সততার পুরস্কার (শেষ পর্ব)
তারপর সে একদিন মেহেদী কে ডেকে মেহেদীর কাছে ক্ষমা চায়। মেহেদী তখন তার মালিক কে বলে চাচা পুলিশ আমাকে মারাতে আমি যে কষ্ট না পেয়েছি। তার চাইতে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছি যখন আপনি মনে করেছেন আপনার টাকা আমি চুরি করেছি। যাক যেহেতু আপনি আপনার ভুল বুঝতে পেরেছেন। আমার মনে আর কোনো দুঃখ নেই। এই কথা বলে মেহেদী সেদিন বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু বাড়িতে ফিরে সে অবাক হয়ে যায়। সে দেখতে পায় সে বাড়িতে পৌঁছানোর আগে তার মালিক তার বাড়িতে সামনে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সেখানে মেহেদী একটি চকচকে গাড়ি দাঁড়ানো দেখতে পাই। মেহেদী তার মালিককে দেখে কিছুই বুঝতে পারে না। সে চিন্তা করতে থাকে একটু আগেই তো আমি চাচার সাথে কথা বলে আসলাম। উনি আবার আমার বাড়িতে এসেছেন কি কারণে? তখন মেহেদীর মালিক তাকে সেই গাড়ি চাবি আর তার বৌয়ের কাছে দোকানের চাবি বুঝিয়ে দিয়ে বলে এখন থেকে এই দোকানটা তোর। তুই এখন থেকে এই দোকানের মালিক।
এই কথা বলে সে মেহেদির স্ত্রীর কাছেও ক্ষমা চায়। আর মেহেদীকে বলে নতুন গাড়িটা তোর চলা ফেরার জন্য দিলাম। মেহেদী নিজের চোখ কান কিছুই বিশ্বাস করতে পারে না। সে চিন্তা করে এগুলো যা হচ্ছে সে সব স্বপ্নে দেখছে। এগুলো কখনো বাস্তব হতে পারে না। কিন্তু যখন তার ছেলে মেয়ে এসে তার হাত ধরে টানতে থাকে। তখন সে বুঝতে পারে আসলে এগুলো স্বপ্ন না বাস্তব। আর এভাবেই মেহেদীর জীবনটা হঠাৎ করে বদলে যায়। তারপর থেকে সে তার পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে। (সমাপ্ত)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
মেহেদী অবশেষে সততার পুরষ্কার পেলো দোকান মালিকের কাছ থেকে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে সৎ মানুষের জয় দেরীতে হলেও ঠিকই হয়। মেহেদীর জীবনটা সত্যিই পাল্টে গেলো। এই গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।