ছোটবেলার অদ্ভুত ভাবনা(উড়োচিঠি)
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মাঝেমধ্যে নিজের ছোটবেলার অদ্ভুত সব ভাবনা নিয়ে লেখালেখি করতে বেশ ভালোই লাগে।অনেক সময় সে স্মৃতির পাতায় ধরা পরে কতো শতো হারিয়ে যাওয়া মজার শৈশব।যে শৈশবে না ছিলো কোনো ঝুট ঝামেলা, না ছিলো কোনো তিক্ততা, আর না ছিলো কোনো অতিরিক্ত ফর্মালিটিস।আজকাল তো নিজেকে মনে হয় যেনো ফর্মালিটিস এর একটা চাদরে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি সার্বক্ষণিক।ছোটবেলার মস্তিষ্ক আর বড় বেলার মস্তিষ্ক কাজ করেও খুব আলাদা ভাবে।হ্যা,হয়তো ছোটবেলায় ছিলোনা ম্যাচুরিটি। এখন যা অতিমাত্রায় বিদ্যমান।তবে ছোটবেলায় চারপাশের মানুষ কি ভাববে, তা নিয়ে ভাবনা ছিলো না।আর বড়বেলায় প্রতিটি কদমেই মানুষ কি ভাববে, তা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে আছি আমরা।
শৈশবের চিন্তা গুলোও ছিলো অদ্ভুত মজার।যেমন আমি যদি আমার একটা চিন্তা শেয়ার করি। তাহলে ব্যাপারটা ভালো বুঝতে পারবেন। ছোটবেলায় সিনেমা দেখে দেখে একটা ব্যাপার এ একেবারে অন্ধ বিশ্বাস জন্মে গিয়েছিলো।সেটা হলো, কারো কথা মনে করে যদি আকাশে একটা বেলুন বা ঘুড়ি উড়িয়ে দেওয়া যায়। তবে,সে বেলুন বা ঘুড়িটা ঠিক ই কোনো না কোনো ভাবে ওই ব্যাক্তির কাছে পৌঁছে যাবে।কি অদ্ভুত ভাবনা।তাই না?
এই ধরনের চিন্তা আমি করতাম। এটা এখন ভাবলে হাসি পায়। কারণ না কোনো লজিক আছে। আর না কোনো ভিত্তি।আমি এখন নিজেই অবাক হই যে, এই ধরনের একটা চিন্তা আমি কি করে করতাম! অর্থাৎ একটা বেলুন কিংবা ঘুড়ি উড়িয়ে দিলেই অন্য একটা মানুষের কাছে উড়ে চলে যাবে! এই কথাটা যে আমি ভাবতাম, এটা ভাবলেই এখন নিজের অজান্তেই হাসি পায়। আবার এটাও মনে হয় যে, তখন মন আসলে কতোটা সরল ছিলো। যে এই ধরনের চিন্তা ভাবনাও আমি করতে পারতাম কিংবা আমরা মোটামুটি শৈশবে এই ধরনের চিন্তা ভাবনা কম বেশি সকলেই করতাম।
কিন্তু সময় যতো যেতে থাকে ততো ই আমাদের জীবনের জটিলতা বাড়তে থাকে।আর তার সাথে বাড়তে থাকে আমাদের জীবনের জটিল সব সমস্যা।আর ঠিক তার সাথে সাথে চলে যেতে থাকে আমাদের সে নিষ্পাপ মনটার নিষ্পাপত্ব।