রক্ষক যখন ভক্ষক

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আজকে খবর দেখতে গিয়ে এমন একটি খবর দেখতে পেলাম যেটা দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। এমন না যে এই ধরনের খবর এবারই প্রথম দেখলাম। খবরটা হচ্ছে বাংলাদেশের কোন এক জায়গা থেকে ট্রাফিক সার্জেন্ট মানুষ জনের গাড়ি আটকে অবৈধভাবে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। আমি নিজেও এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছি। যার ফলে এই ব্যাপারটা সম্বন্ধে আমার কিছুটা ধারণা রয়েছে। এ বিষয়টা এখন বাংলাদেশে ওপেন সিক্রেট। প্রত্যেকেই জানে মোটরসাইকেল হোক অথবা ট্রাক বা বাস হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি-ঘোড়া আটকায় মূলত ঘুষ খাওয়ার জন্য। আইনের কথা তারা একবারও চিন্তা করেনা। খবরটিতে দেখলাম এক হাইওয়ে পুলিশের উপর বেশ কিছু মানুষজন প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে বিনা কারণে মানুষদেরকে হয়রানি করছে।

IMG_20240314_115936.jpg

তবে সেখানকার লোকজন বলছিলো আমাদের গাড়ির যদি কাগজ পত্রে কোন সমস্যা থাকে তাহলে আমাদেরকে মামলা দিয়ে দেবে। কিন্তু সেটা না করে সেই হাইওয়ে পুলিশ এক একটা করে গাড়ি ধরেছিল আর সেই ড্রাইভারদেরকে একটু পাশে ডেকে নিয়ে তাদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করছিলো। আমাদের দেশের হাইওয়ে পুলিশ যে এই কাজটা করে থাকে এটা আমরা সকলেই কম বেশি জানি। এমনকি তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টা জানে। অনেকে বলে থাকে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও এই দুর্নীতির সাথে জড়িত। কারণ এই ঘুষের একটা অংশ নাকি তাদের কাছে পৌঁছানো হয়। সে কারণেই তারা এই সমস্ত দুর্নীতির ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয় না। কিন্তু এই সমস্যাগুলোর কারণে দেশের অসংখ্য মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

অনেকদিন আগে আমি আর আমার এক বন্ধু এইরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। সে কারণে খবরটা দেখে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। রোজার ভেতর দিনশেষে মানুষগুলো যখন বাড়িতে ফিরছে তখন এই রকমের হয়রানি কোনভাবেই কাম্য নয়। আবার লোকমুখে শোনা যায় ঈদের আগে নাকি হাইওয়ে পুলিশদের গাড়ি-ঘোড়া ধরার পরিমাণ বেড়ে যায়। কারণ তাদের ঈদ খরচ উঠানোর কারণেই নাকি তারা এই কাজটা করে থাকে। আবার শোনা যায় তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাহিদাও বেড়ে যায় ঈদের সময়। সেটাও নাকি অকারণ গাড়ি-ঘোড়া ধরার আর একটা কারণ। যাই হোক কি কারন সেটা পরিষ্কারভাবে জানা নেই। তবে এই সমস্যা থেকে যেভাবে হোক মুক্তি চাই। পুলিশ যেন সত্যিকারের জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করে সেই কামনাই করি।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ঢাকা


ধন্যবাদ

Sort:  
 20 days ago 

আমাদের দেশে এরকম রক্ষকের নামে ভক্ষকের অভাব নেই। শুধু যে পুলিশের মধ্যে এমন ভক্ষক রয়েছে শুধু তা নয় বরং সমাজেও এমন লোকের অভাব নেই। তবে পুলিশের বিষয়টি আমরা রোডে চলাফেরা করতে গেলে দেখতে পাই। আর আপনি যে বিষয়ে তুলে ধরেছেন এ বিষয়ে আমার সাথেও অনেক ঘটেছে। তারা মামলা দিবে না তারা একটু পাশে ডেকে নিয়ে কিছু টাকা নিয়ে তারপরে ছেড়ে দিবে। যাই হোক দারুন একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ধন্যবাদ।

 20 days ago 

অনেকে বলে থাকে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও এই দুর্নীতির সাথে জড়িত। কারণ এই ঘুষের একটা অংশ নাকি তাদের কাছে পৌঁছানো হয়।

এটা একেবারেই সত্যি কথা। আর সেজন্যই তারা কোনো পদক্ষেপ নেয় না। হাইওয়ে পুলিশদের যন্ত্রণায় গাড়ি নিয়ে বের হয়েও শান্তি নেই। কাগজপত্র সব ঠিক থাকা সত্ত্বেও টাকা চায় তারা। সাউথ কোরিয়া থেকে একবার ছুটিতে এসে, যখন এয়ারপোর্ট থেকে পূর্বাচলের রাস্তা দিয়ে রাত ১ টার দিকে বাসায় আসছিলাম, তখন এমন বাজে পরিস্থিতির মধ্যে পরেছিলাম। শেষ পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশের সাথে তর্কাতর্কি পর্যন্ত করেছিলাম। তারপর টাকা দেইনি আর। এমন অযৌক্তিক দাবি গুলো আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। বাহিরের দেশের পুলিশ হচ্ছে জনগণের বন্ধু, আর আমাদের দেশের পুলিশের অপর নাম হচ্ছে আতঙ্ক। শুধুমাত্র হাইওয়ে পুলিশ না,বরং প্রায় সব পুলিশ ই একইরকম।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 69624.90
ETH 3615.21
USDT 1.00
SBD 3.73