দুঃসাহসী অভিযানে ডাকাত দলকে পাকড়াও করা (চতুর্থ পর্ব)
সোহেল বাড়ি পৌঁছে শুধু চিন্তা করতে থাকে ডাকাতিটা কারা করলো? তার শুধু বারবার মনে হতে থাকে এই ডাকাতির সাথে তাদের এলাকার লোকজন জড়িত। সোহেল মনে করার চেষ্টা করতে থাকলো যে তাদের বাড়িতে টাকা আছে এটা সে কাউকে বলেছে কিনা। কিন্তু কিছুতেই তার মনে পড়ছিলো না। রাতে খেতে বসে হঠাৎ করে তার মনে পড়লো এলাকার এক বখাটে টাইপের ছেলের সাথে সেদিন তার দেখা হয়েছিল যখন সে টাকা উঠাতে গিয়েছিলো। যখন সে ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে ছিলো তখন ছেলেটাকে ব্যাংকের সামনে দাঁড়ানো দেখেছে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সোহেলের কেনো জানি মনে হতে থাকলো এই ছেলেটা ডাকাতির সাথে কোনো না কোনো ভাবে জড়িত। কারণ তাদের বাড়িতে সাধারণত এত টাকা ক্যাশ কখনো থাকে না। টাকা পয়সা যা আছে সব ব্যাংকে রাখা থাকে। আবার ডাকাতিটা হোলো সোহেল যেদিন বাড়ি থেকে চলে গেলো তার দুই এক দিন পরে। সবকিছু মিলিয়ে সোহেলের সন্দেহটা দৃঢ় বিশ্বাসের রূপ নিচ্ছিলো। আরো একটা ব্যাপারে সোহেল অবাক হয়েছে তাদের বাড়িতে একটা বন্দুক ছিলো।
সাধারণত ডাকাত দল বাড়িতে কোন অস্ত্র থাকলে সেটা নিয়ে যায়। কিন্তু এরা বন্দুকটা নেয়নি। সোহেল সেদিন রাতে ফোন করে তার কিছু বন্ধুবান্ধবকে বাড়িতে আসতে বলে। তারপর সে তাদের সাথে তার মনের কথাগুলো শেয়ার করে। সোহেলের কথা শুনে তার বন্ধুরা ও তার সাথে একমত হয় যে এই ডাকাতির সাথে এলাকার লোক থাকতে পারে। তখন সোহেল তাদের সাথে আলোচনা করতে থাকে কিভাবে এই ডাকাতদের কে ধরা যায়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
দুঃসাহসী অভিযানে ডাকাত দলকে পাকড়াও করা গল্পটির চতুর্থ পর্ব পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো , এর আগের পর্বগুলো আমি পড়েছি এবং সামনের পর্বগুলো পড়ার আগ্রহ জাগছে। আসলে এই ধরনের গল্প পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে মনে হয় একবারে পড়ে শেষ করে ফেলি, আসলে গল্পের সোহেল কিভাবে ডাকাত দলকে ধরবে সেই ইচ্ছে জাগছে। গল্পটি পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
এই পর্বে রুবেলের নাম পরিবর্তন হয়ে সোহেল হয়ে গিয়েছে দেখছি। যাইহোক সোহেল বেশ বুদ্ধিমান একজন ছেলে। সে সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি খুব শীঘ্রই সোহেল ডাকাতদের খুঁজে বের করবে এবং তাদের বাড়ি থেকে ডাকাতি হওয়া সবকিছু উদ্ধার করতে সক্ষম হবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।