সংসার সামলানো!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে এমন একটা টপিক নিয়ে কথা বলতে এসেছি। যে টপিকটার সাথে আমি নিজেই জড়িত। অর্থাৎ এই টপিকটা বর্তমানে আমার জীবনে ঘটছে বলেই আসলে, এই টপিকটা আমার মাথায় আসলো। তবে প্রথমে যেটা বলতে চাই। সেটা হচ্ছে আমি অবিবাহিত। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে যে, অবিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও সংসার সামলানো নিয়ে কেনো কথা বলছি।
আসলে কথা বলার একটা কারণ রয়েছে। কারণটি হলো, বর্তমানে আজকের দিনটাতে আমার মা বাসায় নেই। কারণ আমাদের এক আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। তো আমার পুরো পরিবার সেখানেই গিয়েছে। কিন্তু আমার ছোট বোনকে নিতে পারেনি। যেহেতু এতোটা জার্নি ওর পক্ষে করাটা সম্ভব হবে না। তাই আমার ছোট বোনকে আমার কাছে রেখে গিয়েছে।
এখন একটা দিন যে সংসার সামলানো কথাটা কঠিন ব্যাপার। সেটা আসলে ঘরে মা- বাবা একদিন না থাকলে কখনোই বুঝতে পারতাম না। সাধারণত আমার কাছে মনে হয় যে, সংসার সামলানো খুব একটা কঠিন না। অর্থাৎ মনে হতো, কিন্তু যখন একটা দিন পুরো সংসারটাকে সামলাতে হয়। সামান্য একটু রান্নাবান্না করতে হয়। তখন আসলে বুঝা যায় যে কত ধানে কত চাল। কারণ সংসার সামলানো মোটেও কোনো সহজ বিষয় নয়।
আমার কাছে তো মনে হয়, এই বিষয়টা অনেক বড় বড় অংক করে মিলানোর চেয়েও অনেক বেশি কঠিন। কারণ এই ব্যাপারটা আসলে শুধুমাত্র মানসিক শ্রম দিয়ে করা সম্ভব হয় না। মানসিক এবং শারীরিক দুটো শ্রম ই প্রয়োজন হয় এবং সবচেয়ে যেটা কষ্টের বিষয়। সেটা হচ্ছে এই এতো কঠিন কাজটির জন্য কেউ কখনোই কাউকে মূল্যায়ন করে না। আর স্যালারি তো অনেক দূরের কথা। তাই আমার কাছে আসলে মনে হয় যে, যারা সংসার সামলায়। তাদের আসলে আলাদা রেস্পেক্ট দেওয়া উচিত আমাদের। কারণ এটা যে কতোটা কষ্টের এবং ঝামেলার কাজ। সেটা কেউ যতোক্ষণ করবে না, ততোক্ষণ বুঝতে পারবে না।