সততার পুরস্কার (চতুর্থ পর্ব)
সেই লোকটার এরকম আচরণে মেহেদীর মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেলো। তখন মেহেদী তাকে বললো দোষটা সম্পূর্ণ আপনার। আপনি ইচ্ছা করেই আমাকে ধাক্কা দিয়েছেন। এই কথাবার্তা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেখানে আরও তিন চার জন লোক জড়ো হয়ে গেলো। একপর্যায়ে তারা সবাই মিলে মেহেদিকে মারধর করতে লাগলো। আর তাদের ভেতরের একজন পকেট থেকে কি যেনো বের করে মেয়েদের চোখে দিয়ে দিলো।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
পাউডার মতো কিছু একটা মেহেদির চোখে পড়তেই মেহেদী যন্ত্রণায় চিৎকার করতে লাগলো। আর এদিক থেকে সেই লোকগুলো মেহেদির কাছ থেকে ব্যাগটা ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেলো। মেহেদীর চিৎকার চেঁচামেচিতে কিছুক্ষণের ভেতরে সেখানে কিছু স্থানীয় লোকজন চলে এলো। তারপর তারা সবাই মেহেদী কে ধরে কাছের একটা হাসপাতালে নিয়ে গেলো। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার পরে মেহেদীর চোখের যন্ত্রনা অনেকটা কমে গেলো। কিন্তু মেহেদী বুঝতে পারলো ততক্ষণে তার বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।
কারণ এতগুলো টাকা ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় সে মালিকের কাছে কি জবাব দেবে সেটাই সে চিন্তা করছিলো। এর ভিতর তার দোকানের মালিক খবর পেয়ে সেই হাসপাতালে চলে এলো। সেখানে এসে সে মেহেদী কে জিজ্ঞেস করল টাকার ব্যাগটা কোথায়? মেহেদী তার মালিকের কথায় মনে কিছুটা দুঃখ পেলো। সে চিন্তা করলো সে এত বড়ো একটা বিপদে পড়লো। মালিক একবারও সে কেমন আছে সেটা জিজ্ঞেস না করে শুধু সে টাকার কথা জিজ্ঞেস করলো? মেহেদি তখন তার মালিককে জবাব দিল টাকার ব্যাগটা ছিনতাইকারীরা নিয়ে গিয়েছে।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।