ঘরের শিশু সন্তান এর ক্ষেত্রে কাওকে বিশ্বাস নয়!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
বেশ কয়েকদিন আগে একটি ক্লাস থ্রি এর বাচ্চার রেপ কেস এর ঘটনা দেখেছি। যে ঘটনা দেখার পর থেকে আসলে আমি নিজেও একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছি। কারন এতো বাজে একটা খবর হজম করার মতোন শক্তি কিংবা মানসিকতা হয়তো সৃষ্টিকর্তা এখনো আমায় দেননি। সে কারণেই ঘটনাটা বারবার মনে পরছে। আর ভাবলাম যে, এই ঘটনা নিয়ে একটু হলেও আমার লেখা উচিত। যাতে আমার লেখাটি পড়ে অন্তত একটা মানুষ হলেও সচেতন হয়।
আমার টাইটেলটি একেবারে সত্য একটি কথা। অর্থাৎ আমাদের যাদের ঘরে শিশু সন্তান রয়েছে। তাদের জন্য শুধুমাত্র নিজেদের মানুষ ছাড়া অর্থাৎ নিজেদের বলতে মা-বাবা, ভাই-বোন ছাড়া আর কাউকেই কখনোই বিশ্বাস করা উচিত নয়। যাদের ঘরে শিশু রয়েছে। তারা এই কথাটি একেবারে নিজের মনে ও মাথায় গেঁথে নেন। আর একটি ব্যাপার হলো, আমি কিন্তু শুধুমাত্র মেয়ে শিশুর কথা বলছি না। কারণ বর্তমান সময়ে ছেলে শিশু পর্যন্ত নিরাপদ নয়।
বেশিরভাগ বাবা-মা ই নিজেদের ঘরের একটু দূর সম্পর্কের আত্মীয় কিংবা কাছের আত্মীয়দেরকেই নিজের সন্তানকে রাখার জন্য বিশ্বাস করে ফেলে। যেখানে সেই মানুষটা সবচেয়ে বড় ভুলটা করে। কারণ আমরা মানুষ হিসেবে কতোটা খারাপ হতে পারি। সেটার দৃষ্টান্ত কিন্তু সবসময় আমাদের সামনেই থাকে।
আমি একটা কথাই বলবো যে, আমাদের নিজেদের যতোটাই ব্যস্ততা থাকুক না কেনো। কখনোই নিজেদের ঘরের বাচ্চাকে কোনো আত্মীয়ের কাছে রেখে যাওয়া যাবে না। যতো সমস্যাই থাকুক না কেনো।সব সময় চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে নিজের সাথে নিয়ে যাওয়ার। কারণ এতে বাচ্চা সেইফ থাকবে। আপনার বাচ্চা আপনি ছাড়া অন্য কারো কাছেই সেইফ নয়। শুধুমাত্র নিজের সামান্য সুবিধার জন্য নিজেদের ঘরের বাচ্চার কতো বড় ক্ষতি আমরা করে ফেলি। সেটা হয়তো আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না।
এমন ঘটনা আমিও কিছুদিন আগে শুনেছিলাম। আসলে বর্তমানে ছেলে এবং মেয়ে শিশু অন্য কারো কাছে একেবারেই নিরাপদ নয়। কারণ কিছু কিছু মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই নিজের পরিবারের সদস্য ছাড়া,অন্য কারো কাছে শিশুকে দেওয়া মোটেই উচিত না। প্রতিটি মায়ের উচিত প্রয়োজনে নিজের সামনে শিশুদেরকে বসিয়ে রেখে বাসার যাবতীয় কাজকর্ম করা। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অপ্রিয় হলেও সত্যি কথা তুলে ধরেছেন আজকের পোস্টে গুছিয়ে। আসলে যখন মাঝে মাঝে এরকম নিউজ দেখি সতি ডিপ্রেশনে চলে যাই আমি।সত্যি নিজের মায়ের কাছে ছারা বাচ্চা আর কোথাও নিরাপদ নয়।ধন্যবাদ সচেতনতামূলক পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
খুবই চমৎকার একটি বাস্তব সত্য তুলে ধরেছেন আপনি। ঘরের সন্তানদের অন্যের উপর বিশ্বাস করা মোটেই কাম্য নয়। বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় কিংবা নিকটবর্তী আত্মীয় কারো কাছে একা ছাড়া যাবে না। এ বিষয়টা নিয়ে সর্বদায় সচেতন থাকতে হবে। কারন আমরা পেপার পত্রিকা খুললে দেখতে পাই অসংখ্য রেপ কেস। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে সংঘটিত হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।