সফল প্রেমের গল্প (প্রথম পর্ব)
জহির অফিস শেষ করে বাসায় ফিরছিলো। প্রচন্ড গরমে বাস থেকে নেমে জহির রিক্সার জন্য দাঁড়িয়েছিলো।জহির হঠাৎ রাস্তার পাশে দেখতে পেলো একজন ভ্যানের উপরে আখের রস বিক্রি করছে। জহির সাধারণত রাস্তার পাশের নোংরা খাবার দাবার এড়িয়ে চলে। তবে সে খেয়াল করে দেখে এই আখের রস বিক্রেতার পুরো বিষয়টা বেশ পরিষ্কার। আখের রস তৈরি করার যে মেশিনটা আছে সেটা একেবারে ঝকঝকে তকতকে। আবার সে যে আখ দিয়ে রস তৈরি করছে সেগুলো পরিষ্কার একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছে। ব্যাপারটা দেখে জহিরের বেশ ভালো লাগলো।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
প্রচন্ড গরমে এমনিতেই তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়েছিলো। তাই জহির চিন্তা করলো যেহেতু এই আখের রস বিক্রেতার সবকিছু বেশ পরিষ্কার। তাই এখান থেকে এক গ্লাস আখের রস খাওয়া যেতেই পারে। জহির কাছে গিয়ে এক গ্লাস আখের রস দিতে বললো। জহির খেয়াল করে দেখল আখের রস বিক্রেতা হাতে গ্লাভস এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে। রাস্তার পাশে এতটা হাইজিন মেইনটেইন করতে জহির খুব কম হকারকেই দেখেছে। লোকটা যখন জহিরকে আখের রস পরিবেশন করলো তার পরিবেশন করার ধরনটাও জহিরের বেশ পছন্দ হোলো।
একটা ছোট্ট ট্রের উপরে আখের রসের গ্লাসটা রেখে তার ভেতরে দু তিন টুকরো বরফ দিয়ে দিলো। তারপরে সামান্য একটু লেবুর রস চিপে দিয়ে তারপর সে ট্রেটা জহিরের কাছে দিলো। জহির গ্লাসটা হাতে নিয়ে দেখে গ্লাসটা একেবারেই পরিষ্কার। প্রচন্ড তৃষ্ণার্ত অবস্থায় জহিরের কাছে আখের রসটা রীতিমতো অমৃতের মতো মনে হোলো। এক গ্লাস খাওয়ার পর জহির আরও গ্লাস আখের রস অর্ডার করলো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলে রাস্তার পাশে এতো পরিষ্কার ভাবে আখের রস বিক্রি করতে দেখাই যায় না। তবে হাইজিন মেইনটেইন করে এভাবে আখের রস বিক্রি করলে তো খাওয়া যায়। যাইহোক এক গ্লাস আখের রস খেয়ে জহির যেহেতু তৃপ্তি পেয়েছে, তাহলে তো আরেক গ্লাস আখের রস অর্ডার করবেই। যাইহোক গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।