ইঁচড়ে পাকা!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকালকার কিছু বাচ্চাদেরকে দেখলে মাঝেমধ্যে মনে হয় তারা কি ছোট বাচ্চা নাকি বড়! সেটায় কনফিউশনে পরতে হয়! কারণ কিছু কিছু বাচ্চার হাবভাব কিংবা চলাফেরায় যদি আমি বলি তাহলে একেবারেই যেনো বড়দের মতো। আর এই ধরনের বাচ্চাদের আসলে আমার একেবারেই পছন্দ নয়। কারণ বাচ্চাদের বাচ্চামিটাই কিন্তু ভালো লাগে। অর্থাৎ বাচ্চারা যদি একটু বাচ্চামি করে, বাচ্চারা যদি একটু ইনোসেন্ট হিসেবে থাকে। সেক্ষেত্রে সেটাই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার মতে। আর বাচ্চাদের ওই ইনোসেন্সিটাই কিন্তু বাচ্চাদের আসল ব্যাপার।
কিন্তু আজকালকার কিছু বাচ্চাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখি যে এতো ইঁচড়ে পাকা! তারা এমন ভঙ্গিমায় এমন ধরনের এবং এমন সব কথা বলে। যেটা হয়তো আমি, আপনিও খুব ভালোভাবে বলতে পারবো না। আসলে আমি ঠিক বুঝি না যে তারা তাদের পরিবারে ঠিক কিভাবে মানুষ হয়। কারণ একটা বাচ্চা কিন্তু এই ধরনের কথাগুলো তার পরিবার থেকেই শিখে।
তারা হয়তো মিডিয়ার সামনে অনেক দাম পায়। কিন্তু আমি মনে করি তাদের জীবন এ আসলে তারা সুন্দর সময় গুলো উপভোগ করতে পারে না। কারণ ছোটবেলার ওই সময় গুলোর মতো এতো দারুণ সময় আর পাওয়া যায় না। যেটা তারা বড়দের মতো অভিনয় করতে করতেই শেষ করে দেয়।
এই ধরনের ইঁচড়ে পাকা বাচ্চাগুলোর সাথে কথা বলাটাও অনেক বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ তারা আপনাকে এমন ভাবে ট্রিট করবে যে, তারা হয়তো আপনার চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞান রাখে।আমি নিজেই এই ধরনের ইঁচড়ে পাকা বাচ্চাদের কাছ থেকে একটু দূরে থাকারই চেষ্টা করি। যদিও বর্তমানে ডিজিটাল জেনারেশন এবং ডিজিটাল যুগ সেই কারণেই বাচ্চাগুলো যেনো একটু বেশি ডিজিটাল। কিন্তু আমার কাছে সে পাকা বাচ্চাগুলোকে মোটেও ভালো লাগেনা। আর এতে কিন্তু বাচ্চাগুলোর কোনোই দোষ নেই, এতে দোষ তাদের পরিবারের। তাই না?