও। তখন আন্টি আঙ্কেলকে ম্যানেজ করতে পারবে। বুদ্ধিটা ফারিয়ার কাছে বেশ পছন্দ হয়। তুর্যের বুদ্ধিমতো সেদিন ফারিয়া বাসায় গিয়ে বিকালের দিকে তার মাকে সবকিছু জানায়। তার মা প্রথমে কিছুটা গম্ভীর হয়ে থাকে। বলে তোদের এখনো লেখাপড়া শেষ হয়নি। এখনই তোদের বিয়ে দিই কিভাবে? (চলবে)